পূজা
খাগড়াছড়ির ৯ উপজেলায় ৬১টি মণ্ডপে চলছে পূজার প্রস্তুতি
সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়িতেও শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। জেলার ৯টি উপজেলায় এবার ৬১টি পূজা মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
এরইমধ্যে শেষ হয়ে অধিকাংশ মন্দিরের প্রতিমার রঙের কাজ।
প্রশাসন ও সবার সহযোগিতায় নিরাপদ ও সুন্দরভাবে পূজা উদযাপন করতে পারবেন আশা করছেন খাগড়াছড়ির সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, প্রতিটি মণ্ডপে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। থাকবে মোবাইল টিম এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ওপরও নজর রাখা হবে।
পূজা আয়োজকরা জানান, এরইমধ্যে তারা পূজার প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। কয়েকটি প্রতিমা বাদে অধিকাংশ প্রতিমার রঙের কাজ শেষ হয়েছে। চলছে ডেকোরেশনের কাজ।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ১০২ মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা, চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ,খাগড়াছড়ি শাখার সভাপতি অশোক মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক তমাল দাশ লিটন জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এবার নতুন বাংলাদেশে মায়ের আগমনের অপেক্ষায় আছেন। এবার সবার মঙ্গল কামনায় সবাই যেন সুন্দর ও ভালোভাবে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারেন এই চাওয়া থাকবে মায়ের কাছে।
আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপনের প্রত্যাশা করেন বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের খাগড়াছড়ি শাখার সভাপতি অশোক মজুমদার।
পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, সুষ্ঠুভাবে পূজা আয়োজনে সব রকমের প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সভা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে প্রয়োজনীয় নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। কাজ করছে মনিটরিং টিম।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার ৬১টি পূজা মণ্ডপে ৩১ টন খাদ্য শস্য, সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি সদর জোন থেকে ৬ লাখ ১০ হাজার টাকা ও হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়া হয়েছে।
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে নানা জাতিগোষ্ঠীর নানা সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। তাই প্রত্যেক ধর্মের উৎসব পালন হয় সম্প্রীতির পরিবেশে। বিশেষ করে বড় ধর্মীয় উৎসবগুলোতে সব সম্প্রদায়ের মানুষের মিলন-মেলা হয়। এই উৎসবে মহানন্দে শামিল হন এখানকার পাহাড়ি-বাঙালি হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই। গ্রাম-শহর সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে এই উৎসবের আড়ম্বর আমেজ।
এবারও দুর্গাপূজায় প্রচুর লোকের সমাগম হবে বলে আশা করছেন সনাতন সম্প্রদায়ের নেতারা।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: সেনাপ্রধান
১ মাস আগে
পূজার কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক
শ্যামাপূজা ও দীপাবলি উপলক্ষে সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বানিজ্য বন্ধ রয়েছে।
তবে বেনাপোল কাস্টমস হাউজ ও বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। বন্দর থেকে স্বাভাবিক নিয়মে পণ্য ওঠা নামা ও ডেলিভারি হবে। ফলে দু’দেশের বন্দর এলাকায় দাড়িয়ে আছে কয়েক হাজার পন্য বোঝাই ট্রাক। তবে দু’দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।
আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪দিন বেনাপোল স্থলবন্দর বন্ধ থাকবে
বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ভারতে কালীপূজা ও দীপাবলি উপলক্ষে সোমবার কোনো পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে না। তবে বন্দর ও কাস্টমসের সব কার্যক্রম চালু আছে।
এদিকে, একদিনের আমদানি রপ্তানি বন্ধে ২০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা খালি ট্রাক ফেরত যাওয়ার জন্য চেকপোস্ট কার্গো শাখা খোলা আছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
১ বছর আগে
মন্দিরে পূজা করতে বাধা: দুই ইউপি চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় শশ্মানের মন্দিরে পূজা করতে বাধা দেওয়ায় দুই ইউপি চেয়ারম্যানকে তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
পরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। শনিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের বূড়া সাড়ডুবি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ৩
