খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
উপকূলে ‘সুন্দরবন দিবস’ পালন
১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবনসংলগ্ন উপকূলের মানুষ দিনটিকে ‘সুন্দরবন দিবস’ হিসেবে পালন করে।
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনকে রক্ষায় খুলনাসহ উপকূলীয় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দুই দশক ধরে দিনটি পালিত হয়ে আসছে।
২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের আরও ৭০টি পরিবেশবাদী সংগঠন ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সুন্দরবন দিবস’ ঘোষণা করে প্রতিবছর তা পালন করে আসছে।
সুন্দরবনসংলগ্ন পাইকগাছা উপজেলার বাসিন্দা অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সুন্দরবন আমাদের বেঁচে থাকার বিরাট অনুষঙ্গ। সুন্দরবন দক্ষিণ এশিয়ার ফুসফুস। এটা রক্ষা করতে না পারলে আমাদের দেশ একটা বিরাট সংকটের সম্মুখীন হবে। তাই সবার আগে সুন্দরবনকে ভালোবাসতে হবে। ১৪ ফেব্রুয়ারি আমাদের কাছে সুন্দরবন দিবস।’
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন: ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি
কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি বিদেশ রঞ্জন মৃধা বলেন, ‘১৪ ফেব্রুয়ারি আমরা উপকূলের মানুষকে সুন্দরবনকে ভালোবাসতে উদ্বুদ্ধ করতে চাই। অনেকেই বুঝতে পারছে না সুন্দরবনের কী ক্ষতিটা হচ্ছে। লবণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় প্রাকৃতিক অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। এখন সুন্দরবনে সুন্দরী গাছ নেই। সেখানে গরান, গেওয়া, কেওড়া বাড়ছে। সুন্দরবনের পানি ও মাটিতে পরিবর্তন এসেছে। এই সুন্দরবন না থাকলে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে কয়রা উপজেলার নাম–নিশানা মুছে যেত।’
সুন্দরবনসংলগ্ন মহিশরীপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার কেরামত মাওলা বলেন, ‘এখন আমাদের সুন্দরবনের পাশের নদীতেও সেভাবে মাছ পাওয়া যায় না। মুনাফালোভীরা সুন্দরবনকে ধ্বংস করার জন্য বিষ দিয়ে প্রাণী হত্যা করছে। আগে যে সংখ্যক হরিণ দেখা যেত, সেটা এখন দেখা যায় না। বিষ দিয়ে মাছ ধরার বিষক্রিয়ায় শূকর, বাঘ ও অন্য প্রাণীরা হুমকির মুখে পড়ে। গোলপাতা আহরণকারীরা ৫০০ মণের পারমিট নিয়ে কয়েক হাজার মণ পাতা কাটে। আমরা স্থানীয় বাসিন্দাদের এসব বিষয়ে সুন্দরবন দিবসে সচেতন করতে চাই।’
বন বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে বলেন, সুন্দরবনে ৫ হাজার প্রজাতির সম্পূরক উদ্ভিদ, ১৯৮ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ১২৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ৫৭৯ প্রজাতির পাখি, ১২৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী ও ৩০ প্রজাতির চিংড়ি মাছ আছে। সুন্দরবনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ সমগ্র দেশের পরিবেশ। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দুই কোটি মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক অবস্থাও সুন্দরবনের উপর কমবেশি নির্ভরশীল। তাই যেকোনো মূল্যে আমাদের প্রাকৃতিক এই সুরক্ষা দেয়ালকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে সুন্দরবনের ক্ষতি হয়, এমন যেকোনো কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসতে হবে।
উল্লেখ করা যায় সুন্দরবন পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সুন্দরবন অতুলনীয় ও জীববৈচিত্র্যে অসাধারণ। এটি শুধু বাংলাদেশের মানুষের কাছে নয়, বিশ্বের প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে একটি আকর্ষণীয় স্থান।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরায় নিষেধাজ্ঞা
৮ মাস আগে
সুন্দরবনের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মূল্যায়ন করবে আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্রের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নে একসঙ্গে কাজ করবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) ও আরণ্যক ফাউন্ডেশন।
একই সঙ্গে জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের বিকাশে যৌথ কার্যক্রম হাতে নেবে এই দুই প্রতিষ্ঠান।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হয়।
সমঝোতা স্মারকের আওতায় বন, পরিবেশ, ও জীববৈচিত্র্য বিষয়ে যৌথ গবেষণা ও প্রকাশনা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।
এছাড়াও, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রমকে সমৃদ্ধ করতে আরণ্যক ফাউন্ডেশনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো হবে।
গবেষক ও বিশেষজ্ঞ বিনিময়ের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবিলা, পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণের উদ্যোগকেও জোরদার করতে একমত হয়েছে স্বাক্ষরকারী দুই প্রতিষ্ঠান।
এ লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে যৌথভাবে প্রাসঙ্গিক কর্মশালা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে।
সমঝোতা স্মারকের আওতায় আরণ্যক ফাউন্ডেশনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন রক্ষায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির সমর্থন: মন্ত্রী
