বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা পরামর্শ দিতে পারেন উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তবে তা যেন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও কূটনৈতিক শালীনতার লঙ্ঘন না হয়।
নির্বাচন নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে সব দলে সঙ্গে কথা বলতে পারেন, নির্বাচন নিয়ে সংঘাত এড়ানোর জন্য কোনো কোনো দলের সঙ্গে একান্ত কথাও বলতে পারেন। নির্বাচন তারা যা বলছেন আমরাও তাদের সাথে একমত। আমরা স্বচ্ছ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। তারা অবশ্যই পরামর্শ দিতে পারবেন, তবে তা যাতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও কূটনৈতিক শালীনতার লঙ্ঘন না হয়।’
সোমবার মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে প্রেস কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদন গ্রহণ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ২০১৮ সালে সংলাপ করেছিল, তার ফল হিসেবে তারা ৫টি আসন পেয়েছে। বিএনপি একটি সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে। তারা নিজেদের কর্মীদের ওপর ইটপাটকেল মারছে। তাতে তারা হতাহত হচ্ছে। কিন্তু দোষ চাপাচ্ছে সরকারের ওপর। এসব অব্যাহত রাখলে জনগণ তাদের প্রতিহত করবে।
পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী ইন্দোনেশিয়া: রাষ্ট্রদূত
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে প্রেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা হয়েছে। পাঠক ও সংবাদ মাধ্যমের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে এটির প্রতিষ্ঠা। বর্তমানে প্রেস কাউন্সিলের তিরস্কার করা ছাড়া আর কোনো ক্ষমতা নেই। তবে ক্ষমতা বাড়াতে নতুন আইন প্রণয়ন চেষ্টা চলছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকদের ডাটাবেস তৈরি করা হবে। এ ব্যাপারে একটি নীতিমালার খসড়া তৈরি করেছে প্রেস কাউন্সিল। বাংলাদেশে গণমাধ্যমের যে স্বাধীনতা, তা অনেক উন্নত দেশের নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন
এসময়ে প্রেস কাউন্সিলের গত বছরের কার্যক্রম তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নিজামুল হক।
মতবিনিময়ে ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, কবি নুরুল হুদা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড উল্লেখযোগ্য কমেছে: পিটার হাস
জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজনে বর্ধিত তহবিল চায় ঢাকা: জাতিসংঘে পররাষ্ট্রমন্ত্রী