মানববন্ধন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদরাসার খেলার মাঠ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে মানববন্ধন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা দারুল উলুম দাখিল মাদরাসার খেলার মাঠ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে মাদরাসার সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, মাদরাসার সুপার আজিজুর রহমান, সহকারী সুপার মতিউর রহমান, শিক্ষক মাসুদ রানা, শিক্ষার্থী রুবেল আলী, হালিমা খাতুন, সুমাইয়া আক্তার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ মাদরাসার খেলার মাঠে জোরপূর্বক অবৈধভাবে বেশ অনেকগুলো দোকানপাট গড়ে উঠেছে। ফলে পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা খেলাধুলার সুযোগ পাচ্ছে না। এসব অবৈধ দোকান পাট উচ্ছেদের জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও এখন পর্যন্ত এর সুরাহা হয়নি। তাই অবিলম্বে এইসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান বক্তারা।
২ সপ্তাহ আগে
করোনাকালীন নিয়োগপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের চাকরির নিরাপত্তার দাবিতে মানববন্ধন
ডিসেম্বরের পর চুক্তি বাড়ানোর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন করোনাকালীন সম্মুখসারিতে কাজ করা এক দল স্বাস্থ্যকর্মী।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে তারা এ মানববন্ধন করেন।
কর্মীরা জানান, গত চার বছর তারা ‘অনিশ্চয়তার মধ্যে’ কাজ করেছেন এবং বর্তমানে তাদের জীবিকা হুমকির মধ্যে রয়েছে।
আ. স. ম. শাহজাহান নামে একজন স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, ‘২০২০ সালে করোনাকালীন তিন মাসের চুক্তিতে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু বারবার সেই মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো হয়। এই চার বছরে এভাবে বাড়িয়ে এখন আমাদের জানানো হচ্ছে ডিসেম্বর থেকে আমাদের চাকরি থাকবে না। এতগুলো মানুষ সেসময় থেকে কাজ করে আসছি। এখন যদি চাকরি না থাকে আমরা কোথায় যাব? শুনেছি পদগুলো বহাল থাকবে, কিন্তু এই লোকবল থাকেবে না। আমাদের আবেদন, আমাদের যেন চাকরিচ্যুত না করা হয়।'
ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমরা অনেকেই আছি যারা সেসময় চাকরিতে যোগদান করেছি। তখন তিন মাসের প্রজেক্ট শেষ হওয়ার পর যদি আমাদের চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হতো তবে, আমরা অন্য চাকরির জন্য পড়াশোনা করতে পারতাম। এখন চার বছর পরে এসে অনেকেরই চাকরির বয়স নেই। এখন আমাদের পেটে লাথি মারা হচ্ছে। আমি তিনবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছি। এখন তো রিকশা চালিয়েও খেতে পারব না।’
সাদিক মোহাম্মদ ওয়াদুদ নামে আরেকজন বলেন, ‘আমাদের ১,১৫৪ জনকে করোনাকালীন বিভিন্ন প্রকল্পে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এতগুলো মানুষ এখন কর্মসংস্থানহীন হয়ে যাবে। তারা এখন বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত। নিজেদের যোগ্যতায় পরীক্ষা দিয়ে চাকরি হয়েছিল। আমরা চাই স্বাস্থ্যের যেকোনো জায়গায় তাদের কর্মসংস্থান করা হোক।’
১ মাস আগে
সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় নরসিংদীতে মানববন্ধন
নরসিংদীর রায়পুরায় উপজেলায় দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ও রায়পুরা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনিরের ওপর হামলা ও গুলির ঘটনায় মানববন্ধন করেছে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
বুধবার (১৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নরসিংদী প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত থেকে এই হামলার নিন্দা জানান।
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে বাকৃবিতে আবারও মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা হলো সমাজের দর্পন। সকল অন্যায় ও দুর্নীতি তাদের কলমের মাধ্যমে জনগণের সামনে তুলে ধরেন তারা। সম্প্রতি সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে রায়পুরা উপজেলা। সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ধরলে সাংবাদিকদের ওপর চালানো হয় সন্ত্রাসী হামলা। দেশ রুপান্তরের সাংবাদিক মনিরের ওপর তেমনটাই হয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, এখন থেকে আর কোনো সাংবাদিকদের ওপর হামলা মেনে নেওয়া হবে না। পাশাপাশি মনিরের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় না আনা হলে সুশীল সমাজকে সঙ্গে নিয়ে জেলার সাংবাদিক মহল দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন- নরসিংদী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম, নরসিংদী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন রাজু, সাংবাদিক হলধর দাস, মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, মো. ফারুক মিয়া, মনজিল-এ-মিল্লাত, সুমন বর্মণ, তোফায়েল আহমেদ স্বপন, শামীম মিয়াসহ শতাধিক সাংবদিক।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দুপুরে মনিরুজ্জামান মনির রায়পুরা উপজেলার শ্রীরামপুর বাজার থেকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে উপজেলা পরিষদে ফিরছিলেন। এসময় শ্রীরামপুর বাজারের পাশে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা করে।
আরও পড়ুন: ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সিলেটে মানববন্ধন
পেনশন স্কিম: বাকৃবিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের মানববন্ধন
৪ মাস আগে
কোটা বাতিলের দাবিতে বাকৃবিতে আবারও মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে আবারও মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১ জুলাই) শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনের মুক্তমঞ্চের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
আরও পড়ুন: কোটা পুনর্বহাল: বাকৃবিতে শতাধিক শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ
এসময় সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সমতা প্রত্যেকের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালকে সংবিধানের লংঘন বলে মন্তব্য করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি বিলুপ্তি না হলে ছাত্র সমাজ ছেড়ে কথা বলবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এর আগে গত ১০ জুন কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন করে বাকৃবির প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী।
আন্দোলনে পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী মো. ইরান মিয়া বলেন, ‘কোটা পদ্ধতির নামে বৈষম্য সারা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ কখনোই মানবে না। সংবিধানে চাকরির ক্ষেত্রে সুযোগের সমতার কথা বলা হয়েছে এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কোটা পদ্ধতির পুনর্বহাল সংবিধানের লংঘন। তাই সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতির বিলুপ্তি না হলে ছাত্রসমাজ ছেড়ে কথা বলবে না।’
আরও পড়ুন: পেনশন বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদে অর্ধদিবস কর্মবিরতিতে বাকৃবির শিক্ষকরা
পেনশন বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদে অর্ধদিবস কর্মবিরতিতে বাকৃবির শিক্ষকরা
৫ মাস আগে
অপরিকল্পিতভাবে জলাধার ভরাটে জলাবদ্ধতা, নিরসন চেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বুধবার (১৯ জুন) সকালে কুমিল্লা-সিলেট সড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুহিলপুরে নির্মাণাধীন চার লেন সড়কের পাশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন সুহিলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির খান, মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, ডা. নয়নমনি, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি মোবারক মিয়া, সাবেক জনপ্রতিনিধি বাবুল মিয়া , সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন
সুহিলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির খান বলেন, ‘চার লেন কাজের জন্য অপরিকল্পিতভাবে জলাধার ভরাট করায় সুহিলপুর ও নন্দনপুর ইউনিয়নের লক্ষাধিক লোক পানিবন্দি অবস্থায় জীবনযাপন করছে। এর কারণে গত ২ থেকে ৩ বছর ধরে এখানে প্রায় ১ হাজার একর জমির ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া জলাবদ্ধতার কারণে এলাকায় পানিবাহিত বিভিন্ন রোগব্যাধির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘পানি নিষ্কাশনের জন্য বর্তমানে ড্রেনেজ ব্যবস্থার যে কাজ চলছে, তা পর্যাপ্ত নয়।’
এছাড়া, লক্ষাধিক মানুষকে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থেকে রক্ষার পাশাপাশি কৃষিকাজ ও কৃষকদের সুবিধার জন্য বড় পরিসরে ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালুর দাবিও জানান তিনি।
মানববন্ধন শেষে কুমিল্লা-সিলেট সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। জনদুর্ভোগ নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন
৫ মাস আগে
রাজনীতির নামে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মানববন্ধনে তথ্যমন্ত্রী
