টেকসই উন্নয়ন
টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে ডিআরএফ প্রণয়ন করা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন কৌশল (ডিআরএফ) প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
সোমবার (৩ জুন) রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে ‘জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন কৌশল’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এ কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছেন সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিআরএফের মাধ্যমে আমরা কেবল দুর্যোগ পরবর্তী কর্মকাণ্ডে সীমাবদ্ধ না থেকে একটি আস্থাশীল সমাজ গঠনে সক্ষম হব।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ডিআরএফ কৌশল দুর্যোগ প্রশমনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার দেবে। এছাড়াও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি শক্তিশালী আর্থিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করবে।
সরকারের পাশাপাশি অন্যান্য অংশীদাররা সক্রিয়ভাবে এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে জানান মহিববুর রহমান।
কর্মশালায় ডিআরএফ কৌশলপত্রের নানা দিক নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।
কর্মশালায় আরও ছিলেন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও এ বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: সব মন্ত্রণালয়ের ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা ৯ জুন চূড়ান্ত করব: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড় রিমালে ২০ জেলায় ৬৮৮০ কোটি টাকার ক্ষতি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
৬ মাস আগে
সম্পদের বিভাজন রোধে সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে সম্পদের বিভাজন রোধে সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্লাটফর্মে আসা উচিত বলে মনে করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত ‘কান্ট্রি এনভায়রনমেন্টাল অ্যানালাইসিস ২০২৩ : বিল্ডিং ব্যাক এ গ্রিনার বাংলাদেশ বিল্ডিং’ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে ডুপ্লিকেশন এবং ওভারল্যাপিং কমানো প্রয়োজন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট অসংখ্য ঝুঁকি এবং অস্তিত্বের হুমকির সঙ্গে আর্থিক এবং সক্ষমতা বাড়াতে সম্পদের সুরক্ষা অপরিহার্য।
আরও পড়ুন: সব উন্নয়ন জলবায়ু সহায়ক করার লক্ষ্য সরকারের: পরিবেশমন্ত্রী
উদীয়মান চাহিদা মোকাবিলা করতে প্রয়োজনীয় নীতির সমন্বয় করা হবে জানিয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাস্থ্যই সবার আগে তাই সরকার বায়ু ও পানির গুণমান উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জলবায়ু কর্মের জন্য অগ্রাধিকারমূলক হস্তক্ষেপগুলো ক্রমানুসারে করা হচ্ছে এবং সরকার সক্রিয়ভাবে একটি সময়সীমাবদ্ধ পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে।
টেকসই অনুশীলনের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বাংলাদেশের জন্য একটি সবুজ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করে স্থিতিস্থাপক সমাজ গড়ে তুলতে নারীরা শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে: পরিবেশমন্ত্রী
কর্মশালায় আরও ছিলেন বাংলাদেশের নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম।
কর্মশালায় পরিবেশ সংরক্ষণের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, কান্ট্রি এনভায়রনমেন্টাল অ্যানালাইসিস ২০২৩ রিপোর্টের মূল ফলাফলের ওপর উপস্থাপনা এবং আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৮ মাস আগে
বাংলাদেশে বেলজিয়ামের রানী ম্যাথিল্ডে: টেকসই উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ
বেলজিয়ামের রানী ম্যাথিল্ডে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) প্রবক্তা হিসেবে তিন দিনের সফরে আজ ঢাকায় পৌঁছেছেন।
সোমবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: জার্মানি ও বেলজিয়ামে বন্যায় ১২৫ জনের মৃত্যু, বহু নিখোঁজ
বেলজিয়ামের রানী মেয়েদের শিক্ষা, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, গৃহস্থ্য সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াই এবং মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি মূল্যায়ন ও সহযোগিতা করার পরিকল্পনা করেছেন।
তিনি পরিবেশগত সমস্যার প্রতিক্রিয়াতেও আগ্রহী।
বেলজিয়ান রয়্যাল প্যালেস জানায়, সফরকালে তিনি বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির কুতুপালং পরিদর্শন করার পরিকল্পনা করেছেন। যেখানে দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া ও আতিথ্য করা হয়েছে।
জাতিসংঘের ১৭ জন এসডিজি প্রবক্তাদের একজন হিসেবে তিনি ঢাকা ও খুলনা জেলার প্রকল্প পরিদর্শন করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন জানিয়েছেন, রানী ম্যাথিল্ডে (ম্যাথিল্ড মেরি ক্রিস্টিন ঘিসলাইন ডি’উডেকেম ডি’অ্যাকোজ) রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
রানীর বরাতে জাতিসংঘ বলেছে, ‘এজেন্ডা ২০৩০ এর জন্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য নাগরিক, সুশীল সমাজ, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, জনহিতকর সংস্থা এবং বেসরকারি খাতকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। মালিকানা এবং অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।’
