করোনা মহামারির কারণে দুই বছর বিরতির পর সারা দেশে ‘কুমারী পূজা’ উদযাপন করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। সোমবার পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমীতে এই পূজা উদযাপিত হয়।
দিনের প্রধান আকর্ষণ হল কুমারী পূজা; যেখানে প্রাক-বয়ঃসন্ধিকালীন একটি মেয়েকে ‘দেবী মা’ হিসেবে পূজা করা হয়।
সকালে এটি উদযাপন করতে কয়েক হাজার হিন্দু ভক্ত দেশজুড়ে পূজা মণ্ডপে ভিড় করেন।
আর পড়ুন: শেরপুরের পালবাড়ি পূজামণ্ডপ: ১২৭ বছর ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মিলনমেলা
ঢাকা মহানগরীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, কলাবাগান, বনানী, শাখারী বাজার ও রমনা কালী মন্দিরে কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
দেশ ও এর জনগণের শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণের জন্য ঐশ্বরিক আশীর্বাদ কামনা করে নতুন পোশাকে সজ্জিত হয়ে বিপুল সংখ্যক ভক্ত দেবী দুর্গার সামনে প্রার্থনা করেন।
এ উদযাপনের মধ্যদিয়ে মন্দের ওপর ভালোর বিজয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
পূজিত মেয়েটি সেই শক্তির প্রতীক যা পৃথিবীতে সৃষ্টি, স্থিতিশীলতা ও ধ্বংস নিয়ন্ত্রণ করে। দেবীকে প্রতীকীভাবে স্নান করানো হয় এবং চূড়ান্ত যুদ্ধের জন্য পোশাক পরানো হয়।
আর পড়ুন: শনিবার মহা ষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা
প্রাচীনকালে, দেবীর উদ্দেশে বলি হিসেবে একটি মহিষ দেয়া হত। বর্তমানে দেবীর উদ্দেশে কলা, কুমড়া ও শসা উৎসর্গ করা হয়।
শনিবার সারাদেশের মন্দিরে দেবীর বোধনের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে দুর্গাপূজা।
৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসব।
বাংলাদেশের ১৬ কোটিরও বেশি মানুষের প্রায় ৮ শতাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী।
আর পড়ুন: দুর্গাপূজা: বাগেরহাটে ৬৪২টি মন্দিরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি