একইসাথে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করা হয়েছে। আগামী ১২ নভেম্বর মামলার নথিসহ তদন্ত কর্মকর্তাকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।
আদালতে সাংবাদিক কাজলের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজল যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে
রাজধানী ঢাকার শের-ই-বাংলা নগর থানায় কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত ৯ মার্চ মামলা করেন মাগুরা-১ আসনের সরকার দলীয় সাংসদ সাইফুজ্জামান শেখর। এরপর ১০ ও ১১ মার্চ রাজধানী হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও দুটি মামলা হয়। কিন্তু গত ১৮ মার্চ রাতে কাজলকে অপহরণ করা হয়েছে অভিযোগ এনে চকবাজার থানায় মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক।
৫৩ দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ৩ মে কাজলকে বেনাপোল সীমান্ত থেকে উদ্ধার করে আইন শৃংখলা বাহিনী। এরপর তাকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে যশোরে মামলা করা হয়। এই মামলায় গত ২০ মে যশোর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কাজলকে অব্যাহতি দেয়। কিন্তু সেদিন তাকে মুক্তি না দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই আদালতের আদেশে বলা হয়, তাকে (কাজল) ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাই তাকে মুক্তির নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে না। সেই থেকে কাজল কারাবন্দী।