নিহত সুজন আলী (২৭) ওই গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে।
এদিকে ঘটনার দুই ঘণ্টা পর বড় ভাই আব্দুল কাদের (৩৫) সদর থানায় এসে আত্মসমপর্ণ করে পুলিশের কাছে ছোট ভাইকে খুন করার স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
সুজন আলীর মরদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পারিবারিক বিরোধে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে দুই ভাই। এক পর্যায়ে বড় ভাই আব্দুল কাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছোট ভাই সুজন আলীকে কোপাতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় সুজন।
স্থানীয় বাসিন্দা রবজেল মন্ডল ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, বছর আগে জমি বিক্রি করে সৌদি আরবে যায় আব্দুল হাকিমের ছোট ছেলে সুজন। কিন্তু সৌদিতে যে চাকরিক কথা বলে তাকে পাঠানো হয়েছিল, সেই চাকরি না দিয়ে মরুভূমির একটি খামারে কাজ দেওয়া হয়। প্রবাসে কষ্টের চাকরি না করে ৭ মাস আগে দেশে ফিরে আসে সে। বিষয়টি নিয়ে সুজনের সাথে মাঝে মাঝে ঝগড়া-বিবাদ হতো বড় ভাই আব্দুল কাদেরের।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন খাঁন জানান, রাতে পারিবারিক বিরোধে দুই ভাই বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বড় ভাই ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছোট ভাই সুজনকে কোপাতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় সুজন। পরে পালিয়ে যায় বড় ভাই আব্দুল কাদের। এর দুই ঘণ্টা পর নিজেই সদর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন এবং ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে।
তিনি বলেন, পুলিশ রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছ্।