স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা শুক্রবার কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ৫৯টি ল্যাবে মোট ১৬ হাজার ৯৫০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজার ৯৯০টি। মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৩২২টি। শনাক্তের হার ২১.৭১।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনার শিকার হয়েছেন ৮১ হাজার ৫২৩ জন। আর মোট মারা গেছেন এক হাজার ৯৫ জন।
করোনায় নতুন যে ৪৬ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৭ জন এবং নারী ৯ জন। ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ১৯ জন এবং চট্টগ্রামে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ জন মারা গেছেন। এছাড়া হাসপাতালে ৩২ জন এবং ১৪ জন বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেছেন।
তিনি বলেন, করোনার কবল থেকে নতুন করে ৫০২ জন সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ২৪৯ জন।
বিশ্ব পরিস্থিতি
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৪ লাখ ২০ হাজার ৯৯৩ জন এবং আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ লাখ ৭৭৭ জনে।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, শুক্রবার পর্যন্ত মোট ৮ লাখ ২ হাজার ৮২৮ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী নিয়ে বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪০ হাজার ৯১৯ জন।
অন্যান্য দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মারা যাওয়ার তালিকার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক লাখ ১৩ হাজার ৮০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র নিউইয়র্ক রাজ্যেই মারা গেছেন ৩০ হাজার ৫৮০ জন।
করোনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার ৩৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পরেই ইতালিতে ৩৪ হাজার ১৬৭ জন, ফ্রান্সে ২৯ হাজার ৩৪৯ জন এবং স্পেনে ২৭ হাজার ১৩৬ জন মারা গেছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।