জেলে
ধার-দেনা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন ভোলার দুই লক্ষাধিক জেলের
ইলিশ মাছের প্রজনন বাড়াতে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে রবিবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরা। ভোলার দুই লক্ষাধিক জেলে নতুন উদ্যমে নদীতে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন। মাছঘাট ও জেলে পল্লিতে দেখা গেছে খুশির আমেজ। বিগত দিনের ধার-দেনা মিটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন জেলেরা।
রবিবার নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগে কয়েকদিন ধরে চলে জেলেদের প্রস্তুতি। ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা মেঘনা নদীর মাছঘাটে চোখে পড়ছিল জেলেদের প্রস্তুতি। কেউ নৌকা মেরামত করছিলেন, কেউবা ট্রলারে রং (আলকাতরা) করছিলেন। আবার কেউ শেষ সময়ে ইঞ্জিনের খুঁটিনাটি ত্রুটিগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখছিলেন। জেলেরা তাদের নৌকা, জাল গুছিয়ে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। তবে অপেক্ষার অবসান ঘটে রবিবার রাত ১২টার পর। নৌকা ও ট্রলার নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে নেমে পড়েন জেলেরা। প্রচুর পরিমাণে ইলিশ পেলে ২২ দিনের ক্ষতি পুষিয়ে সব ধার-দেনা কাটিয়ে উঠার স্বপ্ন দেখছেন জেলেরা। মাছের আড়ৎগুলোতে আবার প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে এমনটাই মনে করছেন আড়ৎদাররাও।
জেলেরা জানিয়েছেন, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষার জন্য গেল ১৩ অক্টোবর থেকে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে সব ধরনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞার জারি করা হয়। মাছ ধরা বন্ধ থাকায় ভোলার দুই লক্ষাধিক জেলে বেকার হয়ে পড়ে। বিকল্প কোনো কর্ম সংস্থান না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে গত ২২ দিন জেলেদের চরম দুর্ভোগে দিন কাটে। অনেকে ধার-দেনা করে সংসার চালাতে বাধ্য হয়েছেন। তবে এখন সময় এসেছে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার। প্রত্যাশা অনুযায়ী মাছ পেলে ঋণ শোধ করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে মনে করছেন জেলেরা।
মৎস্য বিভাগের হিসেবে, ভোলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৪৭ জন। এর মধ্যে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সরকারি ভিজিএফের ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ লাখ ৪০ হাজার ৯০০ জেলের জন্য। নিবন্ধিত জেলের বাইরে আরও লক্ষাধিক জেলে রয়েছেন। তাই সব জেলের ভাগ্যে চাল জুটেনি।
১ মাস আগে
মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে জেলে নিহতের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ
সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে এক বাংলাদেশি জেলে নিহতের ঘটনায় মিয়ানমার সরকারের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার(৯ অক্টোবর) কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহ পরী দ্বীপের কোনা পাড়ার বাসিন্দা উসমান (৬০) নিহত হন।
ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাসে পাঠানো একটি কূটনৈতিক নোটে বাংলাদেশ এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের কাছে মাছ ধরার সময় প্রায় ৫৮ জন বাংলাদেশি জেলে এবং উসমানের নৌকাসহ ৬টি মাছ ধরার নৌকা অপহরণ করায় বিষয়টি আরও জটিল করে তুলেছেন তারা।
আরও পড়ুন: স্পেনের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চান ড. ইউনূস
অবশেষে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও মিয়ানমার নৌবাহিনীর মধ্যে যোগাযোগের পর বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুই দফায় নৌকাসহ জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে মিয়ানমারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। মিয়ানমারকে বাংলাদেশের জলসীমার অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শন এবং ভবিষ্যতে আর কোনো উসকানি থেকে বিরত থাকার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে জাতিসংঘের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত’
