মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- গুলজার হোসেন, আশিক, শিহাব আহমেদ ওরফে শিবু, আহসানুল কবির ইমন, তাজুল ইসলাম তানু, জাহাঙ্গীর খাঁ ওরফে জাহাঙ্গীর এবং রফিকুল ইসলাম ওরফে আমিন ওরফে টুন্ডা আমিন। তারা সবাই পলাতক রয়েছেন।
ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের পেশকার সামছুদ্দিন।
তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শম্পা নামে একজনকে খালাস দিয়েছে আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাতজনকেই সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন কোন্ডা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্ল্যাহ চৌধুরী। নিখোঁজের পরদিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর এলাকার একটি হাসপাতালে তার আগুনে পোড়া বিকৃত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা যায়, আসামিরা তাকে হত্যা করে মরদেহ গোপন করার উদ্দেশ্যে পুড়িয়ে ফেলে। পরে আতিকের সাথে থাকা কাগজ ও এটিএম কার্ড দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন তার ছেলে সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী।
পরে সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয় পুলিশ।
২০১৫ সালের ২ জুলাই আটজন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। মামলায় ২১ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ১১ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।