একই সাথে হাইকোর্টের নির্দেশনার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন (লিভ টু আপিল) শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পাশাপাশি আট সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়ে আপিল শুনানির জন্য ১৩ জুলাই দিন নির্ধারণ করে আদালত।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪৭ হাজার গ্রাম পুলিশের চাকরি জাতীয়করণের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
আদালতে গ্রাম পুলিশদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু। সাথে ছিলেন আইনজীবী হুমায়ূন কবির পল্লব। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
এর আগে গ্রাম পুলিশদের দায়ের করা রিটে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর রায় দেয় হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়টি বাস্তবায়ন করে ২০২০ সালের মার্চে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তবে সে রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। বৃহস্পতিবার লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি হয়।
প্রসঙ্গত, ঢাকার ধামরাইয়ের টুপিরবাড়ীর হাটকুশারা এলাকার বাসিন্দা লাল মিয়াসহ কয়েকজন গ্রাম পুলিশ সদস্যের করা রিটে ২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর রুল দিয়েছিল হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: বিমানের ১৭ সিবিএ নেতার বিষয়ে দুদকের পদক্ষেপ জানতে চায় হাইকোর্ট
পরে রিটকারীদের আইনজীবী হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এ বাহিনী বিভিন্ন আইনের অধীনে কাজ করে আসছে। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ সালের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ আইনের অধীনে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) গ্রাম পুলিশ বাহিনীর গঠন, প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলা ও চাকরির শর্তাবলী সম্পর্কিত বিধিমালা তৈরি করা হয়। কিন্তু এ বিধিতে তাদের কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি।
এদিকে এক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গ্রাম পুলিশদের চতুর্থ শ্রেণির স্কেল নির্ধারণে অর্থ বিভাগকে চিঠি দেয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত তারা না নেয়ায় হাইকোর্টে রিট করা হয় বলে জানান হুমায়ুন কবির পল্লব।
তিনি আরও বলেন, একজন ভিক্ষুকও দৈনিক ৫০০ টাকা আয় করে। কিন্তু একজন গ্রাম পুলিশ ২৪ ঘণ্টা কাজ করে দৈনিক মাত্র ৩০০ টাকা বেতন পান। আবার তাদেরকে নিয়োগ দেয় সরকার। কিন্তু বিধিমালায় তাদের কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি। তাই উক্ত রিট দায়ের করা হয়।