তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় প্রমাণ করে কমিশনের সিদ্ধান্তই সবার ঊর্ধ্বে।
গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ায় জনগণ হতবাক হয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনই সর্বেসর্বা, তাদের সিদ্ধান্তই সবার ওপরে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এটিই প্রমাণিত হয়েছে, বিএনপিসহ তারা যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছে এর কোনো যৌক্তিকতা নেই।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার নিয়ে বিএনপির অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এটিই প্রমাণিত হয়েছে যে নির্বাচনে সবসময় নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হয়। সরকারের সেখানে ভূমিকা নেই। সরকার শুধু ফ্যাসিলিটেটরের ভূমিকা পালন করে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন টকশোতে আমি যেটা দেখেছি সেখান থেকে মনে হচ্ছে নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে সেখানকার ভোটাররা ও সাধারণ জনগণ তাদের (নির্বাচন কমিশনের) এ সিদ্ধান্তে হতবাক হয়েছে।’
তিনি বলেন, কারণ নির্বাচনী এলাকার কোনো জায়গায় কোনো ধরনের কোনো গণ্ডগোল হয়নি। কোনো অভিযোগ নাই। এছাড়া কোনো পোলিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসারেরও কোনো অভিযোগ ছিল না। বিন্দুমাত্র সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন পাঁচশ’ কিলোমিটার দূরে বসে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন সে ক্যামেরার রেজ্যুলেশন, ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি কেমন ছিল সেটি একটি বড় প্রশ্ন। সেটি একটি দুর্গম এলাকা। এখান থেকে ফুটেজ দেখে.. সেটি আসলে কতটুকু স্বচ্ছ বা সঠিক ফুটেজ দিচ্ছিল দ্যাটস অ্যা বিগ কোশ্চেন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে প্রিজাইডিং অফিসারের লিখিত রিপোর্ট আছে ৯৮টি কেন্দ্রের যে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে, কোনো গণ্ডগোল হয়নি এবং রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশে ভোট বন্ধ করা হয়েছে। হু ইজ অন দ্য গ্রাউন্ড।’
তিনি বলেন যে ভোট সুষ্ঠু ও অবাধ হচ্ছে আর এখানে পাঁচশ’ কিলোমিটার দূরে বসে সিসিটিভি দেখে যখন ভোট বন্ধ করা হল তখন মানুষ শুধু হতবাকই হয়নি, মানুষ বলছে এর প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্ত প্রচণ্ড প্রশ্নবিদ্ধও হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে আমাদের প্রার্থী এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘৫৩ কেন্দ্রে ভোটারদের বাইরেও দেখেছেন বলে তারা বলছেন। সেখানে কেউ চা আনতে গেছে, ভোটাদের হাত ধরে নিয়ে গেছে, প্রিজাইডিং অফিসার হয়তো একটু বের হয়েছে, সেখানে কার চেহারা কতটুকু বোঝা যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, গাইবান্ধার অজপাড়াগাঁয়ের সিসিটিভি ক্যামেরা কতটুকু রেজ্যুলেশন দিল আমার প্রশ্ন। মানুষ বলছে, তারা এ সিদ্ধান্তের ফলে নিজেদের বিতর্কিত করেছেন। আমাদের প্রার্থী যেটা বলেছে সেই ৫৩ কেন্দ্রের ভোট স্থগিত হতে পারতো।
আরও পড়ুন: তৃতীয়বার করোনায় আক্রান্ত তথ্যমন্ত্রী
বিদেশি রাষ্ট্রদূতের পরামর্শ যেন অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না হয়: তথ্যমন্ত্রী