অবরুদ্ধ দুই ইউপি চেয়ারম্যান হলেন- ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান খোকন ও গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৩৫ সালে ওই শশ্মান স্থাপন করা হয়। হঠাৎ করে গত কয়েক মাস ধরে শশ্মানের জমিটি নিজেদের দাবি করছেন রেজাউল হক, রেজাউনুল হক সুজন, মাইদুল হক মহল, মতিউর রহমান, সাজু ইসলাম, দুলালসহ আরও অনেকে।
এ নিয়ে মন্দির কমিটির সঙ্গে তাদের বিরোধ চলে আসছে। গত শুক্রবার সকালে অভিযুক্তরা ওই শশ্মানের ঘর ও মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০/৪০ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন রতন চন্দ্র বর্মন।
এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। অভিযুক্তরা গড্ডিমারী ইউপি চেয়ারম্যান শ্যামলের আত্বীয় হওয়ায় হাতীবান্ধা থনার ওসি বিষয়টি তাকে জানান। ইউপি চেয়ারম্যান শ্যামল ফকির পাড়া ইউপি চেয়ারম্যান খোকনকে সঙ্গে নিয়ে শনিবার বিকালে ওই এলাকায় গিয়ে চাপ দিয়ে আপসের চেষ্টা করেন।
এ পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে শ্যামল ও খোকন চেয়ারম্যান হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে হুমকি-ধমকি ও গালাগালি করেন। পরে হিন্দু সম্প্রাদয়ের লোকজন তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে নৌকা ঘাটের ইজারা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা নিরু বালা বলেন, প্রথমে রেজাউল হক, রেজাউনুল হক সুজন, মাইদুল হক মহল, মতিউর রহমান, সাজু ইসলাম, দুলালসহ আরও অনেকে শ্মশানের মন্দির ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করেন। এরপর এবার শ্যামল ও খোকন চেয়ারম্যান আমাদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। আমাদের পূজা-অর্চনা করতে বাধা দেয়। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে বুড়া সাড়ডুবি সার্বজনীন মহাশ্মশানের মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক সবুজ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান শ্যামল ও খোকন মন্দিরে এসে পূজারিকে হুমকি দেয়। আমাদের পূজা-অর্চনার সামগ্রী পা দিয়ে লাথি মেরে গুঁড়িয়ে দেয়। আমরা ভয়ে পূজা-অর্চনা করতে পারছি না। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামলের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কলটি রিসিভ করেননি।
১ বছর আগে
পূজায় আইনশৃঙ্খল বাহিনী নজর রাখছে: মোজাম্মেল হক
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, পূজার সময় যাতে আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজর রাখবে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১২তম সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।
মোজাম্মেল হক বলেন, পূজা আসন্ন, সে সময় যাতে আইনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন না হয়, নির্বিঘ্নে যাতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারেন; সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নজর রাখবে। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছি। এটি নিশ্চিত করতে ডিসি-ইউএনওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদের প্রবেশ রোধে অভিযান পরিচালনা করা হবে: মোজাম্মেল হক
মন্ত্রী বলেন, আমাদের বড় সমস্যা হচ্ছে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ। বিশ্বের তুলনায় আমরা ভালো অবস্থায় আছি। মুসলিম অধ্যুষিত অন্যান্য দেশে যেভাবে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেই জঙ্গিবাদকে পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। হলি আর্টিজানের ঘটনার পর এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভবিষ্যতেও যাতে না ঘটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে। জনগণও চায় না এমন ঘটনা আর ঘটুক।
তিনি বলেন, এখন নির্বাচনের সময়, পত্রপত্রিকায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বাইরে থেকে অস্ত্র আসতে পারে। সেজন্য বিজিবিসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি, হুন্ডি ব্যবসার কারণে দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এ ব্যবসাকে বন্ধ করার জন্য আরও তৎপর হওয়া এবং কীভাবে বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে আমরা বলেছি। জুয়ার মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে। পত্রপত্রিকায় যেসব তথ্য এসেছে সেই আলোকে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অল্পসংখ্যক এনজিও আছে যারা এ দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য অ্যালার্মিং। