কুষ্টিয়ায় মাস-উদ রুমী সেতুর টোল প্লাজায় হামলার ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শনিবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আতিকুর রহমান অনিক ও সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।
কমিটির সদস্যরা হলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সহ-সভাপতি সৌরভ খাঁন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহম্মেদ তুষার।
আরও পড়ুন: চমেকে জোনায়েদ সাকির ওপর ছাত্রলীগের হামলা
যোগাযোগ করা হলে এই বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য ছাত্রলীগ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সহ-সভাপতি সৌরভ খাঁন জানান, ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রবিবার থেকে তারা তদন্ত শুরু করবেন। ইতোমধ্যে তদন্তের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
নির্ধারিত তিন কার্য দিবসের মধ্যেই তদন্ত সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, শনিবার পর্যন্ত এ ঘটনায় ছাত্রলীগ বা টোল প্লাজার ইজারাদার কর্তৃপক্ষের কেউই থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি।
সেতুটির ইজারাদার কুষ্টিয়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার আলীর ছেলে পারভেজ আনোয়ার তনু।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আ’লীগ নেতার মৃত্যু
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে জেলা ছাত্রলীগের শোক দিবসের আলোচনা সভা ছিল। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
সভায় অংশগ্রহণের জন্য কুমারখালী ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী মোটরসাইকেল যোগে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে আসার সময় মাছ-উদ রুমী সেতুর পশ্চিম দিকের টোল প্লাজায় পৌঁছলে সেখানে দায়িত্বরত একজন কর্মী একটি মোটরসাইকেল থামানোর চেষ্টা করেন। এসময় পেছন থাকা ৪০টি মোটরসাইকেল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং টোল প্লাজায় দায়িত্বরত কর্মীদের ওপর হামলা করে। হামলায় টোল প্লাজার ছয় কর্মী আহত হন। ঘটনার সময় ছাত্রলীগেরও কয়েকজন কর্মীও আহত হয় বলে দাবি করে ছাত্রলীগ।