বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচার মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: শের-ই-বাংলা নগর থানার মামলায় ফটোসাংবাদিক কাজলের জামিন
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর রাজধানী শেরেবাংলা নগর থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপর মামলায় সফিকুল ইসলাম কাজল হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন। ওই মামলার তার জামিন প্রশ্নে রুলের শুনানি শেষে সেদিন হাইকোর্ট রুল যথাযথ ঘোষণা করে জামিন দিয়েছিলেন সাংবাদিক কাজলকে। পাশাপাশি এর আগে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানার অপর দুই মামলায় জামিন প্রশ্নের রুল শুনানির জন্য ১৫ ডিসেম্বর দিন রেখেছিলেন হাইকোর্ট। এরই ধারাবাহিকতায় দুই মামলায় জামিন মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলকে কেন জামিন নয়: হাইকোর্টের রুল
সফিকুলের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘এই দুই মামলায় জামিন পাওয়ায় সফিকুল ইসলাম কাজলের আইনগত কোনো বাধা নেই।’
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন:নিখোঁজ ফটোসাংবাদিক কাজল বেনাপোল থেকে উদ্ধার
গত ১১ মার্চ ঢাকার চকবাজারের বাসা থেকে বের হয়ে ‘নিখোঁজ’ হয়েছিলেন সফিকুল ইসলাম কাজল। ‘নিখোঁজের’৫৩ দিন পর গভীর রাতে যশোরের বেনাপোলের সীমান্তের একটি মাঠ থেকে কাজলকে উদ্ধার করা হয়।
এর আগে কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ১০ মার্চ শেরেবাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন সাংসদ সাইফুজ্জামান শিখর। একই আইনে কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানায় যুব মহিলা লীগের দুই নেত্রী আরও দুটি মামলা করেন। পৃথক মামলায় গত ৩ মে থেকে কারাগারের আছেন সাংবাদিক কাজল। তিন মামলায় জামিন চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন কাজল। যার পরিপ্রেক্ষিতে শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় গত ১৯ অক্টোবর হাইকোর্ট কাজলের জামিন প্রশ্নে রুল দেন। রুলের শুনানি শেষে তিনি ২৪ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিন পান। কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানার মামলায় এর আগে ৩ নভেম্বর হাইকোর্ট কাজলের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছিলেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ফটোসাংবাদিক কাজল ২ দিনের রিমান্ডে