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রাজনীতির নামে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সংগঠন ‘মিডিয়া ফর ডেভালপমেন্ট অ্যান্ড পিস’ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। রবিবার এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ‘রাজনীতির নামে জ্বালাও-পোড়াও নাশকতা বন্ধ করো, নির্বাচন-ই সরকার পরিবর্তনের একমাত্র পথ’ শীর্ষক এই কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
মানববন্ধনে জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, পত্রিকার সম্পাদকদের মধ্যে হেমায়েত উদ্দীন, হেদায়েত উল্লাহ প্রমুখ অংশ নেন।
তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, রাস্তায় নেমেছেন। বিএনপি-জামায়াত হরতাল, অবরোধ, সমাবেশের নামে একজন পুলিশ সদস্যকে যেভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে, ড্রাইভার-হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, সাংবাদিকদেরকে পিটিয়েছে, যানবাহন জ্বালিয়ে দিয়েছে, পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে এম্বুলেন্সসহ ১৯টি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, সেগুলো কোনো মুভির নৃশংসতম দৃশ্যপটকেও হার মানিয়েছে। এগুলো রাজনীতি তো নয়ই, অপরাজনীতি বললেও ভুল হবে। রাজনীতির নামে পৃথিবীর কোথাও এ ধরণের নৃশংসতা হয়নি, যেটি বিএনপি-জামায়াত করছে। এরা দেশের শত্রু, সমাজের শত্রু, রাষ্ট্রের শত্রু।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সবাইকে এদের প্রতিহত করতে হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, দেশকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, আজকেও হচ্ছে এবং এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে দেশি-বিদেশি চক্র যুক্ত আছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সমস্ত ষড়যন্ত্রকে উপড়ে ফেলে আজকে দেশে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হয়েছে, উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। এছাড়া জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে দেশে একটি সুন্দর নির্বাচন আমরা উপহার দিতে পারবো।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক ভাই-বোনদের অনুরোধ জানাবো আপনারা জনগণের পাশে আগেও ছিলেন, এখনো আছেন, আজকে যেভাবে মুখ খুলেছেন, ভবিষ্যতেও এমনই থাকবেন। আর যারা জনগণ ও গাড়ি-ঘোড়ার উপর হামলা চালায়, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে, তাদের খুঁজে বের করে সমূলে উৎপাটন না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই মানবাধিকারের কথা বলে, প্রেসক্রিপশন দেয়: তথ্যমন্ত্রী
ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কয়েকটি সংস্থা ও দেশ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
যাত্রাবাড়ীতে জামায়াতের মানববন্ধন ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রবিবার (১০ ডিসেম্বর) জামায়াতে ইসলামীর মানববন্ধন ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ।
এছাড়া পুলিশ দল ও এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে।
দলটির বেশ কয়েকজন নেতা বলেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আইনজীবী ড. হেলাল উদ্দীনের নেতৃত্বে দলের রাজনৈতিক নিবন্ধন মামলা, একতরফা নির্বাচনের তফসিল, গুপ্ত হত্যা, গণগ্রেপ্তার, ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালনে মানববন্ধন করা হয়।
তারা অভিযোগ করেন, হঠাৎ পুলিশ গুলি ছুড়ে, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে এবং সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে তাদের বাধা দেয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১২ দিনে ১৭ মামলা, গ্রেপ্তার ৫০
তাৎক্ষণিকভাবে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর (প্রধান) নুরুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরমান আলী জানান, সকালে শহীদ ফারুক সড়কে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করার সময় লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।
এ ঘটনায় দলের ৩ জন সমর্থককে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
দীর্ঘদিন পর রবিবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দলটি রাস্তায় নেমেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের ৭ কর্মী আটক, আহত ৫ পুলিশ সদস্য
জামায়াতের অর্থের ‘জোগানদাতা’ ডা. ফাতেমাকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