২ মাস আগে
হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে জেলে নিখোঁজ
সিলেটের ওসমানীনগরে হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে অজিত সরকার নামের এক জেলে নিখোঁজ হয়েছেন।
শনিবার (১৫ জুন) সকালে উপজেলার বানাইয়া হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হলেও সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: পদ্মায় ট্রলার ডুবে গরু ব্যবসায়ী নিখোঁজ
অজিত সরকার উপজেলার সাদিপুর ইউপির লামা গাভুরটিকি গ্রামের মৃত ঠাকুরচান সরকারের ছেলে।
সাদিপুর ইউনিয়নের সচিব মারতি নন্দন ধাম অজিত সরকারের নিখোঁজের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার সকাল ১০টার দিকে নৌকা নিয়ে বের হন তিনি। তার ব্যবহৃত ছাতা ও নৌকার বৈঠা হাওরে পাওয়া গেলেও নৌকাসহ তিনি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক বলেন, মাছ ধরতে গিয়ে একজন নিখোঁজের খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বৃষ্টির কারণে নৌকা ডুবে গেছে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১
পঞ্চগড়ে নিখোঁজের একদিন পর কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার
৬ মাস আগে
চাঁদপুরে কমেছে ইলিশের দাম
চাঁদপুরের মাছ বাজারগুলোতে ইলিশ বেচাকেনা শুরু হয়েছে। এছাড়া জেলেরা ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ নিয়ে আসছে চাঁদপুর মাছঘাটে।
এদিকে নদীতে বেশি ইলিশ মাছ ধরা পড়ায় মাছের আড়ত ও বাজারগুলোতে গত দুই থেকে তিন দিন ধরে দাম কমের দিকে।
ইলিশ মাছের দাম কমায় ইলিশ প্রিয় ভোজন রসিক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।
আরও পড়ুন: গবেষণা করে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
এদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজির ইলিশ মাছ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। এছাড়া ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় এবং ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। এছাড়া ছয় থেকে সাত দিন আগেও এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হতো ২ হাজার ৫০০ টাকায়।
জেলা শহরের ব্যস্ততম বিপনীবাগ মাছ বাজারের মাছ বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেন মিজি, সাজাহান সরদার, জাকির হোসেন, জলিল মিয়া ও আ. হামিদ বাবু জানান, এসব ইলিশ চাঁদপুরের পদ্মার ও দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা ভোলার, চরফেশন, হাতিয়া, লালমোহন, নোয়াখালী বরগুনা ও স্বন্দীপের। এছাড়া পাল বাজার, নতুনবাজার, পুরানবাজার, ওয়ারলেসবাজার, বাবুরহাট, বহরিয়া, আনন্দবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে একই দামে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে।
শহরের পুরানবাজারের গরিব-দুঃখীদের বাজার নামে খ্যাত ‘বউ বাজারে’ একটু নরম বা রিজেক্টেড ইলিশ মাছ সস্তায় (৩০০/৪০০/৫০০ টাকা) পাওয়া যায়।
মাছ ব্যবসায়ী আ. সোবহান, নুরুল ইসলাম, মোস্তফা খান ও খোকন মিয়া জানান, চাঁদপুরে ঝকঝকে সাদা পদ্মার সুস্বাদু ইলিশ খুব কম। বলতে গেলে ১০ শতাংশ। এদিকে শনিবার সারাদিনে প্রায় ১০০ মণ পদ্মার ইলিশ আমদানি হয়েছে এ মাছ ঘাটে।
মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবেবরাত সরকার বলেন, এখনো ইলিশের সিজন শুরু হয়নি। শুরু হবে ঈদের পরে। তাছাড়া, এখন বৃষ্টি নেই। তাই নদীর স্রোত কম, স্রোতের উল্টোদিকে ইলিশ বেশি বেশি আসে, নদীতে এখানে সেখানে চর জেগেছে, নদীর পানির গভীরতা কম, তাই সাগর থেকে ইলিশ স্রোতের উল্টাদিকে এদিকে (চাঁদপুরের দিকে) তেমন আসছে না। নদীর পানির নিচে চর জেগে উঠায় বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ইলিশ ওদের বিচরণের পথ পাল্টেছে।
মুন্সীগঞ্জের ব্যাংক অফিসার মিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান, তিনি স্ত্রী ও সন্তানসহ চাঁদপুরে নদীর মোহনায় সারাদিন ঘুরেছেন এবং টাটকা ইলিশ দিয়ে দুপুরে ভাত খেয়েছেন। বিকালে চারটি টাটকা ইলিশ কিনে ফিরছেন সন্ধ্যার লঞ্চে।
মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শবেবরাত সরকার বলেন, শনিবার সারাদিনে মাছ ঘাটে প্রায় ৫০০ মণ ইলিশ মাছ এসেছে দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা থেকে। চাঁদপুরের পদ্মা নদীর মাছ খুবই কম। সারাদিনে প্রায় ১০০ মণ ইলিশ মাছ ঘাটে এসেছে। দাম কেজি ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার টাকা।
একজন ইলিশ বিক্রেতা বলেন, দক্ষিনাঞ্চলীয় জেলা থেকে ইলিশ মাছের আমদানি বাড়লে পদ্মার ইলিশের দাম আরও কমবে।
চাঁদপুরের ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, এবার ইলিশের সিজন এখনো শুরু হয়নি। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ইলিশ বেশি পরিমাণে পাওয়া যাবে। নদীকে বাঁচাতে হবে। পরিকল্পিত ড্রেজিং করতে হবে, নদী থেকে যত্রতত্র বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নদীর পানির দূষণ রোধে বাস্তব পরিকল্পনা জরুরি। নদী দূষণে ইলিশ মাছ স্বস্তি পায় না, ফিরে যায়। বৃষ্টি কম হলে নদীর পানির গভীরতাও কম থাকে। ইলিশ তো গভীর পানির মাছ।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ১০৬ মণ ইলিশ ও জাটকাসহ বিভিন্ন জাতের মাছ জব্দ
৬ মাস আগে
জাল বাঁচাতে গিয়ে লঞ্চে প্রোপেলারে কাটা পড়ে প্রাণ গেল জেলের
বরিশালে জাল বাঁচাতে গিয়ে লঞ্চের ইঞ্জিনের প্রোপেলারে কাটা পড়ে আবেদ আলী নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কীর্তনখোলা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবেদ আলী নগরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সোবাহান ফকিরের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেট-তামাবিল সড়কে পিকআপ-লেগুনার সংঘর্ষ, নিহত ৫
নিহত আবেদ আলীর স্ত্রী রুমা জানান, সোমবার কীর্তনখোলা নদীতে মাছ ধরতে জাল ফেলেন আবেদ। এসময় স্রোতের টানে জাল গিয়ে ডবল ডেকার লঞ্চের (পারাবাত-১১) ইঞ্জিনের প্রোপেলারে জড়িয়ে যায়।
স্ত্রী রুমা আরও জানান, জাল খুলতে আবেদ যখন লঞ্চের কাছে যায় ঠিক সেই সময়ে ইঞ্জিন চালু হলে ইঞ্জিনের প্রোপেলারের ভেতরে ডুকে যায় আবেদ এবং লঞ্চের ইঞ্জিন বন্ধ না করায় নিখোঁজ হন তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, নিখোঁজের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও বরিশাল নৌ পুলিশ উদ্ধার অভিযানে নামলে আবেদ আলীর বিচ্ছিন্ন একটি পা উদ্ধার হয়।
তবে শরীরের বাকি অংশ খুঁজে পেতে অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
বরিশাল নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল জানান, আবেদ আলী মাছ ধরতে নেমে নিখোঁজ হন। আমরা তাকে খুঁজে পেতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এখন পর্যন্ত তার একটি বিচ্ছিন্ন পায়ের অংশ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ট্রাকচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
সোনারগাঁওয়ে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনি, ৪ যুবক নিহত
৯ মাস আগে
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে জেলেদের খাদ্য সহায়তা বাড়ানোর দাবি সমাজকল্যাণমন্ত্রীর
মা ইলিশ ও জাটকা রক্ষায় মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারিভাবে যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয় সেটি যেন আরও বাড়ানো হয় সেই দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, এটি ১০ কেজি থেকে বাড়িয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা ৪০ কেজি করেছেন। আর যারা নিবন্ধিত জেলে আছেন, তাদের তুলনায় খাদ্য সহায়তা ১০ ভাগ কম আসে।
সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর শহরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৪’ উপলক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: হতদরিদ্রের হার শূন্যের কোটায় আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
তিনি বলেন, জেলেদের যে ধরনের উপকরণ দেওয়া হয়, আমি মনে করি সেগুলোর উপযোগিতা বিচার বিশ্লেষণ করার এখন সময় এসেছে। তাদের সেলাই মেশিন, বকনা বাছুর দেওয়া হয় এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেগুলোর সঙ্গে আর্থিক সহায়তা ও ঋণের ব্যবস্থাও করা যেতে পারে।
মন্ত্রী আরও বলেন, গত নির্বাচনকালীন আমি নদী উপকূলীয় ইউনিয়নগুলোতে যখন গিয়েছি, তখন মৎস্যজীবী ভাইদের মূল দাবি ছিল আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি। আমি বলব নিশ্চয়ই সবাই করেন না, কোনো কোনো নৌ পুলিশ সদস্য আমাদের মৎস্যজীবী ভাইদের হয়রানি করেন। আবার সব মৎস্যজীবীরাও যে ১৬ আনা আইন মানেন, তাও কিন্তু নয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞার আগেও চাঁদপুরের বাজারে জাটকা দেখেছেন অনেকে। নিষেধাজ্ঞার সময় কিন্তু গবেষণার ভিত্তিতে করা হয়। গবেষণা ছাড়া কিন্তু সরকারের মাথায় আসেনি ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা ধরা বন্ধ থাকবে। এটি দীর্ঘদিনের গবেষণার ফলাফল। কোন সময়ে আমাদের এই নদীতে জাটকার বিচরণ বেশি থাকে, সেই সময়ের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অনেক কিছুর পরিবর্তন এসেছে। গবেষকরাই বলতে পারবেন কী কারণে ফেব্রুয়ারির শুরুতে জাটকা পাওয়া যাচ্ছে। এই সময় যদি পরিবর্তন করা প্রয়োজন হয়, গবেষকরা বললে সরকার সেটিও করবে। যখন জাটকা ধরা নিষিদ্ধ নয়, কিন্তু জেলেরা মাছ ধরবে। সেখানে যদি জাটকা চলে আসে, তখন সেটি বিক্রি হয়, তা প্রতিরোধ করা প্রশাসনের পক্ষে সম্ভব নয়। এটিও আমাদের বুঝতে হবে এবং আইনের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।
দীপু মনি আরও বলেন, বেআইনি জাল ব্যবহারের ফলে মৎস্যজীবী ভাইদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, এই বেআইনি জাল যারা উৎপাদন করেন তাদের কয়জনকে ধরা হয় আমি জানতে চাই। আমার জেলে পল্লি ও ইলিশ গ্রামগুলোতে অভিযান চালানো হয়।
তিনি বলেন, ‘আমি জানতে চাই মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জে এসব জাল উৎপাদিত হয়, সেসব কারখানায় কতগুলো অভিযান চালানো হয়েছে, কতজন অবৈধ জাল উৎপাদনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সাজা দেওয়া হয়েছে। আমাদের কিন্তু আসল গোড়ার জায়গাটা ধরতে হবে।’
দীপু মনি বলেন, নাব্য বজায় রাখার ব্যবস্থা করতে হবে, নদীর দুষণ বন্ধ করতে হবে। চাঁদপুর-শরীয়তপুরে যে সেতুর প্রস্তাব করা হয়েছে, সেখানে সেতু হলে আসলেই নদী বিপন্ন হবে। আমরা বিকল্প সেতুর প্রস্তাব করেছি।
আরও পড়ুন: বাবা-মাকে আর বৃদ্ধাশ্রমে দিতে হবে না: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
সরকার প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে নিয়েই দেশের উন্নয়নে বিশ্বাসী: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
৯ মাস আগে
২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে সুন্দরবনে কাঁকড়া সংগ্রহে ফিরছেন জেলেরা
দুই মাসের নিষেধাজ্ঞ শেষে আবারও শুরু হয়েছে কাঁকড়া আহরণের জন্য বন বিভাগ থেকে ‘পাস-পারমিট’ প্রদান। তাই দীর্ঘ সময় অলস বসে থাকার পর সুন্দরবনে নদী ও খালে কাঁকড়া আহরণের জন্য সরঞ্জম নিয়ে ছুটছেন জেলেরা।
শুক্রবার থেকে সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণ শুরু হলেও আহরণের নৌকা ও মালামাল সংগ্রহ করতে ও প্রস্তুতি নিতে দেরি হওয়ায় আজ রবিবার (৩ মার্চ) সকালে ভাটিতে বনের গহীনে প্রবেশ করতে শুরু করেছে মোংলা, রামপাল, দাকোপসহ উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেরা।