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় তাদের যে কর্মকাণ্ড সেটি খুব উদ্বেগের বিষয়। রোহিঙ্গাদের কিন্তু মিয়ানমার নিতে আগ্রহী ছিল, আমরাও পাঠাতে রাজি হয়েছি। বিদেশিরাও কিছুটা কনভিন্স করেছে। যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, কিছু এনজিও আছে তারা নিরুৎসাহিত করছে, গুজব রটায় যে সেখানে গেলে নিগৃহীত হবে, আবার নির্যাতন করা হবে। এই অপপ্রচারের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হচ্ছে। গুজব রটনাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশে থেকে সাইবার ক্রাইম বন্ধ করতে পারছি না। মিথ্যাচার ও গুজব রটানো হচ্ছে। এনটিএমসিকে আরও সক্রিয় হয়ে গুজবের পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। সত্যি ঘটনা তুলে ধরে প্রচার করার জন্য বলা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নিয়ে রাজনৈতিক দল বুঝবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব না কোনো দলকে নিয়ন্ত্রণ করা। তাদের দায়িত্ব জনগণের সব কিছু যাতে স্বাভাবিক হয় সেটি দেখা।
আরও পড়ুন: ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার সমালোচনা করলেন মোজাম্মেল হক
তিনি বলেন, সংবিধান অনুসারে সাধারণ নির্বাচন আসন্ন। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে টেনটেটিভ সময় ঘোষণা করেছে, নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে তারা নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করবে। এরপর সরকার নতুন কোনো পরিকল্পনা নিতে পারবে না, শুধু রুটিন ওয়ার্ক করে যাবে। অন্তবর্তীকালীন সরকার হিসেবে কাজ করে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে সব কিছু থাকে। নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ সহায়তা করবে, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে যা যা করার তা পালন করবে। ভোটের পরিবেশ যাতে সুষ্ঠু থাকে সেটি নিশ্চিত করার জন্য সচেতন থাকবে।
এদিকে চাকরিরতদের সন্দেহ হলে যেকোনো সময় মাদক শনাক্তকরণ টেস্ট (ড্রাগ অ্যাবিউজ) করা হবে বলে জানান মোজাম্মেল হক।
তিনি জানান, মাদক গ্রহণের ৭২ ঘণ্টা পার হলে ডোপ টেস্টে আর শনাক্ত করা যায় না। সেজন্য এ পরিকল্পনা করা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি বলেন, ইতোপূর্বে সিদ্ধান্ত ছিল চাকরিতে ডোপ টেস্ট হবে। তবে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে, ৭২ ঘণ্টা পরে এটা পরীক্ষা করলে বোঝা যায় না। সেজন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে চাকরিরত যারা আছেন যেকোনো সময় সন্দেহজনক হলে টেস্ট করা হবে। এর নাম দেওয়া হবে ড্রাগ অ্যাবিউজ টেস্ট। এজন্য নতুন নীতিমালা তৈরি করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, মাদক ও নেশার দ্রব্য যাতে দেশে প্রবেশ না করে সেজন্য যেসব রুটে এসব আসে সে রুটগুলো বন্ধ করার জন্য কমিটি নির্দেশনা দিয়েছে।
তিনি বলেন, একইসঙ্গে অভিভাবকদের কাছে আবেদন থাকবে তাদের সন্তানরা কী করেন সে ব্যাপারে তারা যেন সচেতন থাকেন। মসজিদ, মন্দিরসহ থর্মীয় উপাসানলয় থেকেও যেন মানুষকে উদ্ভুদ্ধ করা যায় সে ব্যাপারে তারাও কাজ করবেন।
আরও পড়ুন: তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ নেবে সরকার: মোজাম্মেল হক
১ বছর আগে
পূজায় ৭ দিন বন্ধ হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি, খোলা ইমিগ্রেশন
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ৭ দিন বন্ধ থাকবে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
তবে স্বাভাবিক থাকবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে পাসপোর্টধারীদের পারাপার। শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে দুই দেশের আমদানি ও রপ্তানিকারকরা আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
হিলি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন চলন্ত জানান, ৭ দিন বন্দরে ছুটি থাকবে। ফলে বন্ধ থাকবে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি। ছুটি শেষে ২৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে আবার স্বাভাবিক হবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
হিলি ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারত-বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারীদের সুবিধার্থে ইমিগ্রেশন সচল থাকবে।
আরও পড়ুন: হিলিতে মোটরসাইকেলচাপায় আদিবাসী নারী নিহত, চালক আটক
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
১ বছর আগে
পূজা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ৭ দিন
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৭ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে স্বাভাবিক থাকবে চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার।
শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে দুই দেশের আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সোমবার (৯ অক্টোবর) হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
তিনি বলেন, ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে ২৫ অক্টোবর বুধবার পর্যন্ত ৭ দিন ভারতের সঙ্গে এ বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বন্ধ থাকবে বন্দরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম। ২৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক হবে।
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, শুধু সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটিতে বন্দরের পানামা পোর্টের অফিসসহ আমদানি-রপ্তানি ও পণ্য উঠা-নামার কাজ বন্ধ থাকে।
তিনি আরও বলেন, ২৪ অক্টোবর দূর্গাপুজার দশমীর দিন। এদিন সরকারি ছুটি থাকায় সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তারপর থেকে পুনরায় বন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে।
এদিকে হিলি স্থলশুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার মো. বায়জিদ হোসেন জানান, ২৪ অক্টোবর দূর্গাপুজার কারণে সরকারি ছুটি রয়েছে। এর পরের দিন কাস্টমস অফিসের কার্যক্রম চালু হবে।
তিনি আরও জানান, ব্যবসায়ীরা চাইলে বন্দরের অভ্যন্তরে থাকা তাদের আমদানি করা পণ্যের চালান শুল্ককর পরিশোধ করে খালাস করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ভারতে ছুটি থাকায় একদিন পর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি পুনরায় শুরু
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
১ বছর আগে
বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে বেনাপোল কাস্টমস হাউজ ও বন্দরে মালামাল উঠানামাসহ খালাস প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়া বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক আছে।
এদিকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে পড়ায় বন্দরের দুই পাশে প্রবেশের অপেক্ষায় শত শত ট্রাক পণ্য নিয়ে আটকা পড়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
এসব পণ্যের মধ্যে পচনশীল বিভিন্ন খাদ্যদ্রবসহ শিল্পকারখানার জরুরি কাজে ব্যবহৃত কাঁচামালও রয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও যাত্রীরা স্বাভাবিক নিয়মে যাতায়াত করছেন। সকাল থেকে এ পর্যন্ত চার হাজার যাত্রী পারাপার করেছে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে বেনাপোল বন্দরে মালামাল লোড-আনলোড সহ খালাশ কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে স্বাভাবিক নিয়মে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিনহা জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ আছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
তবে একদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ধাকলে সরকারের ২০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হতে হয়।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
১ বছর আগে
বাগেরহাটে প্রথমবারের মতো কাঁচের প্রতিমায় শ্যামা পূজা
বাগেরহাটে এই প্রথম আয়নার কাঁচ দিয়ে প্রতিমা তৈরি করে শ্যামা পূজার আয়োজন করা হয়। মায়ের প্রতিমায় নিজের ছবি দেখাতে এই ব্যতিক্রম আয়োজন করা হয়েছে।
শ্যামা পূজা উপলক্ষ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলার কোদলা সর্বজনীন পূজা মন্দিরে পাঁচ দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠান চলছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা আরতী এবং সিঁধুর খেলার মধ্যে দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনের অনুষ্ঠান।
আয়োজকরা বলছেন,পূজামণ্ডপে ভক্ত আর দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। শ্যামা পূজায় দেশে এমন ব্যতিক্রম আয়োজন এই প্রথম।
আরও পড়ুন: কালী পূজা: দুই বছর পর লালমনিরহাট সীমান্তে দুই বাংলার মিলন মেলা
জানা গেছে, ওই পূজামণ্ডপে বৈকুন্ঠধাম,মালতীর ধনভাণ্ডার, মায়ের ত্রিরুপ দর্শন,মহাদেবের কৈলাশে অবস্থান,ঝর্ণ-আগুনের ফোয়ারা এবং ভূতের রাজ্য প্রতিমার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
আয়োজন করা হয়েছে পদাবলী কীর্তন ও সাংস্কৃতিকসহ নানা অনুষ্ঠান। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দূর দূরান্ত থেকে শিশু থেকে শুরু করে নানা বয়সের নারী-পুরুষ দর্শনার্থীরা ও ভক্তরা আসছেন পুজা মণ্ডপে।
রবিবার সন্ধ্যা আরতী ও শ্রীমদ্ভগবতগীতা পাঠের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় পাঁচদিনের অনুষ্ঠান। সোমবার দীপাবলী উৎসব ও শ্যামা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদিন চলছে নানা অনুষ্ঠান।
শ্যামা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক পলাশ কুমার সেন জানান, মায়ের প্রতিমায় নিজেদের ছবি দেখার জন্য আয়নার কাঁচ দিয়ে প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে বুঝাতে চেয়েছি যে,আমরা সবাই মায়ের আশ্রয়ে আছি। দুর্ভিক্ষ ঘুচাতে লক্ষ্মী ভাণ্ডার এবং বিশ্বকে আলোকিত করতে জল আর আগুনের সমন্বয় ঘটিয়ে ফোয়ারা করা হয়েছে।
এছাড়াও, করোনা মহামারি,ডেঙ্গু ও সব ধরণের অপশক্তি বিনাশ করতে প্রতিমার মাধ্যমে ভূতের ছবি দেখানো হয়েছে। দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল এবং বিশ্ববাসির শান্তি কামনায় এই আয়োজন।
শ্যামা পূজায় দেশে এমন ব্যতিক্রম আয়োজন প্রথম বলেও তিনি দাবি করেন।
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই লক্ষ্মীপূজা, জমে উঠেছে প্রতিমা আর সোলার ফুল বিক্রি
পূজার ছুটি শেষে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে কার্যক্রম শুরু
২ বছর আগে
রাত পোহালেই লক্ষ্মীপূজা, জমে উঠেছে প্রতিমা আর সোলার ফুল বিক্রি
রাত পোয়ালেই লক্ষ্মীপূজা। লক্ষ্মীপূজার আয়োজন চলছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে। লক্ষ্মীপূজার প্রধান উপকরণ প্রতিমা আর সোলার ফুল। তাই হাট-বাজারে এখন লক্ষ্মী প্রতিমা আর সোলার ফুল বিক্রি জমে উঠেছে। নারী-পুরুষ ঘুরে দেখে পছন্দমতো প্রতিমা এবং নানা রকম সোলার ফুল ক্রয় করছেন।
ক্রেতারা বলছেন, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিমা আর সোলার ফুলের দাম বেশি।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সব কিছু মূল্য বৃদ্ধির কারণে এবছর প্রতিমা এবং ফুলের দাম বেড়েছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে মা লক্ষ্মী ধন-সম্পদ আর ঐশ্বর্যের প্রতীক। লক্ষ্মীর কৃপা হলে ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে।
তাই প্রতিবছর শারদীয় দুর্গোৎসবের পর আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীপূজার আয়োজন করে থাকে।
আরও পড়ুন: করোনার কারণে ২ বছর পর কুমারী পূজা
শনিবার দুপুরে বাগেরহাট শহরের কাপুড়েপট্টিতে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে সোলার ফুল আর প্রতিমা বিক্রির হাট বসেছে। ক্রেতারা দর দাম করে প্রতিমা আর সোলার ফুল ক্রয় করছেন।
পাঁচ কদমের একটি সোলার ফুল ৭০ টাকা আর ৩৬ কদমের একটি ফুল একহাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিমা ১০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সোলার ফুল নিয়ে হাটে বিক্রি করতে আসা কচুয়া উপজেলার শিবপুর পালপাড়া গ্রামের গৌতম শিকদার জানান, তারা প্রতিবছর লক্ষ্মীপূজার সময় সোলার ফুল বিক্রি করে।
২ বছর আগে
শুধু অপরাধ নয়, শাস্তির কথাও বিবেচনা করুন: প্রধানমন্ত্রী
কোনো ধর্মের পরিপন্থী কোনো ঘটনাকে বড় করে না দেখাতে, বরং সরকারের নেয়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দিকে সকলকে নজর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘যে কোনো এলাকায় (দেশের) ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনাকে বড় করে দেখাবেন না, বরং সেই ঘটনার বিরুদ্ধে সরকারের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দেখার জন্য আমি আপনাদের অনুরোধ করব।
মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজার শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে অনুষ্ঠানটিতে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ‘ফেসবুকে অসম্মানজনক স্ট্যাটাস’, যুবক আটক
দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হিন্দুসহ সকলের সহযোগিতাও চেয়েছেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে আপনাদের সহযোগিতা চাইব এবং আশা করি আপনারা সহযোগিতা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সর্বদা দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা বা ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রকে সমুন্নত রাখার চেষ্টা করে এবং তা বজায় রেখে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী আবারও সুস্পষ্টভাবে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কাউকে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে দেয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কিছু (অপমানজনক) কাউকে বলতে দেয়া হবে না। এটি যে কোনও ধর্মের জন্য প্রযোজ্য’।
তিনি বলেন, ধর্ম মানেই বিশ্বাস। ‘আল্লাহ বা স্রষ্টার প্রতি মানুষের বিশ্বাস, সেই বিশ্বাস নিয়েই চলতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইসলাম একটি অত্যন্ত মুক্ত ও উদার ধর্ম এবং ইসলামে অন্য সব ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের নির্দেশ রয়েছে।
সূরা কাফিরুনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে বলা হয়েছে যে প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করবে এবং সকল ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে। ‘আমরা এটি আমাদের হৃদয় থেকে বিশ্বাস করি’।
আরও পড়ুন: লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে