সোমবার বেলা ১১টা থেকে সিলেট নগরীর মজুমদারীস্থ বিমান অফিসের সামনে দুই ঘণ্টাব্যাপী এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
আটাবের দাবিগুলো হলো- সিলেটের যাত্রীদের জন্য সপ্তাহে একটি সিলেট-জেদ্দা-সিলেট ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা অথবা কমন ভাড়ায় নির্দিষ্ট আসন বরাদ্দ রাখা, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে জেদ্দা-দুবাই লন্ডনসহ বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে নির্ধারিত কমন ভাড়া বহাল রাখা, সিলেট থেকে জেদ্দা-লন্ডন-দুবাই রুটে সরাসরি ফ্লাইটে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কমন ভাড়ায় সিলেটবাসীদের আসন বরাদ্দ রাখা, সিলেট অঞ্চলের যাত্রীদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ পরিহার করা, সপ্তাহে ধার্যকৃত জেদ্দা-সিলেট দুটি ফ্লাইটে সিলেটের যাত্রীদের জন্য ‘ইউ’ ক্লাসে প্রয়োজনীয় আসন বরাদ্দ রাখা এবং ওসমানী বিমানবন্দরের রানওয়ের শক্তি বৃদ্ধির কাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করে সরাসরি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে সিলেটের অঞ্চলের ট্রাভেল এজেন্টসহ প্রবাসী, ওমরা ও হজ্জ পালনকারীরা হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক ঘোষণার পরও বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে সিলেট থেকে সরাসরি বহিঃবিশ্বে ফ্লাইট যাতায়াত ও বিদেশি এয়ারলাইন্স আসা-যাওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, সিলেটের ওমরা ও হজ্জ পালনকারীরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে সিলেট থেকে যাতায়াত করতে চান কিন্তু তাদের জন্য আসন সংকট তৈরি করে রাখা হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে কমন ভাড়া নির্দিষ্ট থাকলেও সিলেটবাসীর জন্য অতিরিক্ত ভাড়ার সিস্টেম চালু করে রাখা হয়েছে। এ কারণে সিলেটের যাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাছাড়া অতিরিক্ত টাকা খরচ করে ঢাকা থেকে বিমানের ফ্লাইট ধরতে হচ্ছে তাদের।
অবস্থান কর্মসূচিতে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) সিলেট অঞ্চলের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
এ বিষয়ে আটাব সিলেট জোনের সভাপতি আব্দুল জব্বার জলিল বলেন, ‘আমরা সিলেটের যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমাদের দাবিগুলো নিয়ে বিমান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলাম তা বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে মূলতবী ঘোষণা করেছি।
তিনি আরও জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আশ্বাসকৃত দাবিগুলো পূরণ করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবে আটাব নেতৃবৃন্দ।’
তারা জানান, কর্মসূচি পালনের একপর্যায়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা আন্দোলনরত আটাব, মেট্রোপলিটন চেম্বার ও প্রবাসী নেতৃবৃন্দের নিয়ে বৈঠকে বসে দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন।