সড়ক দুর্ঘটনা রোধে মঙ্গলবার নিজ মন্ত্রণালয়ে বুদ্ধিজীবী ও বিশেষজ্ঞদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় শুধুমাত্র নীতিগতভাবে সড়ক পরিবহন বিল অনুমোদিত হয়েছে। সুতরাং, এটা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই।’
মন্ত্রী জানান, বিলটি এখন সংসদে উত্থাপন করা হবে এবং তা অধিকতর যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হবে। কমিটির সভায় বুদ্ধিজীবী ও বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বর্তমান সরকারের শেষ সংসদ অধিবেশন হতে যাওয়া আসন্ন অধিবেশনে বিলটি পাস করা হবে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়া হবে না বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
বিলটি এক বছর আগে মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয়েছিল এবং এতদিন অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের স্যালুট জানাই, কারণ তাদের আন্দোলনের ফলে এটি শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, তারা মহাসড়কে তিন চাকার যান ও হিউম্যান হলার চলাচল বন্ধে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এসব যান চলাচলে মদদ দিচ্ছেন। তারা সহযোগিতা করলে হিউম্যান হলার বন্ধ করা যাবে।
রাজনীতিকে নিয়মের ভেতরে আনা হলে সবকিছু শৃঙ্খলায় চলে আসবে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, কলাম লেখক আবুল মকসুদ, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক মালিক সমিতির চেয়ারম্যান ফারুক তালুকদার প্রমুখ।