আগামী ১০ ডিসেম্বর মানববন্ধন করবে বিএনপি: রিজভী
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আগামী ১০ ডিসেম্বর গুম ও রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে মানববন্ধন করার প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আগামী রবিবারের (১০ ডিসেম্বর) কর্মসূচি সফল করতে দলের প্রস্তুতির কথা বলেন।
রাজধানীতে বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবেন বলে জানান তিনি।
রিজভী দাবি করেন, ‘বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি ইউনিট এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়েছে।’
এছাড়া এই বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তুলে ধরতে তাদের দলের সব জেলা ইউনিট একই দিনে একই সময়ে কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার যদি কর্মসূচি পালনে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করে, তাহলে তাদের দলের নেতা-কর্মীদের প্রতিরোধ ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
রিজভী বলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে তারা সফলভাবে কর্মসূচি পালন করতে চান।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা রিজভীর সমাবেশ থেকে গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ পিকেটারদের
তিনি বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মী এবং যারা গুম এবং রাজনৈতিক ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যদের ঢাকাসহ সারাদেশে মানববন্ধনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি আদায়ে শুক্রবার সকাল ৬টায় শেষ হওয়া ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালনের জন্য তিনি বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের মহাসমাবেশ পুলিশ বানচাল করার পর থেকে ১০ দফা অবরোধ ও তিন দফায় হরতাল পালন করে বিএনপি।
রিজভী বলেন, ‘স্বৈরাচারী’ আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে মানবতা ও মানবাধিকারের কোনো মূল্য নেই।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী সরকার এখন ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য স্বৈরাচারী শাসনে পরিণত হয়েছে… তারা চায় দেশের মানুষ সত্য ভুলে যাক এবং তারা সমাজ থেকে সত্যকে মুছে ফেলতে চায়। তারা দেশ থেকে ন্যায়বিচার দূর করার চেষ্টা করছে।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা আরও বলেন, সরকার এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যেখানে সত্য কথা বলা এবং মানবাধিকারের কথা বলা বা শান্তিপূর্ণ অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনকে সবচেয়ে বড় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণভাবে সুশীল সমাজকে দমন করার চেষ্টা করছে, দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।
শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশ বিএনপির ২১৫ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত তাদের দলের প্রায় ২০ হাজার ৪৯০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা ধরে রাখতেই তৈরি পোশাক খাতে বিপদ ডেকে আনছে সরকার: রিজভী
বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলোর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হচ্ছে বুধবার
১ বছর আগে
রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে নদীরক্ষা অন্তর্ভুক্তিসহ ৯ দাবিতে মানববন্ধন
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে দেশের নদ-নদী রক্ষার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করাসহ ৯ দাবিতে মানববন্ধন করেছেন প্রকৃতিবাদী সংগঠনগুলোর নেতারা।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীতে তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নদী ও প্রকৃতি রক্ষার সংগঠন 'নোঙর ট্রাস্ট' আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনগুলোর নেতারা এ দাবি জানান।
এসময় নোঙর চেয়ারম্যান সুমন শামসের সভাপতিত্বে দাবিগুলো তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন লোকশিল্পী ও গবেষক ইমরান উজ-জামান, পরিবেশবাদী লেখক ও প্রকাশক নাজমুল হুদা রতন, ফজলে সানি, জাহাঙ্গীর নিপু, আমিনুল হক চৌধূরী, আহমেদুর রহমান রুমি, সংস্কৃতি কর্মী আব্দুস সামাদ ও প্রকাশক কামাল মুস্তফা প্রমুখ।
৯ দফা দাবিতে বলা হয়-
১) আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে দেশের সকল নদী, খাল, বিল, হাওর-বাওড়, পুকুর, জলাশয়সহ প্রাণ-প্রকৃতি সংরক্ষণের অঙ্গীকার অন্তর্ভুক্তি এবং বাস্তবায়নে জাতীয় সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ করা
