জেলে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: জেলেদের ফিরিয়ে আনতে ভোলায় কোস্টগার্ডের প্রচারণা
ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাত থেকে রক্ষা পেতে গভীর সাগর ও সাগর মোহনায় মাছ শিকার করতে যাওয়া ভোলার জেলেদের নিরাপদে বাড়ি ফিরে আনার জন্য মাইকিং ও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন জেলার কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের সদস্যরা।
শুক্রবার সকাল থেকে ভোলার মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের সদস্যরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এসময় তারা জেলেদের সকর্ত করতে মাইকিংয়ের মাধ্যমে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে সকর্ত করেন।
আরও পড়ুন: সিত্রাং: ২০ বাংলাদেশি জেলেকে উদ্ধার করল ভারতীয় কোস্টগার্ড
অপরদিকে, ভোলার মেঘনা নদীর পানি স্বাভাবিক রয়েছে। জেলেরাও নদীতে মাছ শিকার করছে। তবে সমুদ্রগামী অনেক জেলে আবহাওয়ার সংবাদ শুনে ঘাটে ফিরে এসেছে। তবে অনেকে এখনো সাগরে রয়েছে।
বিভিন্ন মাছ ঘাটে নদী ও সাগরে থাকা জেলেদের সতর্ক করতে মাইকিং করছে কোস্টগার্ড সদস্যরা। যাতে করে গভীর সমুদ্রে থাকা জেলেরা নিরাপদে ফিরে আসতে পারে।
এছাড়াও জেলেরা যারা সাগরে বা দূরবর্তী স্থানে রয়েছে তাদেরকে নিরাপদ স্থানে সরে আসতে ঘাটের আড়ৎদার ও পরিবারে মাধ্যমে খবর পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা শুনে আতঙ্কে রয়েছে উপকূলের মানুষ। ইতোমধ্যে জেলেরা তাদের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে শুরু করেছেন।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট মেহেদী হাসান গণমাধ্যমে জানান, গভীর সমুদ্রে অবস্থান করা মাছ ধরার ট্রলার যারা ভিএফএস রেডিও সেট ব্যবহার করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
তারা অলরেডি উপকূলে ফিরে আসছে। আর যাদের কাছে ভিএফএস রেডিও নেই তাদের ক্ষেত্রে মাছঘাট ও মৎস্য মালিক সমিতির মাধ্যমে বার্তাটি পৌঁছানো হয়েছে।
তারাও তীরে ফেরত আসছে বলে মালিক সমিতি নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও প্রতিটি মাছঘাটে কোস্টগার্ড সদস্য মাইকিং করছে।
ভোলা সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন জানান, সমুদ্রগামী জেলেদের তীরে ফিরিয়ে আনতে কোস্টগার্ড ও সিপিপি সদস্যদের মাধ্যমে প্রতিটি ঘাটে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
ইতোমধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ জেলে তীরে ফিরে এসেছে। বাকীরাও দ্রুত চলে আসবে।
অপরদিকে নতুন করে যাতে কোনো জেলে সাগরে যেতে না পারে সে ব্যাপারে নজর রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ ফোন: ঝড়ে চরে আটকে পড়া ২২ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড
সেন্টমার্টিন থেকে ৭ লাখ ইয়াবা উদ্ধার: কোস্টগার্ড
ভোলায় ২ দিন নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেয়ে হতাশ জেলেরা
ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী অভয়াশ্রমে র্দীঘ দুই মাস ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা শেষে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নদীতে নেমেছেন জেলেরা।
কিন্তু নিষেধাজ্ঞা শেষে হওয়ার পর গত ২ দিন নদীতে জেলেরা কাঙিক্ষত মাছ পাচ্ছে না। ফলে প্রায় খালি হাতেই ফিরছেন তারা।
তবে জেলেদের আশা আগামী পূর্ণিমার পর হয়তো তাদের জালে ধরা পড়বে প্রত্যাশিত পরিমাণের ইলিশ।
আরও পড়ুন: রামগতিতে ৪ হাজার কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, আটক ৯
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশের অভয়াশ্রম হওয়ায় দুই মাসের জন্য ভোলার ইলিশা থেকে চর পিয়াল ৯০ কিলোমিটার মেঘনা নদী ও ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তম ১০০ কিলোমিটার তেতুঁলিয়া নদীতে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৎস্য বিভাগ।
নিষেধাজ্ঞা শেষে গত ৩০ এপ্রিল রবিবার মধ্যরাত থেকে উৎসব মুখর পরিবেশে নদীতে নেমেছেন ভোলার সাত উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ জেলে। তাদের আশা ছিল দুই মাসের অভিযান শেষে নদীতে প্রচুর মাছ পাবেন।
আর তাতে গত দুই মাসের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন। ফিরে পাবেন স্বচ্ছলতা। কিন্তু জালে আশানুরূপ মাছ ধরা পড়ছেনা।
ভোলার তুলাতুলি মাছ ঘাটের জেলেরা জানান, নদীতে সারাদিন জাল ফেলে দুই-চারটি যা মাছ ধরা পড়েছে তা আকারে ছোট। কোনো কোনো জেলে সামান্য মাছ পেলেও তা বিক্রি করে তেল খরচও উঠছেনা।
এতে তারা হতাশায় পড়েছেন। তবে মাছ কম পড়ায় দাম বেশ চড়া।
অন্যদিকে মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, নিষেধাজ্ঞার সময় তাদের ব্যবসা বন্ধ থাকায় লোকসান গুণতে হয়েছে। এবার নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা নদীতে গিয়ে প্রচুর পরিমাণ মাছ শিকার করলে জমজমাট হবে তাদের ব্যবসা।
