রবিবার ভার্চুয়াল শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এ আদেশ দেন।
রিমান্ড শুনানির জন্য সাংবাদিক কাজলকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত করা হয়।
এর আগে, তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রাসেল মোল্লা সাংবাদিক কাজলের রিমান্ড আবেদন করেন।
সেইসাথে, আসামি পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়ার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দেয় আদালত।
গত ১০ মার্চ বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের নেত্রী ইয়াসমিন আরা বেলী রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন।পরে এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: নিখোঁজ ফটোসাংবাদিক কাজল বেনাপোল থেকে উদ্ধার
গত ২৩ জুন, রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা আরকেটি মামলায় ফটোসাংবাদিক কাজলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত।
গত ৯ মার্চ রাজধানী ঢাকার শের-ই-বাংলা নগর থানায় কাজল বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মাগুরা-১ আসনের সরকার দলীয় সাংসদ সাইফুজ্জামান শেখরের দায়ের করা মামলার একদিন পর নিখোঁজ হন সাংবাদিক কাজল।
এরপর ১০ ও ১১ মার্চ রাজধানী হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়।
ঢাকা থেকে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর, গত ৩ মে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে ফটোসাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
অনুপ্রবেশের দায়ে আটক করা সাংবাদিক কাজলকে ৩ মে যশোর আদালতের সামনে হাজির করে বিজিবি।
এ মামলায় জামিন মঞ্জুর হলেও পরবর্তীতে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে ৫৪ ধারায় দায়ের করা অপর একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।