ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুব আলম জানান, শুক্রবার বেলা ১১টায় এ সাংবাদিক কারাগার থেকে মুক্ত হন এবং পরিবারের সদস্যরা তাকে কারাফটক থেকে গ্রহণ করেন।
গত ১৭ ডিসেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা পৃথক দুই মামলায় হাইকোর্ট বেঞ্চ কাজলকে জামিন দিলে তার কারামুক্তির পথ খোলে।
আরও পড়ুন: শের-ই-বাংলা নগর থানার মামলায় ফটোসাংবাদিক কাজলের জামিন
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপর মামলায় সফিকুল ইসলাম কাজল হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। তবে অন্য দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোয় তখন কারাগার থেকে মুক্তি পাননি তিনি।
গত ১১ মার্চ ঢাকার চকবাজারের বাসা থেকে বের হয়ে ‘নিখোঁজ’ হয়েছিলেন সফিকুল ইসলাম কাজল। ‘নিখোঁজের’ ৫৩ দিন পর গভীর রাতে যশোরের বেনাপোল সীমান্তের একটি মাঠ থেকে কাজলকে উদ্ধার করা হয়।
এর আগে কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ১০ মার্চ শেরেবাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন সাংসদ সাইফুজ্জামান শিখর।
আরও পড়ুন:হাইকোর্টে সাংবাদিক কাজলের জামিন, মুক্তিতে আইনগত বাধা নেই
সাংবাদিক কাজলকে কেন জামিন নয়: হাইকোর্টের রুল
নরসিংদী যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার হোটেল ওয়েস্টিনকেন্দ্রিক কারবারে জড়িতদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছিল।
একই সাথে গত ১০ ও ১১ মার্চ হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীর চর থানায় সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও দুটি মামলা হয়।
আরও পড়ুন:নিখোঁজ ফটোসাংবাদিক কাজল বেনাপোল থেকে উদ্ধার
ফটোসাংবাদিক কাজল ২ দিনের রিমান্ডে
গত ৩ মে বিজিবির হাতে কাজলকে আটক দেখানোর পর থেকেই তিনি কারাগারে ছিলেন।