খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য প্রাণীদের প্রতি সদয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা।
এ বিষয়ে নিজেদের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে বলে জানান তিনি।
সিকৃবি উপাচার্য আরও বলেন, প্রাণীদের প্রতি মানুষের আচরণ প্রাণীর উৎপাদন ও প্রজননে প্রভাব ফেলে।
বুধবার (২৯ মে) সকাল ৯টায় ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিকেল সায়েন্সেস অনুষদের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।
ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর অ্যাপ্লাইড ইথোলজির (আইএসএই) উদ্যোগে এবং সিকৃবির ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিকেল সায়েন্সেস অনুষদের সহযোগিতায় ‘প্রাণীর আচরণ বিদ্যা প্রয়োগের মাধ্যমে প্রাণীর কল্যাণ ও প্রাণিজ খাদ্য উন্নয়ন’ শীর্ষক এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: মাছের টিকা উদ্ভাবন করলেন সিকৃবির শিক্ষক
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. সুলতান আহমেদ এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আমেরিকার মিশিগান স্টেইট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেনিস সিগফোর্ড এবং কানাডার কেলগেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মারিয়া ক্যামিলা কেবালস।
অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা লাকীর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিকেল সায়েন্সেস অনুষদীয় ডিন অধ্যাপক ড. মো. ছিদ্দিকুল ইসলাম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ডা. মো. আছির উদ্দিন, শাবিপ্রবি অধ্যাপক ড. রোমেল আহমেদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দিন।
আরও পড়ুন: পাঙ্গাসের মড়ক রোধে সিকৃবিতে ‘বায়োফিল্ম’ ভ্যাকসিন উদ্ভাবন
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ মাংস ও ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রাণীদের প্রতি সদয় হওয়ার মাধ্যমে মাংস ও ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি করে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। মানুষ ও পশুপাখির অনুভূতি একই। প্রাণীর আচরণ ভালোভাবে বুঝতে হলে প্রাণীদের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়াতে হবে।
এ সময় তারা প্রাণীদের ভালো খাদ্য সরবরাহ করা, ভালো বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, চিকিৎসা করানো ও সঠিক যত্নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং প্রাণীদের প্রতি নির্দয় না হওয়ার আহ্বান জানান।
দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকরা বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
কর্মশালায় আরও অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, পোল্ট্রি ও ডেইরি খামারি এবং ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিকেল সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।