বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে এ সাইক্লিং র্যালির উদ্বোধন করেন গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) শান্তিমনি চাকমা।
পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কর্মসূচির আওতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশ এক্সটেনশন এডুকেশন সার্ভিসেস (বিজ) এ র্যালির আয়োজন করে।
শহরের ৩ কিলোমিটার সড়ক প্রদক্ষিণ করে র্যালিটি জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
এতে গোপালগঞ্জ শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০০ সাইক্লিষ্ট অংশ নেয়। সচেতনতা সৃষ্টির এই র্যালিতে অংশগ্রহলকারীরা বাল্য বিবাহ ও মাদককে না বলার আহবান জানিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শান্তিমনি চাকমা, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।
বিজের ফরিদপুর জোনের ম্যানেজার মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসার এডি চৌধুরী ইমরুল হাসান, সমাজ সেবক মোঃ এনায়েত হোসেনসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, খেলাধূলা ও সাংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি পড়াশোনা করতে হবে। তাহলেই তোমাদের মেধা ও মননের বিকাশ ঘটবে।
তিনি বলেন, বাল্য বিবাহ সমাজ ও পরিবারের জন্য দুঃখ বয়ে আনে। এটিকে প্রতিরোধ করতে হবে। মাদক সমাজ,পরিবার ও ব্যক্তিকে ধ্বংস করে। তাই মাদককে না বলতে হবে।
গোপালগঞ্জ সাইক্লিং ক্লাবের টিম লিডার মোঃ আশিকুর রহমান বলেন, বাল্য বিবাহ, মাদক, যৌতুক ইভটিজিং, জঙ্গি, সন্ত্রাসের মতো সমাজিক অপরাধ প্রতিরোধে আমরা বিভিন্ন স্কুলের কিশোর কিশোরীদের নিয়ে সাইক্লিং ক্লাব করেছি। তারা সাচেতনামূলক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সমাজের মানুষকে সচেতন করে তুলছে। পাশাপাশি নিজের দেহমন ঠিক রেখে পাড়াশোনা করছে। ভালো মানুষ হচ্ছে। এর মধ্যদিয়েই আমরা সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি।
সাংস্কৃতি ও ক্রীড়া কর্মসূচীর প্রোগ্রাম অফিসার মামুন উর রশিদ বলেন,পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কর্মসূচির আওতায় গোপালগঞ্জের প্রাথমিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়,কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া চর্চা ছড়িয়ে দিচ্ছি। এতে শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতি ও ক্রীড়ামুখি হচ্ছে। সুশিক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতি ও ক্রীড়া দিয়েই তাদের বাল্য বিবাহ,ইভটিজিং ও মাদকের বাইরে রাখতে হবে।