জেলে
৫৬ বাংলাদেশি জেলেকে ছেড়ে দিল মিয়ানমার
কক্সবাজার টেকনাফ বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরার সময় ছয়টি ট্রলারসহ ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি ৫৬ জেলেকে ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমারের নৌবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ)সকালে তাদের ছেড়ে দেন। এসময় জেলেদের কাছে থাকা মাছ ও জাল রেখে দেন মিয়ানমার নৌ বাহিনী।
ধরে নিয়ে নিয়ে যাওয়া ছয়টি ট্রলারের মালিকরা হলো- টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ এলাকার মো. বশির আহমদ, মো. আমিন, নুরুল আমিন, আব্দুর রহিম, মো. শফিক। এদের মধ্যে মো. শফিকের মালিকাধীন দুটি ট্রলার রয়েছে।
এর আগে বুধবার (৫মার্চ) দুপুরে সেন্টমার্টিনের দক্ষিণের বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের সময় অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে ধরে নিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান।
তিনি জানান, মাছ শিকারে গিয়ে মিয়ানমার নৌবাহিনীর হাতে আটক হাওয়া জেলেদের ছেড়ে দিয়েছে। তারা ইতোমধ্যে টেকনাফের উদ্দেশ্য রওনা করেছে।
টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের ছেড়ে দিয়েছে। তবে তাদের কাছে থাকা মাছ ও জাল রেখে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪ দিন ধরে সমুদ্রে ভাসতে থাকা ১৩ জেলে উদ্ধার
৭ দিন আগে
আরাকান আর্মির হাতে আটক ২৯ জেলেকে ফিরিয়ে এনেছে বিজিবি
টেকনাফের নাফ নদ থেকে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির আটক করা ২৯ জন বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত এনেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের জেটি ঘাট দিয়ে বিকাল ৫টার দিকে বাংলাদেশি এসব জেলেকে ফেরত আনা হয়। গত ১১ ও ২০ ফেব্রুয়ারি ভুলবশত বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করা ৬টি ইঞ্জিনচালিত বোটে ছিলেন ওই ২৯ জন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ফিরিয়ে আনা ২৯ জেলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। সব প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
১৩ দিন আগে
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে জেলেরা অবদান রাখতে পারেন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
ইলিশ রপ্তানিতে অবদান রেখে প্রবাসীদের মতো বৈদেশি মুদ্রা অর্জনে মৎসজীবীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণে মনপুরাবাসী যেমন বড় ভূমিকা পালন করে, তেমনি ইলিশ রপ্তানিতে সহযোগিতা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।’
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মূল কাজ হচ্ছে মাছ রক্ষা করা। প্রবাসীরা কষ্ট করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে যেমনভাবে দেশের অর্থনীতিকে মজবুত রাখছেন। তেমনি মাছ রপ্তানি করে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি।’
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ চর গোয়ালিয়া আদর্শ মৎস্যজীবী গ্রাম পরিদর্শন ও মৎস্যজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ পৃথিবীতে পরিচিতি পেয়েছে মাছের জন্য, বিশেষ করে ইলিশের জন্য। পৃথিবীতে কোনো দেশে এরকম ইলিশ পাওয়া যায় না। যদিও পাওয়াও যায়— তা দেশের ইলিশের মতো স্বাদের হয়না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাছকে প্রাকৃতিকভাবে ডিম পাড়তে দেওয়া, বড় হতে দেওয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এ সময় আমাদের কথা জেলেরা শোনেন, কিন্তু ব্যবসায়ীরা আইন ভঙ্গ করে আপনাদের এ সময় মাছ ধরতে উৎসাহিত করে থাকেন।’
