রবিবার নরসিংদী জেলার পলাশে অবস্থিত ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প’ এলাকা পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান তিনি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
নূরুল মজিদ বলেন, ‘কারখানার নির্মাণ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিমূলক কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এ সার কারখানায় উৎপাদিত কার্বন-ডাই-অক্সাইড পুনরায় সার উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করা যাবে। এর ফলে সারের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সারের যোগান বাড়নো সম্ভব হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পূরণ করা হবে। নতুন এ সার কারখানা নির্মাণও সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণের অংশ।
তিনি আরও বলেন, জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব এ কারখানার মাধ্যমে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার হবে। এটি নির্মাণের কারণে বর্তমানে কর্মরত কোনো শ্রমিক বা কর্মচারী কর্মহীন কিংবা বাস্তুহীন হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পরে শিল্পমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী ঘোড়াশাল সার কারখানার অফিসার্স ক্লাবে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সময় শিল্পমন্ত্রী গুণগতমান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ে এ প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করতে কারখানার কর্মকর্তা, কর্মচারী, শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, নতুন এ কারখানা নির্মাণের সাথে শ্রমিক, কর্মচারীসহ সকলের স্বার্থ জড়িত। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সবাইকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিশেষ করে, ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের নিয়মিত কারখানায় কাজ করতে হবে। শ্রমিক নেতারা ‘বেতন নেবেন কিন্তু কাজ করবেন না’- এ ধরনের সংস্কৃতিক মেনে নেয়া হবে না।
এ সময় মন্ত্রী বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠিকে স্বর্ণের খনির সাথে তুলনা করে ষোলো কোটি মানুষের বত্রিশ কোটি হাতকে উন্নয়ন ও উৎপাদনের কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে দ্রুত পৌঁছে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের পরিচালক রাজিউর রহমান মল্লিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ ও জহিরুল হক ভূঞা মোহন, বিসিআইসি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমিনুল আহসান, নরসিংদী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ভূঁইয়া ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জিয়াউর রহমান বক্তব্য দেন।