এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে করা এক রিটের শুনানিকালে রবিবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব তথ্য জানাতে মৌখিক নির্দেশ দেন। সোমবারের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে এসব তথ্য জানাতে নির্দেশনা দিয়ে সেদিন আদেশের জন্য রেখেছে।
রাষ্ট্রপক্ষের কাছে যে বিষয়গুলো হাইকোর্ট চেয়েছে তা হলো- সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে দেয়া সাজা ও দণ্ড আদেশের অনুলিপি, অভিযান কারা পরিচালনা করেছে মোবাইল কোর্ট নাকি টাস্কফোর্স, রাতে অভিযান পরিচালনার বিষয়ে আইন অনুসারে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে কিনা, অভিযান পরিচালনার কারণ এবং আইন অনুসারে ঘটনা কার সম্মুখে কখন সংঘটিত হলো তা জানাতে হবে।
এ বিষয়গুলো কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য সোমবার আদালতকে জানাবেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য।
এর আগে রবিবার সকালে বাংলা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক হারুন উর রশীদ জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন।
আবেদনে টাস্কফোর্সের নামে আরিফুল ইসলামকে অবৈধ সাজা ও আটক করা কেন সংবিধান পরিপন্থি হবে না, আরিফুল ইসলামকে ৫০ লাখ টাকা কেন ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
এছাড়া কুড়িগ্রামের ডিসি, সিনিয়র সহকারী কমিশনার, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে তাদের ভূমিকার ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য তলবের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একইসাথে আরিফের বিরুদ্ধে করা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মামলার নথি এবং টাস্কফোর্স পরিচালনার নথি তলব করা হয়েছে।
এদিকে সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে ২৫ হাজার টাকায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুজাউদ্দৌলা রবিবার জামিন দেন। তবে সাংবাদিকের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ ওই জামিন আবেদন করেননি বলে জানা গেছে।
কুড়িগ্রামে মধ্যরাতে সাংবাদিককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেয়ার অভিযোগের তদন্ত করছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গত শুক্রবার মধ্যরাতে জেলা প্রশাসনের লোকজন তার বাড়িতে গিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকেন। পরে তাকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে বাড়িতে ‘আধা বোতল মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা’ পাওয়ার ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
তবে সাংবাদিক আরিফের সহকর্মী ও পরিবারের দাবি, একটি পুকুর সংস্কার নিয়ে পত্রিকায় প্রতিবেদন করায় জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ফাঁসিয়েছেন।