খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
খুবিতে শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল
শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল, ক্যাম্পাসে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ, স্নাতক ডিগ্রির সনদ বাতিলসহ মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার(৩ মে) বিকালে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়াসহ একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটি আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আগ পর্যন্ত ওই ছাত্রের স্নাতক ডিগ্রির সনদপত্র স্থগিত থাকবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম এসব সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, শুক্রবার(২ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলা বিভাগের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ নোমান সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকির মাথায় ধাতব কোনো বস্তু দিয়ে সজোরে আঘাত করলে তিনি মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন এবং জ্ঞান হারান। এসময় আম চুরি করতে যাওয়া ছাত্ররা পালিয়ে যায়। পরে আহত শিক্ষককে গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: খুবি শিক্ষকের উপর ছাত্রের হামলা, প্রতিবাদে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
এদিকে, শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার সংবাদ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল থেকে ছাত্ররা বেরিয়ে ক্যাম্পাসে মিছিল শুরু করেন। তারা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিচার দাবি করে ভিসির বাংলোর সামনে অবস্থান নেন। শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান থেকে সরবেন না বলে জানান। একই সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীকে সাধারণ ছাত্রদের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। রাত আড়াইটা পর্যন্ত ছাত্ররা বিক্ষোভ করেন।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শনিবার(৩ মে) বিকাল তিনটায় জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ভিসি অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম। এসময় প্রো ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ খানসহ অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
ভিসি জানান, ২৩১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ঘটনার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি উল্লিখিত সিদ্ধান্ত হয়। তাছাড়া ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে হরিণটানা থানায় ফৌজদারি আইনে মামলা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বাদী হয়ে মামলা করবেন বলেও তিনি জানান।
এছাড়া ঘটনার তদন্তে গঠিত তিন সদসস্যের কমিটির প্রধান করা হয় অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হককে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন অধ্যাপক ড. মো. খসরুল আলম ও অধ্যাপক ড. মো. আজমল হুদা।
১ দিন আগে
খুবি শিক্ষকের উপর ছাত্রের হামলা, প্রতিবাদে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের প্রভাষক ও সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকির উপর হামলা করেছেন সাবেক এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন খুবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (০২ মে) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।হামলাকারী ওই শিক্ষার্থীর নাম আবদুল্লাহ নোমান। তিনি বাংলা বিভাগের ২০১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এ হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন শিক্ষক সাকি। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে হামলার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে গভীর রাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। হামলাকারী নোমানকে ক্যাম্পাসে আজীবনের জন্য অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছেন তারা। তাকে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়াসহ ঢাকা-খুলনায় থাকা শেখ পরিবারের জমি জব্দের আদেশ
এদিকে রাত ১টার দিকে ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম। শিক্ষকের ওপর শিক্ষার্থীর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।
তিনি ইউএনবি কে বলেন, ‘আমি নির্বাক। শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা একটি নিকৃষ্ট ও গর্হিত কাজ। যা কখনও চিন্তা করা যায় না। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ বছর ইতিহাসে এ ধরনের জঘন্যতম ঘটনা একটিও ঘটেনি।’
উপাচার্য আরও বলেন, একজন শিক্ষক লাঞ্ছিত করা মানে পুরো শিক্ষক সমাজকেই লাঞ্ছিত করা। হামলাকারীকে শাস্তির আওতায় আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সচেষ্ট থাকবে।
২ দিন আগে
দুর্বৃত্তের গুলিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ণব কুমার সরকার নামে এক ছাত্রকে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাত সোয়া ১০টার দিকে নগরীর শেখপাড়া তেঁতুলতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
