বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বার কল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত মৃত্যুবরণকারী চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের পরিবার এবং চিকিৎসা গ্রহণকারী সদস্যদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মেম্বার-চেয়ারম্যান, এমপি এবং মন্ত্রী হয়েছি নিজ নিজ এলাকার মানুষের উন্নত জীবন দেয়ার জন্য, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করার জন্য, অর্থ-সম্পদের মালিক হওয়ার জন্য নয়।’
মন্ত্রী বলেন, চেয়ারম্যান-মেম্বারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তিনি জনবান্ধব, মানবপ্রেমী কিংবা দেশপ্রেমিক কি না। কারণ শিক্ষিত মানুষ হলেই ভালো হবে আর অশিক্ষিত হলেই খারাপ হবে এমনটা বলা যাবে না।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার কথা বলেছেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার কথা বলেছেন, দেশকে ডিজিটাল করার ঘোষণা দিয়েছেন, তখন অনেকেই এসব নিয়ে হাস্যরস করেছে। কিন্তু এখন এসব বাস্তবতা।’
শেখ হাসিনা যা ঘোষণা দেন তা বাস্তবায়ন করেন উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের যে ঘোষণা শেখ হাসিনা দিয়েছেন তা তার আগেই বাস্তবায়িত হবে। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশ এখন উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য।’
জনপ্রতিনিধিদের নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে দেশের উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
করোনা মহামারির মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করায় তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
মন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বার কল্যাণ ট্রাস্টে এক কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দেন।
ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সাথে গ্রামীণ মানুষের নাড়ির সম্পর্ক রয়েছে। তারাই সব সময় সুখে দুঃখে মানুষের পাশে দাঁড়ান।’