বুধবার দুপুর দেড়টায় উপজেলার ভুজপুর থানাধীন দাঁতমারা ইউনিয়নের চুরামনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আরো তিন বন প্রহরী আহত হয়েছেন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের নারায়ন রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম ইউএনবিকে জানান, হাসনাবাদ বিটের আওতাধীন সরকারি সংরক্ষিত বন বাগান উজাড় করে সেখানে অবৈধ পাকা বসতি নির্মাণ করছিল। বুধবার সকালে সেখানে অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করতে যায় হাসনাবদ ও তারাখোঁ বিটের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এসময় অবৈধ বসতি নির্মাণকারী জনৈক নজিরুল গংরা বাধা সৃষ্টি করে।
এক পর্যায়ে ২০ /৩০ নারী পুরুষ সংঘবদ্ধ হয়ে চারিদিক থেকে বন কর্মীদের ইট পাটকেল মারতে থাকে। নির্মাণাধীন ঘরটির একটি দেয়ালের কিছু অংশ ভাঙার পর অবস্থা বেগতিক দেখে বন কর্মীরা উচ্ছেদ না করে ফেরত আসার সময় তাদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালানো হয়। এসময় স্থানীয় মনুয়ারখীল বাজারে সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি লাঠির আঘাতে বন প্রহরী ছালাম ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত হন বন প্রহরী আবুল কালাম আজাদ, মো. মামুন ও ছাদেক। আহতদের মধ্যে ছাদেকের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান বিট কর্মকর্তা আতিকুল্লাহ।
অভিযোগ অস্বীকার করে ঘরের মালিক নজিরুল জানান, পুরানো ঘরের বারিন্দা বাড়াতে গেলে হাসনাবাদ বিট কর্মকর্তা আতিক ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। নজিরুল আতিক এবং অন্য দুই স্টাফকে ১৫ হাজার টাকা দেন। বাকী টাকা না দেয়ায় আজকে তারা ঘর ভাঙতে যায়। বন কর্মচারী হত্যার ঘটনায় তার পরিবার জড়িত নয় বলে দাবি নজিরুলের।
এদিকে ভুজপুর থানার ওসি মো. বায়েছ আলম ঘটনাস্থলে আছেন জানিয়ে বলেন, এ ঘটনার সাথে যারাই জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।