পূর্ব সুন্দরবন চাঁদপাই রেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনের ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে জলভাগের পরিমাণ ১ হাজার ৮৭৪ দশমিক ১ বর্গকিলোমিটার। যা পুরো সুন্দরবনের আয়তনের ৩১ দশমিক ১৫ শতাংশ। জলভাগে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫০টি নদ-নদী ও খাল আছে। এসব খালে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছাড়াও ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া রয়েছে।
জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি দুই মাস কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ৫৯ দিনের জন্য জেলেদের সুন্দরবনে প্রবেশ করে কাঁকড়া ধরার অনুমতি বন্ধ রাখে বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরায় নিষেধাজ্ঞা
করমজল বন্যপ্রাণী ও ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, সুন্দরবনের মধ্যে অভয়ারণ্য ঘোষিত ৩০টি খাল এবং ২৫ ফুটের কম প্রশস্ত খালে সারা বছরই কাঁকড়া ধরা নিষিদ্ধ থাকে। বাকি অংশের নদী ও খালে বন বিভাগের বৈধ পাস-পারমিটধারী প্রায় ১৫ হাজার জেলে শুধু কাঁকড়া আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
১৯৯৮ সালে কাঁকড়া রপ্তানি নীতিমালা প্রণয়নের পর থেকেই প্রতিবছর দুই মাস কাঁকড়া ধরার পাস-পারমিট বন্ধ রাখা হয় বলে জানান তিনি।
কাঁকড়া আহরণকারী মোংলার জয়মনি এলাকার আনিছুর রহমান জানান, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল কোনো লোক সুন্দরবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঁকড়া ধরতে যান না। যারা যান, তারা প্রায় সবাই দরিদ্র। দুই মাস নিষেধাজ্ঞা চলাকালে দরিদ্র জেলেদের চরম দুর্দিন গেছে। বন্ধের দিনগুলোয় সরকারি কোনো ভাতার ব্যবস্থা না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়েছে তাদের। শুক্রবার সকালে কাঁকড়া ধরার অনুমতি পেয়ে তারা আশার আলো দেখছেন।
একই এলাকার ছগির মোল্লা জানান, ‘সংসারে সাতজন সদস্য। সুন্দরবনে একদিন না গেলে তার চুলা জ্বলে না। দুই মাসের কাঁকড়া আহরণ বন্ধে দিনমজুরি করে কোনোমতে সংসার চালিয়েছি। মহাজনের কাছ থেকেও ধার নিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।’
আরও পড়ুন: বন্যায় ভেসে গেছে ৮ কোটি টাকার মাছ-চিংড়ি-কাঁকড়া
জেলেদের অভিযোগ, বনবিভাগ যে উদ্দেশ্যে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তা সফল হয়নি। কারণ নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও গোপনে অসাধু লোকজনের সঙ্গে আঁতাত করে কাঁকড়া আহরণ করা হয়েছে এর বহু প্রমাণ রয়েছে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে বলেন, কাঁকড়ার বংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সুন্দরবনে বিভিন্ন নদী-খালে দুই মাস জেলেদের কাঁকড়া আহরণ নিষিদ্ধ ছিল। ২ মার্চ থেকে বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে জেলেরা প্রবেশ নিষিদ্ধ অভয়াশ্রম ছাড়া অন্য নদী-খালে কাঁকড়া আহরণ করতে পারবেন। তবে কেউ যাতে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরার অনুমতি নিয়ে বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে না পারে, সেজন্য বনরক্ষীদের স্মার্ট পেট্রোলিং টহল ও অন্যান্য কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ইঞ্জিনচালিত কোনো নৌকা বা ট্রলার কাঁকড়া পরিবহনের ক্ষেত্রে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।
শুধু পরিবহন করতে পারবে যে নৌকায় কাঁকড়া আহরণ করে সেই নৌকায়। আর এ ব্যতিত ট্রলার যোগে পরিবহন করছে যদি এ রকম কাউকে পাওয়া বা এর সঙ্গে বন রক্ষীদের কেউ জড়িত থাকে প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান বন বিভাগের এ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকায় কাঁকড়া ধরায় ২৪ জেলে আটক
৯ মাস আগে
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরায় ১৫ জেলের কারাদণ্ড
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার দৌলতখানের মেঘনা নদী থেকে মাছ ধরায় ১৫ জেলের এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
শনিবার তাদের আটক করে এ দণ্ড দেওয়া হয়।