এ ছাড়াও বিগত দুই মাসের লোকসান পুষিয়ে নিবেন তারা। কিন্তু মাছ কম পাওয়ায় তারা হতাশ।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের জেলেরা ইলিশ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে
ইলিশা মাছ ঘাটের মৎস্য ব্যাপারী শাহাবুদ্দিন জানান, মঙ্গলবার মাছের পরিমাণ আরও কমে গেছে। এতে তারা বিপাকে রয়েছে। সামান্য মাছ পাওয়া গেলেও তার দাম অনেক বেশি।
এদিকে এক কেজি ওজনের এক হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা ও মাঝারি সাইজের সাত থেকে আট হাজার টাকা দরে।
মৎস্য বিভাগ সূত্র জানায়, গত দুই মাসে ভোলার সাত উপজেলায় ৪০৩টি অভিযান পরিচালনা করে ৩৬২জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। ৪৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২০৩ জন জেলেকে ছয় লাখ ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আটককৃত বাকিরা অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক হওয়ায় তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ভোলা সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামাল হোসাইন জানান, তাদের দুই মাসের অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ফলে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়া ইলিশ মাছ উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে।
তিনি আশা করছেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে গিয়ে জেলেরা প্রচুর মাছ শিকার করে দুই মাসের লোকসান পুষিয়ে আবার ঘুড়ে দাঁড়াবেন।
আরও পড়ুন: ইলিশ ধরার ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে রবিবার মধ্যরাতে
চাঁদপুরের জেলেরা ইলিশ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে
ইলিশের পোনা জাটকা রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকায় মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে রবিবার রাত ১২টায়।
নদীতে মাছ আহরণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা।
আরও পড়ুন: জাটকা নিধন বন্ধ হলে দেশের মানুষ বড় ইলিশ খাওয়ার সুযোগ পাবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
জেলার প্রায় ৪৪ হাজার নিবন্ধিত জেলে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত নৌ সীমানায় মাছ আহরণে নামবেন।
তবে জাটকা রক্ষায় সরকার যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা বাস্তবায়ন নিয়ে অভিযোগ করেছেন জেলেরা।
জেলা টাস্কফোর্সের দাবি, জাটকা রক্ষায় এবার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল।
চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনা উপকূলীয় এলাকার অধিকাংশ মানুষই মাছ আহরণ ও কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। জেলেদের মধ্যে অধিকাংশ জেলে গুল্টি জাল ব্যবহার করে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ আহরণ করে।
কিন্তু এক শ্রেণির জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা আহরণ করে। আইন অমান্য করে জাটকা ধরায় ১ মার্চ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ৩৭১ জেলে আটকের পর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এদিকে দুই মাস বেকার অবস্থায় থাকার পর নৌকা ও জাল মেরামত করে প্রস্তুতি নিয়েছে জেলেরা।
সরেজমিনে সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের আনন্দ বাজার, শহরের টিলাবাড়ী এলাকা, পুরান বাজার রনাগোয়াল, দোকানঘর, লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের সাখুয়া, বহরিয়া, হানারচর ইউনিয়নের হরিণা মাছঘাট, আখনের হাট এলাকায় দেখা গেছে জাল ও নৌকা মেরামত কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা।
কিছু লোক ঠিক এই সময়ে শুধু জাল মেরামত করার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে আসেন।
সাখুয়া এলাকার জেলে শাহজাহান রাঢ়ী বলেন, সরকার জাটকা না ধরার জন্য যে অভিযান দেয় আমরা তা মানি। কিন্তু মুন্সীগঞ্জ, মোহনপুর ও শরীয়তপুর এলাকার জেলেরা এসে অধিকাংশ জাকটা ধরে নিয়ে যায়। যে কারণে অভিযান শেষ হলে আমরা কোনো মাছ পাই না। ঋণ করে নতুন জাল ক্রয়, নৌকা মেরামত ও এসব কাজে শ্রমিকদের টাকা দিতে হয়। এরপর নদীতে মাছ না পাওয়া গেলে আমাদের খুবই খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: ইলিশ ধরার ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে রবিবার মধ্যরাতে
৯ মাস পর দেশে ফিরল ঝড়ের কবলে ভারত সীমান্তে ঢুকে পড়া ১৫ জেলে
দীর্ঘ ৯ মাস আগে ঝড়ের কবলে পড়ে ভারত সীমান্তে ঢুকে পড়া ১৫ বাংলাদেশি জেলেকে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন তাদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ সময় দুই দেশের পুলিশ, বিজিবি ও বিএসএফের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফেরত আসা জেলেরা বরগুনা ও পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালের ১৮ আগস্ট বঙ্গোপসাগরে ইলিশ মাছ ধরতে যায় বরগুনা ও পিরোজপুরের শতাধিক জেলে। হঠাৎ সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়লে তাদের ট্রলার ভাসতে ভাসতে ভারত সীমান্তে ঢুকে পড়ে। ৩৬ ঘণ্টা সাগরে ভেসে থাকার পর ভারতীয় জেলেরা তাদের উদ্ধার করে সেদেশের কোস্টগার্ডের হাতে তুলে দেন।
এ সময় অনুপ্রবেশের অভিযোগে জেলেদের আটক করে ভারতীয় কোস্টগার্ড। এদের মধ্যে ৬৬ বাংলাদেশিকে আগেই বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে। বাকি জেলেদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ার পর বাংলাদেশের কলকাতা ডেপুটি হাইকমিশনের পক্ষ থেকে তাদের দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, ফেরত আসা জেলেদের চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পোর্ট থানায় সোপর্দ করে। পরে অফিসিয়াল কার্যক্রম শেষ করে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৯৯৯-এ কল দিয়ে উদ্ধার হলো ১৯ জেলে
ট্রলার থেকে ১০ জেলের লাশ উদ্ধার: পুলিশ বলছে পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড
চাঁদপুরে মেঘনায় জাটকা ধরায় ২৫ জেলে আটক, ১৯ জনকে কারাদণ্ড
কক্সবাজারে ৯৯৯-এ কল দিয়ে উদ্ধার হলো ১৯ জেলে
কক্সবাজারে গভীর সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় ১৯জন জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। শনিবার সকালে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল থেকে ২২.৫ নটিকাল মাইল দূরে গভীর সমুদ্রে থেকে একটি ফিশিং বোট থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
গত ২৩ এপ্রিল এফডি ‘সজীব-১’ নামক একটি ফিশিং ট্রলার ভোলা জেলার মনপুরা এলাকা থেকে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সমুদ্রে যায়। একপর্যায়ে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ট্রলারটি নিয়ন্ত্রনহীনভাবে গভীর সমুদ্রে ভাসতে থাকে। বিকল হয়ে যাওয়া মাছ ধরার ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আসলে জেলেরা উদ্ধার সহায়তা চেয়ে ৯৯৯ নাম্বারে কল দেয়।
বিকালে শহরের নুনিয়াছড়া এলাকায় কোস্টগার্ড পূর্ব জোন বিসিজি স্টেশানে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার এইচ এম লুৎফুল লাহিল মাজিদ।
তিনি বলেন, ইঞ্জিন বিকল হয়ে ট্রলারটি নিয়ন্ত্রনহীনভাবে গভীর সমুদ্রে ভাসতে থাকে। বিকল হয়ে যাওয়া মাছ ধরার ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আসে জেলেরা উদ্ধার সহায়তা চেয়ে অবগত করে। এসময় গভীর সমুদ্রে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিতে পারেনি জেলেরা।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে কোস্টগার্ড তৎক্ষণাৎ সমুদ্রে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে ১৯ জন জেলেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে।
ইলিশ ধরার ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে রবিবার মধ্যরাতে
জাতীয়ভাবে মাছ ধরা, বিক্রি ও পরিবহনের দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার অবসান হওয়ায় জেলেরা আবারও রবিবার মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরতে পারবেন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে ইলিশ ধরতে নদীতে যাওয়ার জন্য জাল ও নৌকা তৈরিতে এখন ব্যস্ত জেলেরা।
ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাসের ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার, ৪ জেলের জেল-জরিমানা
ইলিশের অভয়ারণ্য বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালী- এই ছয় জেলা নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল।
অভয়ারণ্য এলাকাগুলো মেঘনা নদীর চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার, ভোলার শাহবাজপুর চ্যানেলে ৯০ কিলোমিটার, ভোলার তেঁতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার, চাঁদপুর জেলার নড়িয়া ও ভেদেরগঞ্জ উপজেলায় ২০ কিলোমিটার এবং হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ ও বরিশাল সদর উপজেলা, গজারিয়া ও মেঘনা নদীতে ৮২ কিলোমিটার।
এই নিষেধাজ্ঞার সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় নিবন্ধিত জেলেদের জন্য ৮০ কেজি চাল বরাদ্দ করেছে।
একক মাছের প্রজাতি হিসেবে দেশের মৎস্য উৎপাদনে ইলিশের অবদান সবচেয়ে বেশি।
প্রতি বছর ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সরকার দুই মাসের জন্য ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ, কক্সবাজারের জেলেদের মুখে হাসি
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ থেকে ইলিশ ধরা শুরু
চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ১৭ জেলের বিরুদ্ধে মামলা
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অপরাধে ১৯ জেলেকে আটক করেছে নৌপুলিশ।
আটক জেলেদের মধ্যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্য দুইজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের সতর্ক করে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