সমঝোতা স্মারকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ট্রেজারার অধ্যাপক অমিত রায় চৌধুরী ও আরণ্যক ফাউন্ডেশনের পক্ষে এর চেয়ারপার্সন ও শাহজালান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এজেডএম মনজুর রশীদ স্মাক্ষর করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মাহমুদ হোসাইন পিএইচডি, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রকিবুল হাসান মুকুল ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ মো. বখতিয়ার নূর সিদ্দিকী।
২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গত ২০ বছর ধরে দেশের প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণে কাজ করে আসছে আরণ্যক ফাউন্ডেশন। অন্যদিকে ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ২৯টি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে পারছেন শিক্ষার্থীরা।
সুন্দরবনের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মূল্যায়ন করবে আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন: ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি
সুন্দরবনে বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প, ব্যয় হবে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা
১০ মাস আগে
খুবিতে বাস ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির ৫০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বিএনপির ডাকা অবরোধে বৃহস্পতিবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বাস ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির ৫০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশিক রেজা বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক শের আলম সান্টু, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, তৈয়েবুর রহমান, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, মেখ সাদী, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান মনি, সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সদস্য সচিব সাজ্জাদ আহসান পরাগ, বিএনপি নেতা একরামুল কবির মিল্টন, তারিকুল ইসলাম তারেক, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইশতিয়াক আহমেদ ইসতি, সদস্য সচিব তাজিম বিশ্বাস, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম বাবু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি একরামুল হক হেলালসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় বিএনপির ২৯ নেতা-কর্মীর কারাদণ্ড
এছাড়া অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে বাস ভাঙচুরের ঘটনায় ১৯নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস হাওলাদার, বিএনপি কর্মী নাসির আহমেদ ও মো. দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, খুবির বাস ভাঙচুরের মামলায় বৃহস্পতিবার বিএনপির ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর শেরে বাংলা সড়কে খুবির শিক্ষক বাসে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে চালকের সহকারী জুয়েলসহ ২ জন আহত হন। বাস ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি ও যুবলীগ পরস্পরকে দায়ী করেছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত
প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুর মামলা: ফখরুলের জামিন আবেদনের শুনানি ৭ ডিসেম্বর
১০ মাস আগে
আগামীকাল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস, শিক্ষা কার্যক্রমের ৩৩ বছর পূর্তি
আগামীকাল (২৫ নভেম্বর) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) দিবস। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রমের ৩৩ বছর পূর্ণ করে ৩৪ বছরে পদার্পন করছে।
খুবি প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আপামর মানুষের নিরলস প্রচেষ্টা ও ত্যাগ। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৮৭ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
১৯৮৯ সালের ৯ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করা হয়। ১৯৯০ সালের জুলাই মাসে জাতীয় সংসদে ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৯০’ পাস হয়, যা গেজেট আকারে প্রকাশ হয় ওই বছর ৩১ জুলাই।
এরপর ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে ৪টি ডিসিপ্লিনে ৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়। ১৯৯১ সালের ৩০ আগস্ট প্রথম ওরিয়েন্টেশন এবং ৩১ আগস্ট ক্লাস শুরুর মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমের সূচনা হয়।
একই বছরের ২৫ নভেম্বর শিক্ষাকার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। প্রতিবছর এ দিনটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়ে আসছে।
দিবসটি যথাযথভাবে পালনের জন্য এ বছর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অংশীজনদের অংশগ্রহণে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে কালজয়ী মুজিব ও শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। পরে মুক্তমঞ্চে বিভাগ/ডিসিপ্লিনসমূহের গত বছরের অর্জন ও আগামী বছরের পরিকল্পনা উপস্থাপনার ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন, সন্ধ্যা ৬টায় গত বছরের কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থী ও সংগঠনমূহকে সম্মাননা প্রদান, সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- যোহর নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল ও মন্দিরে প্রার্থনা।