এ ধরণের খারাপ কাজ যেন কেউ না করতে পারে, সে লক্ষ্যে কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: তামাক চাষের নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করছে সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মনপুরার জেলেদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে পারলে পরিবর্তন আনা সম্ভব। মৎস্য কর্মকর্তারা আপনাদের সমস্যা ও সম্ভবনা নিয়ে কথা বলে থাকেন। এমনকি ঢাকাতেও এ বিষয়ে কথা হয়ে থাকে। তারা যতই বলুক সরাসরি আপনাদের মুখ থেকে শোনা আর অন্যভাবে শোনার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আর এ জন্যই আপনাদের কাছে আসা।’
উপদেষ্টা বলেন, জেলেদের শুধু ঘূর্ণিঝড়ের বার্তা দিলে হবে না, তাদের রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। জেলেদের রক্ষায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় হতে লাইফ জ্যাকেট, লাইফ বয়া, টর্চ লাইট সরবারহ করা হবে। শুধু মাছ ধরা নয়, আপনাদের কৃষি কাজ, হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগল পালনের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। এর মাধ্যমে আপনারা অর্থনৈতিকভাবে আরও স্বাবলম্বী হতে পারেন।’
জেলেরা মনপুরাতে সাইক্লোন সেন্টার, নলকূপ, বিদ্যালয়সহ রাস্তাঘাটের দূরাবস্থা তুলে ধরলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আপনাদের সমস্যার বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের নিকট উপস্থাপন করব। মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ জেলেদের বড় সমস্যা। প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবিলায় খাল খনন করে জেলেদের দুর্ভোগ লাঘব করা হবে এবং নদী ও সাগরে ডাকাতদের দৌরাত্ম কমাতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হবে।
পরে উপদেষ্টা ৮০ জেলের মধ্যে লাইফ জ্যাকেট, লাইভ বয়া ও টর্চ লাইট বিতরণ করেন। দক্ষিণ চরগোয়ালিয়া আদর্শ মৎস্যজীবী গ্রাম সংগঠন আয়োজিত মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখন বনিকের সভাপতিত্বে গ্রাম সংগঠনের পক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন শফিউল্লাহ মাঝি।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) সুরাইয়া আখতার জাহান, মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়া হায়দার চৌধুরী, মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, মনপুরা উপজেলার চর গোয়ালিয়া আদর্শ মৎস্যজীবী গ্রামের মৎস্যজীবীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
১৭ দিন আগে
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৬ জেলে
ভারতে ৯ মাস কারাভোগের পর ছয় বাংলাদেশি জেলেকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে হস্থান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বের) রাত ১০টায় ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে ভারতীয় পুলিশ।
এ সময় শার্শার সহকারী কমিশনার (ভুমি) মেজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৭ বছর কারাভোগের পর দেশে ফিরলেন ২ ভারতীয়
সঙ্গে ছিলেন দু’দেশের বিজিবি-বিএসএফ, কাস্টমস কর্মকর্তা, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। ইমিগ্রেশনের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ফেরত আসারা হলেন- পটুয়াখালীর রহমত উল্লাহ (৪৫) গোলাম রাফি (৩৪) জামাল হোসেন (৫৬) মাসুম বিল্লাহ (৩৯) হুসাইন (৩৮) ইয়াসিন (৩১) এবং দিনাজপুরের রাশিদা বেগম (৩৪)।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশি ছয় জেলে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ভারতীয় কোষ্ট গার্ডের কাছে গত ১০ মাস আগে আটক হয়। পরে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে চিঠি চালাচালির এক পর্যায়ে এরা বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যেমে দেশে ফেরত আসে। ফেরত আসাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি রাসেল মিয়া বলেন, ‘ফেরত আসা জেলেদের থানার আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেসরকারি এনজিও সংস্থা বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সমন্বয়কারী রেখা বিশ্বাস বলেন, ‘এরা সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে সীমানা অতিক্রম করে ভারতের অংশে ঢুকে পড়ে গত ১০ মাস আগে। আর সেই সময় ভারতীয় কোষ্ট গার্ড তাদের আটক করে নিয়ে গিয়ে আদালতে সোপর্দ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আদালত তাদের ৯ মাসের কারাদণ্ড দিয়ে আলীপুর কারাগারে পাঠায়। জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি আইনি সহায়তা দিয়ে দেশে ফেরত এনেছে তাদের। যশোর নিয়ে পরিবারের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরলেন ৬ জেলে
৭৫ দিন আগে
ধার-দেনা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন ভোলার দুই লক্ষাধিক জেলের
ইলিশ মাছের প্রজনন বাড়াতে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে রবিবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরা। ভোলার দুই লক্ষাধিক জেলে নতুন উদ্যমে নদীতে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন। মাছঘাট ও জেলে পল্লিতে দেখা গেছে খুশির আমেজ। বিগত দিনের ধার-দেনা মিটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন জেলেরা।
রবিবার নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগে কয়েকদিন ধরে চলে জেলেদের প্রস্তুতি। ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা মেঘনা নদীর মাছঘাটে চোখে পড়ছিল জেলেদের প্রস্তুতি। কেউ নৌকা মেরামত করছিলেন, কেউবা ট্রলারে রং (আলকাতরা) করছিলেন। আবার কেউ শেষ সময়ে ইঞ্জিনের খুঁটিনাটি ত্রুটিগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখছিলেন। জেলেরা তাদের নৌকা, জাল গুছিয়ে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। তবে অপেক্ষার অবসান ঘটে রবিবার রাত ১২টার পর। নৌকা ও ট্রলার নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে নেমে পড়েন জেলেরা। প্রচুর পরিমাণে ইলিশ পেলে ২২ দিনের ক্ষতি পুষিয়ে সব ধার-দেনা কাটিয়ে উঠার স্বপ্ন দেখছেন জেলেরা। মাছের আড়ৎগুলোতে আবার প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে এমনটাই মনে করছেন আড়ৎদাররাও।
জেলেরা জানিয়েছেন, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষার জন্য গেল ১৩ অক্টোবর থেকে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে সব ধরনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞার জারি করা হয়। মাছ ধরা বন্ধ থাকায় ভোলার দুই লক্ষাধিক জেলে বেকার হয়ে পড়ে। বিকল্প কোনো কর্ম সংস্থান না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে গত ২২ দিন জেলেদের চরম দুর্ভোগে দিন কাটে। অনেকে ধার-দেনা করে সংসার চালাতে বাধ্য হয়েছেন। তবে এখন সময় এসেছে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার। প্রত্যাশা অনুযায়ী মাছ পেলে ঋণ শোধ করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে মনে করছেন জেলেরা।
মৎস্য বিভাগের হিসেবে, ভোলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৪৭ জন। এর মধ্যে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সরকারি ভিজিএফের ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ লাখ ৪০ হাজার ৯০০ জেলের জন্য। নিবন্ধিত জেলের বাইরে আরও লক্ষাধিক জেলে রয়েছেন। তাই সব জেলের ভাগ্যে চাল জুটেনি।
১২৯ দিন আগে
মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে জেলে নিহতের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ
সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে এক বাংলাদেশি জেলে নিহতের ঘটনায় মিয়ানমার সরকারের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার(৯ অক্টোবর) কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহ পরী দ্বীপের কোনা পাড়ার বাসিন্দা উসমান (৬০) নিহত হন।
ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাসে পাঠানো একটি কূটনৈতিক নোটে বাংলাদেশ এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের কাছে মাছ ধরার সময় প্রায় ৫৮ জন বাংলাদেশি জেলে এবং উসমানের নৌকাসহ ৬টি মাছ ধরার নৌকা অপহরণ করায় বিষয়টি আরও জটিল করে তুলেছেন তারা।
আরও পড়ুন: স্পেনের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চান ড. ইউনূস
অবশেষে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও মিয়ানমার নৌবাহিনীর মধ্যে যোগাযোগের পর বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুই দফায় নৌকাসহ জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে মিয়ানমারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। মিয়ানমারকে বাংলাদেশের জলসীমার অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শন এবং ভবিষ্যতে আর কোনো উসকানি থেকে বিরত থাকার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে জাতিসংঘের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত’
১৫৩ দিন আগে
হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে জেলে নিখোঁজ
সিলেটের ওসমানীনগরে হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে অজিত সরকার নামের এক জেলে নিখোঁজ হয়েছেন।
শনিবার (১৫ জুন) সকালে উপজেলার বানাইয়া হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হলেও সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: পদ্মায় ট্রলার ডুবে গরু ব্যবসায়ী নিখোঁজ
অজিত সরকার উপজেলার সাদিপুর ইউপির লামা গাভুরটিকি গ্রামের মৃত ঠাকুরচান সরকারের ছেলে।
সাদিপুর ইউনিয়নের সচিব মারতি নন্দন ধাম অজিত সরকারের নিখোঁজের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার সকাল ১০টার দিকে নৌকা নিয়ে বের হন তিনি। তার ব্যবহৃত ছাতা ও নৌকার বৈঠা হাওরে পাওয়া গেলেও নৌকাসহ তিনি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক বলেন, মাছ ধরতে গিয়ে একজন নিখোঁজের খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বৃষ্টির কারণে নৌকা ডুবে গেছে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১
পঞ্চগড়ে নিখোঁজের একদিন পর কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার
২৭১ দিন আগে
চাঁদপুরে কমেছে ইলিশের দাম
চাঁদপুরের মাছ বাজারগুলোতে ইলিশ বেচাকেনা শুরু হয়েছে। এছাড়া জেলেরা ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ নিয়ে আসছে চাঁদপুর মাছঘাটে।
এদিকে নদীতে বেশি ইলিশ মাছ ধরা পড়ায় মাছের আড়ত ও বাজারগুলোতে গত দুই থেকে তিন দিন ধরে দাম কমের দিকে।
ইলিশ মাছের দাম কমায় ইলিশ প্রিয় ভোজন রসিক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।
আরও পড়ুন: গবেষণা করে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
এদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজির ইলিশ মাছ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। এছাড়া ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় এবং ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। এছাড়া ছয় থেকে সাত দিন আগেও এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হতো ২ হাজার ৫০০ টাকায়।
জেলা শহরের ব্যস্ততম বিপনীবাগ মাছ বাজারের মাছ বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেন মিজি, সাজাহান সরদার, জাকির হোসেন, জলিল মিয়া ও আ. হামিদ বাবু জানান, এসব ইলিশ চাঁদপুরের পদ্মার ও দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা ভোলার, চরফেশন, হাতিয়া, লালমোহন, নোয়াখালী বরগুনা ও স্বন্দীপের। এছাড়া পাল বাজার, নতুনবাজার, পুরানবাজার, ওয়ারলেসবাজার, বাবুরহাট, বহরিয়া, আনন্দবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে একই দামে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে।
শহরের পুরানবাজারের গরিব-দুঃখীদের বাজার নামে খ্যাত ‘বউ বাজারে’ একটু নরম বা রিজেক্টেড ইলিশ মাছ সস্তায় (৩০০/৪০০/৫০০ টাকা) পাওয়া যায়।
