তিনি বলেন, দেশের উপজেলা পর্যায়ে যেখানে এখনো আইসিইউ সেবা পৌঁছানো সম্ভব হয়নি সেসব এলাকাযর জন্য নতুন আরও ৩০০ ভেন্টিলেটর ক্রয় করে খুব দ্রুতই পাঠানো হবে।’
রবিবার দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নতুন ১০০টি ভেন্টিলেটর মেশিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিকট ১০০টি ভেন্টিলেটর হস্তান্তর করেন।
জাহিদ মালেক বলেন, নিজ দেশের এতো বড় বিপর্যয়ের পরেও আমেরিকা বাংলাদেশকে ১০০টি অত্যাধুনিক ভেন্টিলেটর উপহার দিচ্ছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।
‘এই ভেন্টিলেটরগুলো অত্যন্ত আধুনিক ও সহজে ব্যবহার উপযোগী। এমনকি ট্রেনিং ছাড়াও এই ভেন্টিলেটরগুলো ব্যবহার করা যায়,’ বলেন মন্ত্রী।
বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন করা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সকল প্রাইভেট ক্লিনিক, হাসপাতালকে সরকারের দেয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই লাইসেন্স গ্রহণের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হতে হবে। লাইসেন্স ছাড়া কোনো প্রাইভেট ক্লিনিক বা হাসপাতাল চালানো যাবে না।’
বিদেশ ফেরত যাত্রীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিদেশ ফেরত যাত্রীদের অবশ্যই (করোনা) নেগেটিভ সার্টিফিকেট সঙ্গে করে আনতে হবে। তা না হলে দেশে এলেই বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।’
এ সময় করোনাকালীন দুঃসময়ে বাংলাদেশ আমেরিকায় প্রচুর পরিমানে পিপিই সরবরাহ করেছে বলে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত।
তিনি ভবিষ্যতে দুদেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে ইউএসএইডের ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর জন এলিও, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব প্রমুখ বক্তব্য দেন।