এছাড়া ক্যাম্পাসের মেইন গেট, রাস্তা, শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসভবন, ক্যাফেটেরিয়া, লাইব্রেরি ভবন, একাডেমিক ভবন ও হলসমূহ আলোকসজ্জা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুবি অ্যালামনাইয়ের 'খুরশীদ-আক্তার' প্যানেলের পরিচিতি সভা ও ইশতেহার ঘোষণা
১১ মাস আগে
শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ১০ খুবি শিক্ষার্থীকে শাস্তি
শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ১০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
১৫ নভেম্বর এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার (২১নভেম্বর) বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
মাদক সেবন, সহপাঠীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, গালিগালাজ, রাতে মাঠে আটকে রাখা ও ব্যাচ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেওয়ার সুনিদিষ্ট অভিযোগে এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে সড়ক অবরোধ
শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের সাইফ নেওয়াজ, মো. সুমন রহমান, সানজিদা আফরিন ময়ূরী, মো. নূর আলম, মো. বনি আমিন; ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের মুহাম্মদ জারিফ, হিজবুল্লাহ তামিম এবং নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনার শিক্ষার্থ মো. কবিরুল ইসলাম বিন্দু, সন্দীপ পাল ও মোজতাবা ফাহিম।
এদের মধ্যে সাইফ নেওয়াজকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, সুমন রহমানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, সানজিদা আফরিন ময়ূরীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা, নূর আলমকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা, বনি আমিনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং মুহাম্মদ জারিফকে পরবর্তী দুই টার্ম অর্থাৎ তৃতীয় বর্ষের প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২ বছরের জন্য বহিষ্কার ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং মাদকদ্রব্য সেবনের অভিযোগে মো. কবিরুল ইসলাম বিন্দুকে পরবর্তী ২ টার্ম অর্থাৎ চতুর্ষ বর্ষের প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২ বছরের জন্য বহিষ্কার ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, সন্দীপ পালকে পরবর্তী ২ টার্ম অর্থাৎ চতুর্ষ বর্ষের প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২ বছরের জন্য বহিষ্কার ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও মোজতাবা ফাহিমকে পরবর্তী ২ টার্ম অর্থাৎ চতুর্ষ বর্ষের প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২ বছরের জন্য বহিষ্কার ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও হিজবুল্লাহ তামিমকে সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: খুবি ও খুকৃবিতে রবিবার সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা
এছাড়া, ভবিষ্যতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আচরণ-শৃঙ্খলা অধ্যাদেশ পরিপন্থী কোনো কাজে লিপ্ত হবে না মর্মে প্রত্যেককে আগামী এক মাসের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ (এনআইডি) অভিভাবকদের উপস্থিতির নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক মো. শরীফ হাসান লিটন বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সুনিদিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলে আপিল করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে খুবি উপকেন্দ্রে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু
১১ মাস আগে
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮২ শিক্ষার্থী পাচ্ছেন জাতীয় বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ফেলোশিপ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা প্রকল্পের অধীনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপ পাচ্ছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের ১৮২ শিক্ষার্থী। সম্প্রতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রতন কুমার মণ্ডলের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ফেলোশিপ ঘোষণা করা হয়।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় তিন ক্যাটাগরিতে এ ফেলোশিপ দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভৌত বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিন থেকে ৩৬ জন, রসায়ন ডিসিপ্লিন থেকে ১২ জন, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন থেকে ১০ জন, পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন থেকে ১০ জন, পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিন থেকে ৮ জন, গণিত ডিসিপ্লিন থেকে ৭ জন, নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিন থেকে ৩ জন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন এবং স্থাপত্য ডিসিপ্লিন থেকে ১ জনসহ মোট ৮৮ জনকে মনোনীত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সিএমএ পেশার গুরুত্ব বিষয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার
খাদ্য ও কৃষি বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ৬৯ জনের মধ্যে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিন থেকে ২৮ জন, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন থেকে ১৬ জন, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিন থেকে ১৫ জন এবং সয়েল ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিসিপ্লিন থেকে ১০ জনকে মনোনীত করা হয়েছে।