রাতে সর্বশেষ খবর পার্ওয়া পর্যন্ত নিহত অর্ণবের লাশ খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছিল।
নিহত অর্নব (২২) নগরীর বসুপাড়া এলাকার বাসিন্দা নিতিশ কুমার সরকারের ছেলে। তিনি খুবি’র ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নামাজে যাওয়ার পথে ব্যবসায়ীকে গুলি করা হত্যা
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ আহসান হাবীব এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানা গেছে, শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে শেখপাড়া তেঁতুলতলা মোড়ে একটি মোটরসাইকেলে হেলান দিয়ে অর্ণব চা পান করছিলেন। এ সময় ১০ থেকে ১৫টি মোটরসাইকেলে করে সশস্ত্র লোকজন এসে প্রথমে তাকে গুলি করে। গুলি তার গায়ে লাগার পর রাস্তার ওপর পড়ে গেলে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় অর্নবকে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত অর্ণবের লাশ খুমেক হাসপাতালে রয়েছে। শুনেছি তাকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে তার শরীরের কোথায় গুলি ও কোপানো হয়েছে, তা এই মুহূর্তে বলতে পারবো না। আমরা এখনও তাকে দেখতে পারিনি। কারা বা কী কারণে তাকে হত্যা করেছে, তা-ও প্রাথমিকভাবে বলা সম্ভব নয়। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ সবকিছুর খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করছি।’
খুবি’র ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শেখ মাহমুদুল হাসান, প্রভোস্ট অধ্যাপক শরিফ মোহাম্মদ খান এবং ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদাত নিশ্চিত করেন যে অর্ণব খুবি’র ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. শাহ আলম বলেন, ‘নিহত শিক্ষার্থী ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর (এমবিএ) শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করছি।’
আরও পড়ুন: সিলেটে বাজার থেকে ফেরার পথে কুপিয়ে হত্যা, লাশ মিলল সুরমায়
১০০ দিন আগে
উপকূলে ‘সুন্দরবন দিবস’ পালন
১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবনসংলগ্ন উপকূলের মানুষ দিনটিকে ‘সুন্দরবন দিবস’ হিসেবে পালন করে।
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনকে রক্ষায় খুলনাসহ উপকূলীয় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দুই দশক ধরে দিনটি পালিত হয়ে আসছে।
২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের আরও ৭০টি পরিবেশবাদী সংগঠন ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সুন্দরবন দিবস’ ঘোষণা করে প্রতিবছর তা পালন করে আসছে।
সুন্দরবনসংলগ্ন পাইকগাছা উপজেলার বাসিন্দা অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সুন্দরবন আমাদের বেঁচে থাকার বিরাট অনুষঙ্গ। সুন্দরবন দক্ষিণ এশিয়ার ফুসফুস। এটা রক্ষা করতে না পারলে আমাদের দেশ একটা বিরাট সংকটের সম্মুখীন হবে। তাই সবার আগে সুন্দরবনকে ভালোবাসতে হবে। ১৪ ফেব্রুয়ারি আমাদের কাছে সুন্দরবন দিবস।’
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন: ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি
কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি বিদেশ রঞ্জন মৃধা বলেন, ‘১৪ ফেব্রুয়ারি আমরা উপকূলের মানুষকে সুন্দরবনকে ভালোবাসতে উদ্বুদ্ধ করতে চাই। অনেকেই বুঝতে পারছে না সুন্দরবনের কী ক্ষতিটা হচ্ছে। লবণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় প্রাকৃতিক অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। এখন সুন্দরবনে সুন্দরী গাছ নেই। সেখানে গরান, গেওয়া, কেওড়া বাড়ছে। সুন্দরবনের পানি ও মাটিতে পরিবর্তন এসেছে। এই সুন্দরবন না থাকলে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে কয়রা উপজেলার নাম–নিশানা মুছে যেত।’
সুন্দরবনসংলগ্ন মহিশরীপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার কেরামত মাওলা বলেন, ‘এখন আমাদের সুন্দরবনের পাশের নদীতেও সেভাবে মাছ পাওয়া যায় না। মুনাফালোভীরা সুন্দরবনকে ধ্বংস করার জন্য বিষ দিয়ে প্রাণী হত্যা করছে। আগে যে সংখ্যক হরিণ দেখা যেত, সেটা এখন দেখা যায় না। বিষ দিয়ে মাছ ধরার বিষক্রিয়ায় শূকর, বাঘ ও অন্য প্রাণীরা হুমকির মুখে পড়ে। গোলপাতা আহরণকারীরা ৫০০ মণের পারমিট নিয়ে কয়েক হাজার মণ পাতা কাটে। আমরা স্থানীয় বাসিন্দাদের এসব বিষয়ে সুন্দরবন দিবসে সচেতন করতে চাই।’
বন বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে বলেন, সুন্দরবনে ৫ হাজার প্রজাতির সম্পূরক উদ্ভিদ, ১৯৮ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ১২৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ৫৭৯ প্রজাতির পাখি, ১২৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী ও ৩০ প্রজাতির চিংড়ি মাছ আছে। সুন্দরবনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ সমগ্র দেশের পরিবেশ। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দুই কোটি মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক অবস্থাও সুন্দরবনের উপর কমবেশি নির্ভরশীল। তাই যেকোনো মূল্যে আমাদের প্রাকৃতিক এই সুরক্ষা দেয়ালকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে সুন্দরবনের ক্ষতি হয়, এমন যেকোনো কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসতে হবে।