২) আদালতের নির্দেশ মেনে ১৯৪০ সালের সিএস নকশা অনুযায়ী সব নদী, শাখা নদী ও খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং সীমানা পিলার স্থাপন করে পুণরায় নদীপ্রবাহ নিশ্চিত করা
আরও পড়ুন: ছয় শতাধিক নদীর নাম ও হাজার হাজার দখলদারের তথ্য মুছে দেওয়ার প্রতিবাদে সেমিনার
৩) রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া ৪৭টি খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে বৃত্তাকার নৌপরিবহন চালু করা
৪) নদীর অপরিকল্পিত বাঁধ ও স্বল্প উচ্চতার সেতু-কালভার্ট সংস্কার করে পরিবহনযোগ্য নৌপথ তৈরি
৫) নদী দখল-দূষণকারী, বালুখেকো, ভূমিদস্যুদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য ঘোষণা করা
৬) সমুদ্র-পাহাড়, বনভূমি, প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ
৭) দেশের স্বার্থে 'জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ কনভেনশন ১৯৯৭' অনুস্বাক্ষর করে সকল অভিন্ন নদীর স্বাভাবিক প্রবাহের বাধা অপসারণ
৮) ফারাক্কা-তিস্তাসহ ৫৪টি আর্ন্তজাতিক নদীর পানির ন্যায্য বণ্টন এবং
৯) দেশের নৌপথে নিহত সব শহীদের স্মরণে আগামী দিনের নৌ-নিরাপত্তা নিশ্চত করতে ২৩ মে 'জাতীয় নদী দিবস’ ঘোষণা করে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করা।
দাবির পাশাপাশি বক্তারা বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশে গত ৫২ বছর ধরে নদ-নদী, খাল-বিল, পুকুর-জলাশয় ভরাট করে দখলের প্রতিযোগিতা বেড়েই চলছেই।
আবার একদিকে উজানে বাঁধ দিয়ে একতরফা পানি সরিয়ে নেওয়ার ফলে বাংলাদেশের নদীগুলোতে দেখা দিয়েছে পানি সংকট অন্যদিকে দেশের মধ্যেই অতিরিক্ত পলি জমে নদীগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে।
তারা বলেন, মনুষ্য সৃষ্ট নানা ধরনের শিল্পবর্জ্যের দূষণে আমাদের নদীমাতৃক দেশের প্রাণবৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে।
তারা আরও বলেন, পাশাপাশি কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নানা প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে নদী ভরাট করে অথবা বালু উত্তোলন করে নদীগুলোকে ধ্বংস করেই চলছে, কোথাও আবার একাধিক নদী ব্যক্তি মালিকানায় দখলে রয়েছে।
এর অবসান হলেই কেবল দেশের পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করা যাবে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল: যা জানা দরকার
গণতান্ত্রিক আন্দোলনের লক্ষ্য হওয়া উচিত নদী রক্ষা: আনু মুহাম্মদ
১ বছর আগে
১১ দফা দাবিতে বরিশালে বেসরকারি শিক্ষকদের মানববন্ধন
শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ, মূল বেতনের ৪০ ভাগ মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়াসহ ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বরিশালে মানববন্ধন করেছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) বরিশালের উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত
মানববন্ধন শেষে শিক্ষক নেতারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন।
বক্তারা বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থা, যা বাস্তবায়নের জন্য মানসম্মত শিক্ষার দরকার। যদি শিক্ষার মানোন্নয়ন না করা যায়, তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে না।
বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষকদের আর্থিক সচ্ছলতা বাড়াতে হবে। যদি মানসম্মত শিক্ষক পেতে হয়, তাহলে শিক্ষকদের মানসম্মত সম্মানি দিতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীদের মাঝে কোনোরকম বৈষম্য যাতে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বেসরকারি শিক্ষকদের পরিবার বিপর্যস্ত।
তারা বলেন, যদি ৪০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা না দেওয়া হয়, তাহলে আমরা ঘরে বসে থাকবো না, আমরা এ সরকারকে বাধ্য করবো ৪০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিতে।
জেলা বাকশিসের সভাপতি উপাধ্যক্ষ আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে বক্তৃতা দেন কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক মিজানুর রহমান সেলিম, বরিশাল জেলার সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মশিউর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক জাকির হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক কামাল চৌধুরী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বাসের ধাক্কায় কলেজশিক্ষক নিহত
কুড়িগ্রামে ইয়াবা জব্দ, কলেজশিক্ষক গ্রেপ্তার
১ বছর আগে