এসডিজির প্রবক্তারা হলেন ১৭ জন অনুপ্রেরণাদায়ক, প্রভাবশালী ব্যক্তি যারা এসডিজি সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বাড়ান এবং দ্রুত পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রানী ম্যাথিল্ডে ২০১৩ সালে সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি শিশুদের ওপর গুরুত্বারোপ, নিখোঁজ এবং যৌন শোষিত শিশুদের জন্য একটি ভিত্তি এবং ইউনিসেফ বেলজিয়ামের অনারারি প্রেসিডেন্ট।
তারা প্রথমে সবচেয়ে দুর্বলদের কাছে পৌঁছাতে এবং এসডিজি-এর চারপাশে উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাড়াতে তাদের অনন্য বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে।
এসডিজি-এর প্রবক্তারা হলেন শান্তি, সমৃদ্ধি এবং গ্রহের প্রতি নিবেদিত শক্তিশালী জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব, একটি উন্নত বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গিতে একত্রিত করে করে এবং অন্যদেরও একই কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে।
তিনি ২০০১ সালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের যত্ন নিতে সহায়তার জন্য প্রিন্সেস ম্যাথিল্ডে ফান্ড (বর্তমানে রানী ম্যাথিল্ড ফান্ড) প্রতিষ্ঠা করেন। একজন এসডিজি প্রবক্তা হিসেবে তিনি মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিশেষভাবে মনোযোগী।
আরও পড়ুন: বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার আহ্বান
জার্মানিতে ভয়াবহ বন্যায় নিহত ১৯, নিখোঁজ অসংখ্য
১ বছর আগে
খাদ্য শিল্পের টেকসই উন্নয়নে ডাচ কৃষি প্রযুক্তি চায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশি কৃষি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে নেদারল্যান্ডের কৃষি ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের মাঝে হর্টিকালচার, পশুসম্পত্তি, পোল্ট্রি ও মৎস খাতে সুস্পষ্ট অংশিদারিত্ব তৈরিতে এগ্রি-বিজনেস কনক্লেভ আয়োজন করছে বাংলাদেশ দূতাবাস। আগামী ৩০ মে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই কনক্লেভে বাংলাদেশ থেকে কৃষি ও খাদ্যশিল্পে নিয়োজিত ৪০ জন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী/উদ্যোক্তা যোগ দেবেন। এ পর্যন্ত প্রায় ৩০টি ডাচ প্রতিষ্ঠান এই সভায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কৃষি গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়াগেনিঙ্গেন ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড রির্চাসের সহযোগিতায় এই সভা ওয়ার্ল্ড ক্যাফে ফরমেটে অনুষ্ঠিত হবে। ডাচ উদ্যোক্তারা বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশে সম্ভাব্য ডাচ প্রযুক্তি-সমাধান-উদ্ভাবন ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন বিনিয়োগ চূড়ান্তে আলোচনা করবেন।
আরও পড়ুন: কৃষি পদ্ধতির যান্ত্রিকীকরণে কাজ করছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
সভার দ্বিতীয় দিন (৩১ মে) চারটি উপখাত সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা ওয়াগেনিঙ্গেন, ফ্রিজল্যান্ড, বক্সমির, ওয়ার্ল্ড হর্টি সেন্টার এ ডাচ প্রযুক্তির প্রায়োগিক দিকগুলো দেখতে যাবেন।
কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনে নেদারল্যান্ড শীর্ষে। অন্যদিকে বাংলাদেশ গত পাঁচ দশকে কৃষি উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করলেও অভ্যন্তরীণ ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করে কৃষি প্রবৃদ্ধি অর্জন ও কৃষিখাতকে একটি রপ্তানিমুখী খাতে উন্নীত করতে উন্নত ডাচ কৃষি প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তাই উন্নত ডাচ কৃষি প্রযুক্তি বাংলাদেশে সূচনা করার জন্য দুই দেশের ব্যবসায়িক সংযোগ সুদৃঢ় করতে দূতাবাস নতুন উদ্যোগ হিসেবে এই কনক্লেভ আয়োজন করছে।
আরও পড়ুন: দেশে উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা প্রণীত হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
কনক্লেভটি আয়োজনে প্রথমবারের মত দূতাবাসের সঙ্গে অংশীদার হয়েছে নেদারল্যান্ডসের কৃষি মন্ত্রণালয়, নেদারল্যান্ড এন্টারপ্রাইজ এজেন্সি, নেদারল্যান্ড ফুড পার্টনারশিপ, ডাচ-গ্রিন-হাইজ ডেল্টা, লারিভ ইন্টারন্যাশনাল, স্টান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ এবং লাইট-ক্যাসেল পার্টনার্স।
২ বছর আগে
এমএফএস খাতের টেকসই উন্নয়নে নীতিমালার কার্যকর প্রয়োগ চান বিশেষজ্ঞরা
বিকাশ আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তারা দ্রুত বর্ধনশীল মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) খাতের টেকসই উন্নয়নে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে নীতিমালার আরও কার্যকর প্রয়োগের ওপর আবারও গুরুত্বারোপ করেছেন।
৪ বছর আগে
জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের উন্নয়নে বৈশ্বিক প্রচেষ্টার ওপর রাষ্ট্রপতির গুরুত্বারোপ
জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে বিশ্ব সম্প্রদায়, দাতা ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সম্মিলিত উদ্যোগ নেয়ার ওপর রবিবার গুরুত্বারোপ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
৪ বছর আগে