উল্লেখ করা যায় সুন্দরবন পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সুন্দরবন অতুলনীয় ও জীববৈচিত্র্যে অসাধারণ। এটি শুধু বাংলাদেশের মানুষের কাছে নয়, বিশ্বের প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে একটি আকর্ষণীয় স্থান।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরায় নিষেধাজ্ঞা
৪৪৭ দিন আগে
সুন্দরবনের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মূল্যায়ন করবে আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্রের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নে একসঙ্গে কাজ করবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) ও আরণ্যক ফাউন্ডেশন।
একই সঙ্গে জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের বিকাশে যৌথ কার্যক্রম হাতে নেবে এই দুই প্রতিষ্ঠান।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হয়।
সমঝোতা স্মারকের আওতায় বন, পরিবেশ, ও জীববৈচিত্র্য বিষয়ে যৌথ গবেষণা ও প্রকাশনা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।
এছাড়াও, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রমকে সমৃদ্ধ করতে আরণ্যক ফাউন্ডেশনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো হবে।
গবেষক ও বিশেষজ্ঞ বিনিময়ের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবিলা, পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণের উদ্যোগকেও জোরদার করতে একমত হয়েছে স্বাক্ষরকারী দুই প্রতিষ্ঠান।
এ লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে যৌথভাবে প্রাসঙ্গিক কর্মশালা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে।
সমঝোতা স্মারকের আওতায় আরণ্যক ফাউন্ডেশনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন রক্ষায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির সমর্থন: মন্ত্রী
সমঝোতা স্মারকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ট্রেজারার অধ্যাপক অমিত রায় চৌধুরী ও আরণ্যক ফাউন্ডেশনের পক্ষে এর চেয়ারপার্সন ও শাহজালান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এজেডএম মনজুর রশীদ স্মাক্ষর করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মাহমুদ হোসাইন পিএইচডি, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রকিবুল হাসান মুকুল ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ মো. বখতিয়ার নূর সিদ্দিকী।
২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গত ২০ বছর ধরে দেশের প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণে কাজ করে আসছে আরণ্যক ফাউন্ডেশন। অন্যদিকে ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ২৯টি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে পারছেন শিক্ষার্থীরা।
সুন্দরবনের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মূল্যায়ন করবে আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন: ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি
সুন্দরবনে বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প, ব্যয় হবে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা
৪৯৫ দিন আগে
খুবিতে বাস ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির ৫০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বিএনপির ডাকা অবরোধে বৃহস্পতিবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বাস ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির ৫০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশিক রেজা বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক শের আলম সান্টু, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, তৈয়েবুর রহমান, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, মেখ সাদী, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান মনি, সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সদস্য সচিব সাজ্জাদ আহসান পরাগ, বিএনপি নেতা একরামুল কবির মিল্টন, তারিকুল ইসলাম তারেক, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইশতিয়াক আহমেদ ইসতি, সদস্য সচিব তাজিম বিশ্বাস, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম বাবু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি একরামুল হক হেলালসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় বিএনপির ২৯ নেতা-কর্মীর কারাদণ্ড
এছাড়া অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে বাস ভাঙচুরের ঘটনায় ১৯নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস হাওলাদার, বিএনপি কর্মী নাসির আহমেদ ও মো. দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, খুবির বাস ভাঙচুরের মামলায় বৃহস্পতিবার বিএনপির ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর শেরে বাংলা সড়কে খুবির শিক্ষক বাসে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে চালকের সহকারী জুয়েলসহ ২ জন আহত হন। বাস ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি ও যুবলীগ পরস্পরকে দায়ী করেছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত
প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুর মামলা: ফখরুলের জামিন আবেদনের শুনানি ৭ ডিসেম্বর