জীব ও চিকিৎসা বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ২৪ জনের মধ্যে ফার্মেসি ডিসিপ্লিন থেকে ১৮ জন এবং বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন থেকে ৬ জন মনোনীত হয়েছেন। এ ছাড়া পিএইচডি শিক্ষার্থী হিসেবে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিন থেকে একজনকে ফেলোশিপের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
এদিকে ফেলোশিপের জন্য মনোনীতদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উৎসাহিত করা হচ্ছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণায় অনুদান দেওয়া হচ্ছে। নিজস্ব রিসার্চ ইনডোমেন্ট ফান্ড গঠন করা হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও গবেষণায় আত্মনিবেশ করছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ফেলোশিপে এত বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী ও গবেষকের মনোনীত হওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও গৌরবের।
আরও পড়ুন: ৩১-এ পদার্পণ, নানা আয়োজনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন
১ বছর আগে
শনিবার থেকে খুবি উপকেন্দ্রে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) উপকেন্দ্রে আগামীকাল শনিবার (৬ মে) থেকে শুরু হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা।
এদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত কলা ও মানবিক, আইন এবং সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা খুবি ক্যাম্পাস ছাড়াও দেলদার আহমেদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রেভারেন্ড পলস্ হাইস্কুল ও হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দিনের ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৫৯৭ জন।
প্রথম দিনের ভর্তি পরীক্ষায় খুবি ১৬০০০০১ থেকে ১৬০৪৭৮৬ পর্যন্ত মোট ৪৭৮২ জন, দেলদার আহমেদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৬০৪৭৮৭ থেকে ১৬০৬৬০৭ পর্যন্ত মোট ১৮২০ জন, রেভারেন্ড পলস্ হাই স্কুলে ১৬০৬৬০৮ থেকে ১৬০৮১০৯ পর্যন্ত মোট ১৫০০ জন এবং হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ১৬০৮১১০ থেকে ১৬০৮৬০৬ পর্যন্ত মোট ৪৯৫ জন পরীক্ষার্থীর আসন রয়েছে।
আগামী ১২ মে বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা খুবি ক্যাম্পাস ছাড়াও দেলদার আহমেদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও রেভারেন্ড পলস্ হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া, আগামী ১৩ মে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: খুবিতে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ
খুবিতে সশরীরে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৩০ জানুয়ারি
খুবিতে ক্লাস শুরু, ক্যাম্পাসে ফিরেছে প্রাণ
১ বছর আগে
বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান সৃষ্টির জায়গা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান সৃষ্টির জায়গা, জ্ঞান সৃষ্টি করতে হলে গবেষণা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে পরীক্ষার ভীতি দূর করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ছাড়া জীবনকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। নিজেদের উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার জরুরি। আমরা কেউই প্রযুক্তির বাইরে নই। প্রযুক্তি যেভাবে এগোচ্ছে আমাদেরও সেভাবে এগিয়ে যেতে হবে। এজন্য আমাদের উদ্ভাবন করতে হবে। উদ্ভাবনা ছাড়া আমরা এগোতে পারবো না। আমরাই উদ্ভাবন করতে চাই, আমরাই নেতৃত্ব দিতে চাই।’
রবিবার সন্ধ্যায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুল আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন এসটিইএম অ্যান্ড দ্য ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুল্যুশন’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের শিক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে দীপু মনির ৪ প্রস্তাব উত্থাপন
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বিশ্বকে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি ‘আমরাও পারি’। পদ্মা সেতু নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
তিনি বলেন, চলমান আরও কয়েকটি মেগা প্রকল্প কয়েক বছরের মধ্যে বাস্তবায়িত হলে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবসহ বিশ্বময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে যে পরিবর্তন ও অগ্রগতি হচ্ছে, তাতে আমরাও প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরাও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল অংশীদার হতে চাই। শিক্ষাক্ষেত্রে সফট স্কিল আমাদের সংস্কৃতির মধ্যেই ধারণ করতে মনোভাব স্থির করতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে সামনে পরিবর্তনের বদলে রূপান্তর আসছে।
রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি থেকে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে সড়কপথে তিন ঘণ্টায় খুলনায় আসার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে দীপু মনি বলেন, পদ্মা সেতু হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশপ্রেমের প্রতিচ্ছবি। তার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছি। এখন আমরা ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন আমরা ইনোভেটিভ বাংলাদেশ হতে চাই। আমরা সবাই এর সঙ্গী হবো।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আমাদের প্রস্তুতি ও দিকনির্দেশনার ক্ষেত্রে বড় মাইলফলক। এটা আমাদের চিন্তার জগতে পরিবর্তন সূচিত করবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে এবং ইন্ডাস্ট্রি-ইউনিভার্সিটি যৌথ উদ্যোগ ও গবেষণার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনে উৎসাহ জোগাবে।