মাছ ব্যবসায়ী আ. সোবহান, নুরুল ইসলাম, মোস্তফা খান ও খোকন মিয়া জানান, চাঁদপুরে ঝকঝকে সাদা পদ্মার সুস্বাদু ইলিশ খুব কম। বলতে গেলে ১০ শতাংশ। এদিকে শনিবার সারাদিনে প্রায় ১০০ মণ পদ্মার ইলিশ আমদানি হয়েছে এ মাছ ঘাটে।
মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবেবরাত সরকার বলেন, এখনো ইলিশের সিজন শুরু হয়নি। শুরু হবে ঈদের পরে। তাছাড়া, এখন বৃষ্টি নেই। তাই নদীর স্রোত কম, স্রোতের উল্টোদিকে ইলিশ বেশি বেশি আসে, নদীতে এখানে সেখানে চর জেগেছে, নদীর পানির গভীরতা কম, তাই সাগর থেকে ইলিশ স্রোতের উল্টাদিকে এদিকে (চাঁদপুরের দিকে) তেমন আসছে না। নদীর পানির নিচে চর জেগে উঠায় বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ইলিশ ওদের বিচরণের পথ পাল্টেছে।
মুন্সীগঞ্জের ব্যাংক অফিসার মিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান, তিনি স্ত্রী ও সন্তানসহ চাঁদপুরে নদীর মোহনায় সারাদিন ঘুরেছেন এবং টাটকা ইলিশ দিয়ে দুপুরে ভাত খেয়েছেন। বিকালে চারটি টাটকা ইলিশ কিনে ফিরছেন সন্ধ্যার লঞ্চে।
মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শবেবরাত সরকার বলেন, শনিবার সারাদিনে মাছ ঘাটে প্রায় ৫০০ মণ ইলিশ মাছ এসেছে দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা থেকে। চাঁদপুরের পদ্মা নদীর মাছ খুবই কম। সারাদিনে প্রায় ১০০ মণ ইলিশ মাছ ঘাটে এসেছে। দাম কেজি ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার টাকা।
একজন ইলিশ বিক্রেতা বলেন, দক্ষিনাঞ্চলীয় জেলা থেকে ইলিশ মাছের আমদানি বাড়লে পদ্মার ইলিশের দাম আরও কমবে।
চাঁদপুরের ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, এবার ইলিশের সিজন এখনো শুরু হয়নি। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ইলিশ বেশি পরিমাণে পাওয়া যাবে। নদীকে বাঁচাতে হবে। পরিকল্পিত ড্রেজিং করতে হবে, নদী থেকে যত্রতত্র বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নদীর পানির দূষণ রোধে বাস্তব পরিকল্পনা জরুরি। নদী দূষণে ইলিশ মাছ স্বস্তি পায় না, ফিরে যায়। বৃষ্টি কম হলে নদীর পানির গভীরতাও কম থাকে। ইলিশ তো গভীর পানির মাছ।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ১০৬ মণ ইলিশ ও জাটকাসহ বিভিন্ন জাতের মাছ জব্দ
২৭৮ দিন আগে
জাল বাঁচাতে গিয়ে লঞ্চে প্রোপেলারে কাটা পড়ে প্রাণ গেল জেলের
বরিশালে জাল বাঁচাতে গিয়ে লঞ্চের ইঞ্জিনের প্রোপেলারে কাটা পড়ে আবেদ আলী নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কীর্তনখোলা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবেদ আলী নগরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সোবাহান ফকিরের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেট-তামাবিল সড়কে পিকআপ-লেগুনার সংঘর্ষ, নিহত ৫
নিহত আবেদ আলীর স্ত্রী রুমা জানান, সোমবার কীর্তনখোলা নদীতে মাছ ধরতে জাল ফেলেন আবেদ। এসময় স্রোতের টানে জাল গিয়ে ডবল ডেকার লঞ্চের (পারাবাত-১১) ইঞ্জিনের প্রোপেলারে জড়িয়ে যায়।
স্ত্রী রুমা আরও জানান, জাল খুলতে আবেদ যখন লঞ্চের কাছে যায় ঠিক সেই সময়ে ইঞ্জিন চালু হলে ইঞ্জিনের প্রোপেলারের ভেতরে ডুকে যায় আবেদ এবং লঞ্চের ইঞ্জিন বন্ধ না করায় নিখোঁজ হন তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, নিখোঁজের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও বরিশাল নৌ পুলিশ উদ্ধার অভিযানে নামলে আবেদ আলীর বিচ্ছিন্ন একটি পা উদ্ধার হয়।
তবে শরীরের বাকি অংশ খুঁজে পেতে অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
বরিশাল নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল জানান, আবেদ আলী মাছ ধরতে নেমে নিখোঁজ হন। আমরা তাকে খুঁজে পেতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এখন পর্যন্ত তার একটি বিচ্ছিন্ন পায়ের অংশ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ট্রাকচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
