২০১৪ সালের দেয়া ওই নোটিশের বিষয়ে ৭ দিনের মধ্যে জানাতে দুদককে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জারি করা রুল শুনানিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেন।
হিসাব বিবরণী প্রকাশ করলে দুদকের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে: হাইকোর্ট
আদালতে বাদীপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ, দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এমএ আজিজ খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক।
মনজিল মোরসেদ জানান, ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ বিমানের সিবিএ নেতা মো. মসিকুর রহমান, আজাহারুল ইমাম মজুমদার, আনোয়ার হোসেন, মো. ইউনুস খান, মো. মনতাসার রহমান, মো. রুবেল চৌধুরি, মো.রফিকুল আলম, মো.আতিকুর রহমান, মো. হারুনর রশিদ, আবদুল বারি, মো. ফিরোজুল ইসলাম, মো. আবদুস সোবহান, গোলাম কায়সার আহমেদ, মো. আবদুল জব্বার এবং মো. আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তের জন্য দুদক নোটিশ দেয়। কিন্তু তারা হাজির হতে অস্বীকৃতি জানায়। সে পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের পক্ষে আর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি মর্মে সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
দুদকের ভুল তদন্তে সাজা বাতিল করেছে হাইকোর্ট, তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ
ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’ একটি রিট পিটিশন দায়ের করলে একই বছরের ৩ ফেব্রুয়রি হাইকোর্ট রুল জারি করে দুদকের পদক্ষেপে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চায়।
মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘ওই রুল শুনানির জন্য ২৮ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারিত ছিল। যদি কোনো ব্যক্তি কোনো নোটিশের বিষয়ে পদক্ষেপ না নেন, দুদক আইন অনুযায়ী সেজন্য তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার বিধান থাকলেও দুদকের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’
অর্থপাচার তদারকিতে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের তালিকা চায় হাইকোর্ট
‘যেহেতু সিবিএ নেতারা প্রভাবশালী সে কারণে যদি আইন তার নিজস্ব গতিতে না চলে তবে আইনের শাসন ব্যাহত হতে পারে এবং আইনের দৃষ্টিতে তা গ্রহণযোগ্য নয়,’ বলেন তিনি।
দুদকের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে আদালতে কোনো জবাব দাখিল করা হয়নি।