বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রাম-হাতিয়া চ্যানেলের জেলেদের অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় জলদস্যূ কামাল বাহিনীর প্রধান কামালসহ ৫ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার এবং অপহৃত ৪ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। টানা তিনদিন অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে র্যাব-৭। এসময় কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধারসহ একটি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) র্যাব-৭, চট্টগ্রামের চাঁদগাঁও ক্যাম্প (বহদ্দারহাট) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে আছে-একটি একনালা বন্দুক, দুটি ওয়ান শুটারগান, তিনটি রামদা, তিনটি চাপাতি, একটি ধারালো চাকু এবং একটি ক্ষুর উদ্ধার।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল-জলদস্যু নেতা মো. কামাল (৩৫), বাহিনী সদস্য মো. নূর নবী (২৬), মো. শামীম (২৪), মো. এ্যানি (৩১), মো. ফেরদৌস মাঝি (৩৫)। তাদের সকলের বাড়ি রামগতি ও সুবর্ণচর এলাকায়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি কোস্টগার্ড পূর্বজোনের মাধ্যমে জানা যায় কুখ্যাত জলদস্যু বাহিনীর সদস্যরা চট্টগ্রাম-হাতিয়া চ্যানেলে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা জেলেদের ব্যবহৃত কাঠের ট্রলারসহ জেলেদের অপহরণ করে। এরপর মারধর করে জেলেদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে তাদের আত্নীয় স্বজন এবং বোট মালিকের কাছে মোটা অংকের টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে।
বিষয়টি র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোয়েন্দাদের মাধ্যমে অবগত হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোডের একটি ভবনের ২য় তলায় অভিযান পরিচালনা করে। টানা ৭২ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে ৫ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের দেয়া তথ্য মতে, ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড সংলগ্ন সাগর তীরবর্তী বেড়িবাঁধ থেকে ছিনতাই করা বোটের কেভিন থেকে অপহৃত চার জেলেকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ১৮ ট্রলার ডুবি: নিহত জেলে পরিবারকে ২০ হাজার টাকা প্রদান