৫১৩ দিন আগে
আগামীকাল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস, শিক্ষা কার্যক্রমের ৩৩ বছর পূর্তি
আগামীকাল (২৫ নভেম্বর) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) দিবস। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রমের ৩৩ বছর পূর্ণ করে ৩৪ বছরে পদার্পন করছে।
খুবি প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আপামর মানুষের নিরলস প্রচেষ্টা ও ত্যাগ। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৮৭ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
১৯৮৯ সালের ৯ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করা হয়। ১৯৯০ সালের জুলাই মাসে জাতীয় সংসদে ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৯০’ পাস হয়, যা গেজেট আকারে প্রকাশ হয় ওই বছর ৩১ জুলাই।
এরপর ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে ৪টি ডিসিপ্লিনে ৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়। ১৯৯১ সালের ৩০ আগস্ট প্রথম ওরিয়েন্টেশন এবং ৩১ আগস্ট ক্লাস শুরুর মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমের সূচনা হয়।
একই বছরের ২৫ নভেম্বর শিক্ষাকার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। প্রতিবছর এ দিনটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়ে আসছে।
দিবসটি যথাযথভাবে পালনের জন্য এ বছর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অংশীজনদের অংশগ্রহণে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে কালজয়ী মুজিব ও শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। পরে মুক্তমঞ্চে বিভাগ/ডিসিপ্লিনসমূহের গত বছরের অর্জন ও আগামী বছরের পরিকল্পনা উপস্থাপনার ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন, সন্ধ্যা ৬টায় গত বছরের কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থী ও সংগঠনমূহকে সম্মাননা প্রদান, সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- যোহর নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল ও মন্দিরে প্রার্থনা।
এছাড়া ক্যাম্পাসের মেইন গেট, রাস্তা, শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসভবন, ক্যাফেটেরিয়া, লাইব্রেরি ভবন, একাডেমিক ভবন ও হলসমূহ আলোকসজ্জা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুবি অ্যালামনাইয়ের 'খুরশীদ-আক্তার' প্যানেলের পরিচিতি সভা ও ইশতেহার ঘোষণা
৫২৭ দিন আগে
শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ১০ খুবি শিক্ষার্থীকে শাস্তি
শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ১০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
১৫ নভেম্বর এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার (২১নভেম্বর) বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
মাদক সেবন, সহপাঠীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, গালিগালাজ, রাতে মাঠে আটকে রাখা ও ব্যাচ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেওয়ার সুনিদিষ্ট অভিযোগে এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে সড়ক অবরোধ
শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের সাইফ নেওয়াজ, মো. সুমন রহমান, সানজিদা আফরিন ময়ূরী, মো. নূর আলম, মো. বনি আমিন; ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের মুহাম্মদ জারিফ, হিজবুল্লাহ তামিম এবং নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনার শিক্ষার্থ মো. কবিরুল ইসলাম বিন্দু, সন্দীপ পাল ও মোজতাবা ফাহিম।
এদের মধ্যে সাইফ নেওয়াজকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, সুমন রহমানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, সানজিদা আফরিন ময়ূরীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা, নূর আলমকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা, বনি আমিনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং মুহাম্মদ জারিফকে পরবর্তী দুই টার্ম অর্থাৎ তৃতীয় বর্ষের প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২ বছরের জন্য বহিষ্কার ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং মাদকদ্রব্য সেবনের অভিযোগে মো. কবিরুল ইসলাম বিন্দুকে পরবর্তী ২ টার্ম অর্থাৎ চতুর্ষ বর্ষের প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২ বছরের জন্য বহিষ্কার ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, সন্দীপ পালকে পরবর্তী ২ টার্ম অর্থাৎ চতুর্ষ বর্ষের প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২ বছরের জন্য বহিষ্কার ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও মোজতাবা ফাহিমকে পরবর্তী ২ টার্ম অর্থাৎ চতুর্ষ বর্ষের প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২ বছরের জন্য বহিষ্কার ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও হিজবুল্লাহ তামিমকে সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: খুবি ও খুকৃবিতে রবিবার সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা
এছাড়া, ভবিষ্যতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আচরণ-শৃঙ্খলা অধ্যাদেশ পরিপন্থী কোনো কাজে লিপ্ত হবে না মর্মে প্রত্যেককে আগামী এক মাসের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ (এনআইডি) অভিভাবকদের উপস্থিতির নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক মো. শরীফ হাসান লিটন বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সুনিদিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলে আপিল করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে খুবি উপকেন্দ্রে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু
৫২৯ দিন আগে
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮২ শিক্ষার্থী পাচ্ছেন জাতীয় বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ফেলোশিপ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা প্রকল্পের অধীনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপ পাচ্ছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের ১৮২ শিক্ষার্থী। সম্প্রতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রতন কুমার মণ্ডলের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ফেলোশিপ ঘোষণা করা হয়।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় তিন ক্যাটাগরিতে এ ফেলোশিপ দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভৌত বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিন থেকে ৩৬ জন, রসায়ন ডিসিপ্লিন থেকে ১২ জন, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন থেকে ১০ জন, পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন থেকে ১০ জন, পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিন থেকে ৮ জন, গণিত ডিসিপ্লিন থেকে ৭ জন, নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিন থেকে ৩ জন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন এবং স্থাপত্য ডিসিপ্লিন থেকে ১ জনসহ মোট ৮৮ জনকে মনোনীত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সিএমএ পেশার গুরুত্ব বিষয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার
খাদ্য ও কৃষি বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ৬৯ জনের মধ্যে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিন থেকে ২৮ জন, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন থেকে ১৬ জন, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিন থেকে ১৫ জন এবং সয়েল ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিসিপ্লিন থেকে ১০ জনকে মনোনীত করা হয়েছে।
জীব ও চিকিৎসা বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ২৪ জনের মধ্যে ফার্মেসি ডিসিপ্লিন থেকে ১৮ জন এবং বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন থেকে ৬ জন মনোনীত হয়েছেন। এ ছাড়া পিএইচডি শিক্ষার্থী হিসেবে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিন থেকে একজনকে ফেলোশিপের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
এদিকে ফেলোশিপের জন্য মনোনীতদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উৎসাহিত করা হচ্ছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণায় অনুদান দেওয়া হচ্ছে। নিজস্ব রিসার্চ ইনডোমেন্ট ফান্ড গঠন করা হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও গবেষণায় আত্মনিবেশ করছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ফেলোশিপে এত বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী ও গবেষকের মনোনীত হওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও গৌরবের।
আরও পড়ুন: ৩১-এ পদার্পণ, নানা আয়োজনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন
৫৬৮ দিন আগে
শনিবার থেকে খুবি উপকেন্দ্রে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) উপকেন্দ্রে আগামীকাল শনিবার (৬ মে) থেকে শুরু হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা।
এদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত কলা ও মানবিক, আইন এবং সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা খুবি ক্যাম্পাস ছাড়াও দেলদার আহমেদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রেভারেন্ড পলস্ হাইস্কুল ও হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দিনের ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৫৯৭ জন।
প্রথম দিনের ভর্তি পরীক্ষায় খুবি ১৬০০০০১ থেকে ১৬০৪৭৮৬ পর্যন্ত মোট ৪৭৮২ জন, দেলদার আহমেদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৬০৪৭৮৭ থেকে ১৬০৬৬০৭ পর্যন্ত মোট ১৮২০ জন, রেভারেন্ড পলস্ হাই স্কুলে ১৬০৬৬০৮ থেকে ১৬০৮১০৯ পর্যন্ত মোট ১৫০০ জন এবং হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ১৬০৮১১০ থেকে ১৬০৮৬০৬ পর্যন্ত মোট ৪৯৫ জন পরীক্ষার্থীর আসন রয়েছে।
আগামী ১২ মে বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা খুবি ক্যাম্পাস ছাড়াও দেলদার আহমেদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও রেভারেন্ড পলস্ হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া, আগামী ১৩ মে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: খুবিতে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ
খুবিতে সশরীরে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৩০ জানুয়ারি
খুবিতে ক্লাস শুরু, ক্যাম্পাসে ফিরেছে প্রাণ
৭৩০ দিন আগে