সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ কৃষিনীতির খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
নতুন কৃষিনীতি সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এখানে অনেক কিছুই নতুন যোগ করা হয়েছে। যেসব আগের নীতিতে ছিল না। তাই এটাকে বেশ সমৃদ্ধ এবং বিস্তারিত বলা যায়।’
এই নীতির উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে তিনি জানান, ফসলের উৎপাদন ও কৃষকের আয় বৃদ্ধি, শস্য বহুমুখিকরণ, পুষ্টি সমৃদ্ধ নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন, লাভজনক কৃষি ও দক্ষ প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন।
প্রযুক্তি নির্ভর কৃষির ওপর এখানে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ন্যানো প্রযুক্তি সংক্রান্ত একটি অনুচ্ছেদ এখানে যোগ করা হয়েছে। যেটা আগে ছিল না, নতুনভাবে প্রস্তাব করা হয়েছে।
কৃষিতে ন্যনো প্রযুক্তি প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রাথমিকভাবে ফসলের রোগ নির্ণয়ের পাশাপাশি পুষ্টি গুণাগুন ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা হবে। পাশাপাশি ভূমির গুণাগুন পরীক্ষা করতে সেন্সর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
সভায় বিদ্যমান আইনে কিছু পরিবর্তন এনে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আইন ২০১৮-এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নতুন এই আইন সামরিক শাসনের সময় তৈরি হওয়া শিশু একাডেমি অধ্যাদেশ ১৯৬ এর আধুনিকায়ন।
তিনি আরো জানান, নতুন এই আইনে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালকের পদকে মহাসচিব পদে উন্নীত করা হয়েছে।
এছাড়া একাডেমি পরিচালনার জন্য ১৭ সদস্যের একটি বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। যেখানে একাডেমির চেয়ারম্যান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের একজন প্রতিনিধি, অর্থ এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একজন করে প্রতিনিধি, তথ্য এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একজন করে প্রতিনিধি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং শিশুকল্যাণ বিভাগের একজন করে প্রতিনিধি, শিশুদের কল্যাণে অবদান রাখেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে সরকার মনোনীত চারজন ব্যক্তি-যাদের দু’জন হবেন মহিলা এবং একাডেমির মহাপরিচালক। এর সঙ্গে আইসিটি বিভাগের একজন প্রতিনিধি যুক্ত করার জন্যও নতুনভাবে বলা হয়েছে।