আরও পড়ুন: চলতি বছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হচ্ছে না: শিক্ষামন্ত্রী
সম্মেলন আয়োজক কমিটির সভাপতি বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আফরোজা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা ও সদস্য-সচিব প্রফেসর ড. মো. হায়দার আলী বিশ্বাস।
২ বছর আগে
যৌন হয়রানির অভিযোগে খুবির আরেক শিক্ষক বরখাস্ত
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) চারুকলা অনুষদের অধীন ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের এক সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন ২২ শিক্ষার্থী। তাদের প্রত্যেকেরই অভিযোগ বিভিন্ন সময় শিক্ষক বিটপ শোভন ছাত্রীদের মৌখিক ও মানসিকভাবে যৌন হয়রানি করতেন।
গত রবিবার (৩ এপ্রিল) এই শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও সব ঘটনাকেই সাজানো ও ষড়যন্ত্র দাবি ওই শিক্ষকের।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম বিটপ শোভন বাছাড়।
এর আগে ২০২১ সালের ২৬ আগস্ট গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক ছোটন দেবনাথের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেন তারই এক সহকর্মী। ৬০ কার্যদিবসে তদন্ত শেষ করার বিধিবিধান থাকলেও সাত মাসেও শেষ করতে পারেনি তদন্ত কমিটি।
আরও পড়ুন: যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় খুবি শিক্ষক কারাগারে
অপ্রীতিকর এসব ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিব্রত বলে জানান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস।
তিনি বলেন, সব কিছু সুচারুভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। সর্বশেষ অভিযোগ পাওয়ার পর ড্রইং এ্যান্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক বিটপ শোভন বাছাড়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগেও বিভিন্ন সময়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় একাধিকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: খুবিতে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ
খুবিতে সশরীরে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৩০ জানুয়ারি
২ বছর আগে
অবশেষে রানা প্লাজা ধস মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
সাভারের রানা প্লাজা ধসে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের সাড়ে পাঁচ বছর পর ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভুইয়ার আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী সাভার থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ।
আদালত মামলার পরবর্তী সাক্ষগ্রহণের জন্য আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেন।
২০১৬ সালের ১৮ জুলাই ঢাকার তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন এবং সাক্ষ্য গ্রহণের আদেশ দেন। কিন্তু মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অধিকাংশ আসামি উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আপিল নিষ্পত্তির পর আজ মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এ মামলায় রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা কারাগারে রয়েছেন। জামিনে আছেন বাকি ৪০ আসামি।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে ধসে পড়ে সাভারের রানা প্লাজা। ভবনের নিচে চাপা পড়েন সাড়ে পাঁচ হাজার পোশাক শ্রমিক। ওই ঘটনায় এক হাজার ১৩৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেন প্রায় দুই হাজার শ্রমিক। ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে দুই হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা ধস : ৮ বছরে কেমন আছেন ঠাকুরগাঁওয়ের ৩ পরিবার
ভয়াবহ ওই ভবন ধসের ঘটনায় সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ ভবন নির্মাণে অবহেলা ও ত্রুটিজনিত অভিযোগ এনে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ১ জুন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় মোট ৫৯৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা, রানার বাবা আব্দুল খালেক, রানার মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কমিশনার হাজি মোহাম্মদ আলী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক (আর্কিটেকচার ডিসিপ্লিন) এ টি এম মাসুদ রেজা, প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসাইন, সাভার পৌরসভার মেয়র মো. রেফাতউল্লাহ, সাভার পৌরসভার সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান রাসেল, সাভার পৌরসভার সাবেক টাউন প্ল্যানার ফারজানা ইসলাম, লাইসেন্স পরিদর্শক মো. আব্দুল মোত্তালিব, পৌরসভার সাবেক সচিব মর্জিনা খান, সাবেক সচিব মো. আবুল বাশার, ফ্যান্টম এপারেলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, নিউ ওয়েব বটমস লিমিটেডের এমডি বজলুস সামাদ ও ইথার টেক্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান।
২ বছর আগে