বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বরে সমবেত হন শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর ১২টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন এবং দুপুর ১টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে, দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো- আবাসন সংকট দূরীকরণ, অস্বাভাবিক হারে বাড়ানো বেতন-ফি প্রত্যাহার, দ্বিতীয় পরীক্ষণের ব্যবস্থা ও কোডিং পদ্ধতির ব্যবস্থাকরণ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থি অধ্যাদেশের সংস্কার তথা সাংস্কৃতিক অবরুদ্ধতা থেকে মুক্তি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত যেসব দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে তা প্রতিকার করা।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিভিন্ন দাবি জানিয়ে গত ১৫ নভেম্বর ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের মাধ্যম উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। পরে ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ৭ দিনের সময় নেন। এর প্রেক্ষিতে ২১ নভেম্বর পুনরায় তার সাথে সাক্ষাত করেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু দীর্ঘ আলোচনার পর সেদিন শিক্ষার্থীদের সকল দাবির যথার্থতা বিবেচনা করে প্রশাসনের কাছে লিখিত বিবৃতি দেয়ার জন্য আরো ১০ দিন সময় চাওয়া হয়। সেই সময় পার হয়েছে গত ১ ডিসেম্বর। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবারের বিক্ষোভ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।