বৃহস্পতিবার বিকালে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ে এনামুর রহমান এ তথ্য জানিয়ে বলেন, চূড়ান্ত ক্ষতির পরিমাণ জানাতে আরও সাত দিন সময় লাগবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের সময় মারা যাওয়া ১০ জনের পরিবারের প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পুনর্নির্মাণ করবে।’
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ২৬ জেলার প্রত্যেককে ৫০০ বান্ডিল টিন এবং ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মতে, ১১ কিলোমিটার সড়ক এবং ২০০ সেতু ও কালভার্ট এ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ধানের ক্ষেত খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, তবে আমের বাগানে ১৫০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে।
ত্রাণের অর্থ দিয়ে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলো থেকে আম কিনবে বলেও জানান তিনি।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৫০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আরও ৮৪টি ক্ষতির মুখে রয়েছে। এর ফলে ২৫০-৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছেন, গবাদি পশুর ক্ষতি হয়েছে ১৪০ কোটি টাকা এবং মৎস্য ক্ষতি হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকার।
বুধবার বিকালে প্রবল বাতাস এবং ভারী বৃষ্টিপাতের সাথে উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আম্পান।