রাজধানীতে ক্রমবর্ধমান ছিনতাইয়ের ঘটনা রোধে ট্রাফিক সার্জেন্টদের ছোট অস্ত্রে সজ্জিত করার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. সাজ্জাদ আলী।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি আয়োজিত 'ঢাকা মহানগরী এলাকায় বাস কাউন্টার ও ই-টিকেটিং ব্যবস্থা'র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নগরীর চলমান যানজট নিরসন ও সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘শুধু চালক ও পরিবহন শ্রমিকদের নিয়ম মেনে চলাই যথেষ্ট নয়। যাত্রী ও সাধারণ জনগণকেও আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করতে হবে।’
বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরোয়ার ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি এম এ বাতেন।
নতুন কাউন্টার ও ই-টিকেটিং পদ্ধতি সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যাত্রীদের নির্দিষ্ট স্টপেজে উঠা্ ও নামানো নিশ্চিত করে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই এর লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: সেবার মাধ্যমে পুলিশকে জনগণের আস্থা ফেরাতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
তিনি এই উদ্যোগের সাফল্য নিশ্চিত করতে ডিএমপির পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় আড়াই কোটি মানুষের ঢাকা অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এসব প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সবার জন্য জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করতে হবে। ঢাকাবাসী যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
থানাগুলোতে হয়রানিমুক্ত সেবা পাওয়ার গুরুত্বও তুলে ধরেন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশি সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছি। ‘মামলা বা সাধারণ অভিযোগ (জিডি) করতে গিয়ে যদি কেউ সমস্যার সম্মুখীন হন, কোনো পুলিশ সদস্য আপনাকে হয়রানি করে— তাহলে আমাদের জানান, আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।’
তিনি পরিবহন খাতের নেতাদের চালকদের নিয়োগপত্র এবং নিয়মিত মাসিক বেতন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।