সোনারগাঁওয়ে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনি, ৪ যুবক নিহত
৩৬০ দিন আগে
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে জেলেদের খাদ্য সহায়তা বাড়ানোর দাবি সমাজকল্যাণমন্ত্রীর
মা ইলিশ ও জাটকা রক্ষায় মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারিভাবে যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয় সেটি যেন আরও বাড়ানো হয় সেই দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, এটি ১০ কেজি থেকে বাড়িয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা ৪০ কেজি করেছেন। আর যারা নিবন্ধিত জেলে আছেন, তাদের তুলনায় খাদ্য সহায়তা ১০ ভাগ কম আসে।
সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর শহরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৪’ উপলক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: হতদরিদ্রের হার শূন্যের কোটায় আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
তিনি বলেন, জেলেদের যে ধরনের উপকরণ দেওয়া হয়, আমি মনে করি সেগুলোর উপযোগিতা বিচার বিশ্লেষণ করার এখন সময় এসেছে। তাদের সেলাই মেশিন, বকনা বাছুর দেওয়া হয় এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেগুলোর সঙ্গে আর্থিক সহায়তা ও ঋণের ব্যবস্থাও করা যেতে পারে।
মন্ত্রী আরও বলেন, গত নির্বাচনকালীন আমি নদী উপকূলীয় ইউনিয়নগুলোতে যখন গিয়েছি, তখন মৎস্যজীবী ভাইদের মূল দাবি ছিল আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি। আমি বলব নিশ্চয়ই সবাই করেন না, কোনো কোনো নৌ পুলিশ সদস্য আমাদের মৎস্যজীবী ভাইদের হয়রানি করেন। আবার সব মৎস্যজীবীরাও যে ১৬ আনা আইন মানেন, তাও কিন্তু নয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞার আগেও চাঁদপুরের বাজারে জাটকা দেখেছেন অনেকে। নিষেধাজ্ঞার সময় কিন্তু গবেষণার ভিত্তিতে করা হয়। গবেষণা ছাড়া কিন্তু সরকারের মাথায় আসেনি ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা ধরা বন্ধ থাকবে। এটি দীর্ঘদিনের গবেষণার ফলাফল। কোন সময়ে আমাদের এই নদীতে জাটকার বিচরণ বেশি থাকে, সেই সময়ের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অনেক কিছুর পরিবর্তন এসেছে। গবেষকরাই বলতে পারবেন কী কারণে ফেব্রুয়ারির শুরুতে জাটকা পাওয়া যাচ্ছে। এই সময় যদি পরিবর্তন করা প্রয়োজন হয়, গবেষকরা বললে সরকার সেটিও করবে। যখন জাটকা ধরা নিষিদ্ধ নয়, কিন্তু জেলেরা মাছ ধরবে। সেখানে যদি জাটকা চলে আসে, তখন সেটি বিক্রি হয়, তা প্রতিরোধ করা প্রশাসনের পক্ষে সম্ভব নয়। এটিও আমাদের বুঝতে হবে এবং আইনের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।
দীপু মনি আরও বলেন, বেআইনি জাল ব্যবহারের ফলে মৎস্যজীবী ভাইদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, এই বেআইনি জাল যারা উৎপাদন করেন তাদের কয়জনকে ধরা হয় আমি জানতে চাই। আমার জেলে পল্লি ও ইলিশ গ্রামগুলোতে অভিযান চালানো হয়।
তিনি বলেন, ‘আমি জানতে চাই মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জে এসব জাল উৎপাদিত হয়, সেসব কারখানায় কতগুলো অভিযান চালানো হয়েছে, কতজন অবৈধ জাল উৎপাদনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সাজা দেওয়া হয়েছে। আমাদের কিন্তু আসল গোড়ার জায়গাটা ধরতে হবে।’
দীপু মনি বলেন, নাব্য বজায় রাখার ব্যবস্থা করতে হবে, নদীর দুষণ বন্ধ করতে হবে। চাঁদপুর-শরীয়তপুরে যে সেতুর প্রস্তাব করা হয়েছে, সেখানে সেতু হলে আসলেই নদী বিপন্ন হবে। আমরা বিকল্প সেতুর প্রস্তাব করেছি।
আরও পড়ুন: বাবা-মাকে আর বৃদ্ধাশ্রমে দিতে হবে না: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
সরকার প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে নিয়েই দেশের উন্নয়নে বিশ্বাসী: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
৩৬৭ দিন আগে