আটক জেলেদের মধ্যে পাঁচজনের বাড়ি লক্ষ্মীপুরে, ১০ জনের কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে, একজনের মতলব উত্তরে এবং একজনের ভোলায়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ২৪ জেলেকে কারাদণ্ড-জরিমানা
মঙ্গলবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর নৌপুলিশ থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান।
ওসি জানান, জাটকা রক্ষায় চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনায় গত ২৪ ঘন্টায় (রবিবার গভীর রাত থেকে সোমবার গভীররাত পর্যন্ত) সদরের মিনি কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর, আনন্দ বাজার, চিরারচর, হরিণা, রাজ রাজেশ্বর, বহরিয়া, সফরমালী, পুরানবাজার ও আশপাশ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ সময় ১৯ জন জেলে আটক এবং সাত লাখ ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। জব্দ কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। ১৩টি বলগেটও আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে জাটকা ধরায় ৮ জেলের কারাদণ্ড
ভোলায় ধরা পড়ল সাড়ে ৬ মণ ওজনের হাউস মাছ
ভোলার মেঘনা নদীতে প্রায় সাড়ে ছয় মণ ওজনের একটি বিশাল আকৃতির মাছ ধরা হয়েছে। এর পর মাছটি বরিশাল মোকামে নিয়ে আট হাজার ৮০০ টাকা মনে বিক্রি করা হয়। মাছটি ‘হাউস মাছ’ বলেও পরিচিত।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকালে ভোলা সদরের ইলিশা ও রাজাপুরের মাঝামাঝি এলাকায় জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
পরে ইলিশা মাছ ঘাটে মাছটি বিক্রির উদ্দ্যেশে নিয়ে আসলে একনজর দেখতে বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভিড় জমান।
স্থানীয়রা জানান, রাজাপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাইদুল মাঝির মাছ ধরা নৌকার জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে। এর ওজন ছয় মণ ২৩ কেজি।
আরও পড়ুন: খুলনায় দুই ভোল মাছ সাড়ে ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি!
চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ২৪ জেলেকে কারাদণ্ড-জরিমানা
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা শিকার করার অপরাধে ২৬ জেলেকে আটক করা হয়।
আটক জেলেদের মধ্যে ১৬ জনকে এক মাস করে কারাদণ্ড, আটজনকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা এবং দুইজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় শাসন করে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার রাতে কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন।
আটক জেলেদের বাড়ি শরীয়তপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে জাটকা ধরায় ৮ জেলের কারাদণ্ড
রাত সাড়ে ১০টায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, জাটকা রক্ষায় চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনায় বেলা ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ২৬ জন জেলে আটক এবং এক লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। জব্দ কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-এর নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম, ফিল্ড সহকারী মো. জামিউল হোসেন, কোস্ট গার্ড ও নৌপুলিশের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ৩৩ জেলে আটক
চাঁদপুরে জাটকা ধরায় ২৪ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুরে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকা ধরায় শুক্রবার ২৭ জেলেকে আটক করেছে নৌপুলিশ। আটকদের মধ্যে ২৪ জনকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয় এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তিনজনকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তদের ৬ জন শরিয়তপুরের, ৮জন চাঁদপুরের, চারজন মতলব উত্তরের এবং ৬ জন মুন্সীগঞ্জের।
নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ৩৩ জেলে আটক
তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় অভিযানে অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকা আহরণকালে ২৭ জনকে আটক করা হয়। কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন মতলব উত্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল ইমরান খান।
তিনি আরও বলেন, জব্দকৃত ২টি মাছ ধরার নৌকা নষ্ট করা হয়। ৩টি কোস্টগার্ড হেফাজতে এবং ৩টি নৌ থানার হেফাজতে রয়েছে। জব্দকৃত কারেন্ট জাল প্রায় ৫ লাখ মিটার আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। জব্দকৃত ৩৯ কেজি জাটকা দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
অভিযানে চাঁদপুর সদর মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলো।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে জাটকা ধরার অভিযোগে আটক ৯
জাটকা ধরার অপরাধে চাঁদপুর-শরীয়তপুরের ১৭ জেলে গ্রেপ্তার