বাবার সঙ্গে রাগ করে আত্মহত্যার জন্য ১৮ বছর বয়সী ছোট ছেলে ঘরের দরজা বন্ধ করে হাত-পা কাটার চেষ্টা করছে। উপায়ন্তর না দেখে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল দেন ওই বাবা।
পরে ১৮ বছর বয়সী সেই ছেলেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকালে পাবনার সাঁথিয়া কাঁচা বাজারের কাছে একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল করে ডুবন্ত স্পিড বোট থেকে প্রাণে বাঁচল ১২ চীনা নাবিক
জানা যায়, একজন কলার ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে জানান, তাঁর ছেলে ঘরের দরজা বন্ধ করে হাত-পা কাটার চেষ্টা করছে এবং সিলিং ফ্যানের সঙ্গে দড়ি ঝুলিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিচ্ছে।
তাঁরা অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছেন কিন্তু ছেলে কিছুতেই দরজা খুলছে না এবং দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করলে ফাঁসি দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।
এ অবস্থায় কলার দ্রুত পুলিশি সহায়তার অনুরোধ জানিয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন।
৯৯৯ কলটেকার কনষ্টেবল গোলাম কিবরিয়া কলটি রিসিভ করেছিলেন।
কনষ্টেবল কিবরিয়া তাৎক্ষণিকভাবে পাবনার সাঁথিয়া থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানায়।
৯৯৯ ডিসপাচার উপপরিদর্শক (এসআই) আল মামুন সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ এবং কলারের সঙ্গে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করে পুলিশী তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
এদিকে সংবাদ পেয়ে সাঁথিয়া থানা পুলিশের একটি দল অবিলম্বে ঘটনাস্থলে যায় এবং আত্মহত্যা চেষ্টাকারী ছেলেটিকে বুঝিয়ে শান্ত করলে এক পর্যায়ে সে নিজেই দরজা খুলে বেরিয়ে আসে।
সাঁথিয়া থানা পুলিশ দলের নেতৃত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) রেজোয়ান মীর ৯৯৯ কে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন।
পরবর্তীতে ৯৯৯ থেকে যোগাযোগ করা হলে কলার জানান, তিনি নৌবাহিনীতে সৈনিক পদে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি অবসর নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, তাঁর ছেলেটি প্রচুর টাকা পয়সা অপচয় করতো এবং লেখা পড়া ছেড়ে দিয়েছে।
এসব বিষয় নিয়ে তাকে বকা দেওয়ায় এবং টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় রাগ করে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: রায়পুরায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যার পর ৯৯৯-এ কল দিয়ে ছেলের দায় স্বীকার!