নামজারির ক্ষেত্রে জটিলতা দূর করে মানুষের ভোগান্তি কমাতে এ বিষয়ে সোমবার প্রস্তাবটি অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা।
সচিবালয়ে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি এ সভায় যোগ দেন।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এটি এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এটি বিনিয়োগকারী ও দেশের সাধারণ মানুষসহ সবার জন্য স্বস্তি বয়ে আনবে। এটি মানুষের হয়রানি কমাবে, নামজারিতে সময় কম নেবে এবং জমি সংক্রান্ত মামলা কমে যাবে।’
তিনি জানান, জমির দলিল হয় আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে, আর নামজারি হয় ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তবে আজকের প্রস্তাব অনুমোদনের ফলে সাব-রেজিস্ট্রেশন অফিস এবং এসি ল্যান্ড অফিসের মধ্যে সমন্বয় থাকবে।
সচিব বলেন, এসি ল্যান্ড অফিসগুলোর অনলাইন ডাটাবেজে জমির প্রায় চার কোটি ৩০ লাখ খতিয়ান রয়েছে। এখন সাব-রেজিস্ট্রেশন অফিসগুলো জমির দলিল করার আগে এসব খতিয়ান যাচাইয়ের জন্য ডাটাবেজটি ব্যবহার করতে পারবে।
এছাড়া, এসি ল্যান্ড অফিসগুলো সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি জমির দলিল হওয়ার তথ্য জানতে পারবে। পাশাপাশি এসি ল্যান্ড অফিস দলিল হওয়ার পর একটি ম্যানুয়াল কপি পেয়ে যাবে।
‘সুতরাং, দলিল হওয়ার পর জমির নামজারি করতে এসি ল্যান্ডের সর্বোচ্চ আট দিন সময় লাগবে,’ জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নতুন এ পদ্ধতি ইতোমধ্যে দেশের ১৭ উপজেলায় চালু করা হয়েছে।
আনোয়ারুল ইসলাম এক প্রশ্নের জবাবে জানান, নতুন ব্যবস্থাটি পুরো দেশে চালু করতে এক বছর লাগতে পারে।
তিনি বলেন, খতিয়ানের সফটওয়্যারে বর্তমানে শুধু জমি ক্রয় ও বিক্রয়ের তথ্য থাকছে। তবে ভবিষ্যতে এতে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির তথ্য রাখার সুবিধা আছে।
উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি বণ্টনের ক্ষেত্রে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা যেন বঞ্চিত না হন সে বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।