তিনি বলেন, ‘বিশ্ব সম্প্রদায়, দাতা ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে যৌথ উদ্যোগ নিতে হবে।’
রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (আইসিইইএসটি- ২০)’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
দেশ-বিদেশের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের অংশগ্রহণে শনিবার পাঁচ দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদ এ আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ অন্যতম উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘দূষণ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশসহ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ভূমিকা খুবই নগণ্য।’
তিনি বলেন, ‘যেসব দেশ এর জন্য দায়ী তাদেরকে এ অবস্থা থেকে উত্তরণে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট সমস্যা এখন আর কোনো একটি দেশ বা অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই।’
জলবায়ু পরিবর্তন এখন বৈশ্বিক সমস্যা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, এর সমাধানে গোটা বিশ্বকে এগিয়ে আসতে হবে।
শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি আর সুন্দর-সুন্দর কথার মধ্যে সমাধান না খুঁজে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
বিশাল সমুদ্র এলাকাকে কেন্দ্র করে আজ সুনীল অর্থনীতির সুবর্ণ দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় খনিজ ও প্রাণিজ সম্পদ অনুসন্ধান, আহরণ ও সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা খুবই জরুরি।
এ সম্মেলনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সভাপতিত্বে ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে ৩৯টি সেশনের আয়োজন করা হবে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, সম্মেলনের বক্তা যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক ড. পিটার স্যামন্ডস উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
এসময় রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সবিচরা উপস্থিত ছিলেন।