মৎস্য বিভাগ জানায়,জাটকা সংরক্ষণসহ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১ মার্চ থেকে শুরু হয় ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা। এর দ্বিতীয় দিনে দৌলতখান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহাফুজুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ১৫ জেলেকে আটক করে মৎস্য বিভাগ। এসময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে ৪টি ট্রলার ৪০ হাজার মিটার জাল ও ২০ কেজি মাছ ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের পর বড় বন্দর হতে পারে ভোলা: শিল্পমন্ত্রী
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের ১ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়। তবে আটক জেলেদের দাবি অভাবের কারণে তারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করছেন। এ নিয়ে অভিযানের প্রথম দুই দিনে জেলায় মোট ৩৪ জনকে আটক করা হয়।আরও পড়ুন: ভোলার মেঘনায় ট্রলারডুবি, ৮ দিন পর লাশ উদ্ধার
৯ মাস আগে
মেঘনায় জাটকা ধরায় ১৫ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুরে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় নিষিদ্ধ জাল দিয়ে জাটকা ধরার দায়ে ১৫ জেলেকে ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহজাহান।
দণ্ডপ্রাপ্ত সব জেলের বাড়ি মতলব উত্তর থানায়।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
একমাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলে মো. রুবেল সরদার মতলব উত্তর উপজেলার বাসিন্দা।
অপর ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন- মতলব উত্তর উপজেলার মো. হুমায়ুন মৃধা, আক্তার হোসেন, ইয়াকুব ব্যাপারী, ইয়াজল চোকদার, সাইদুল রহমান, আরিফুল ইসলাম, লিটন বর্মন, মো. হোসেন, আবুল হোসেন, মনির হোসেন, ছৈয়দ হোসেন, মো. সাদেক, মাদব চন্দ্র বর্মন ও মো. আলী নুর।আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিপ ইয়ার্ড পরিচালনা: ৫ জনকে কারাদণ্ড
সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান আরও বলেন, বুধবার বিকাল ৩টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় ৩টি হাইস্পিড বোট নিয়ে পদ্মা-মেঘনার মোহনা এলাকা, মিনি কক্সবাজার, রাজরাজেশ্বর, মতলব উত্তরের মোহনপুর এলাকায় পদ্মা ও মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় কাচিকাঠা নামক স্থান থেকে জাটকা ধরা অবস্থায় ১৫ জেলেকে আটক করা হয়। এসময় ১ লাখ মিটার কারেন্টজাল, ৫টি বেহুন্দি জাল, ৫ কেজি জাটকা জব্দ এবং একটি মাছ ধরার নৌকা আটক করা হয়।
অভিযান শেষে রাতেই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জেলেদের কারাদণ্ড এবং জব্দকৃত জালগুলো কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। জব্দকৃত জাটকা দুস্থদের মাঝে বিতরণ এবং নৌকা কোস্টগার্ড হেফাজতে রয়েছে।আরও পড়ুন: গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ, সহকারী পোস্টমাস্টারসহ ৬ জনের কারাদণ্ড
৯ মাস আগে
বাগেরহাটে নিখোঁজের ৫ দিন পর মিলল সেই জেলের লাশ
বাগেরহাটের চিত্রা নদী থেকে এসকেন্দার শেখ নামে এক জেলের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর পানিঘাট এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন এসকেন্দার শেখ।
আরও পড়ুন: সিলেটে অটোরিকশা চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
এসকেন্দার শেখ বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বড় সিংরাম গ্রামের তসির উদ্দিন শেখের ছেলে।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে চিত্রা নদী থেকে জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা তার জামা-লুঙ্গি দেখে তাকে শনাক্ত করে।
ওসি আরও জানান, ময়নাতদন্তের জন্য জন্য লাশ বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: মেঘনা থেকে রজনীগন্ধা ফেরির সহকারী মাস্টার হুমায়ুনের লাশ উদ্ধার
সিলেটে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১১ মাস আগে