ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সমন্বিত উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন।
তিনি বলেন, 'ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন, স্যানিটেশন ম্যানেজমেন্ট, ও খালগুলোর টেকসই উন্নয়নে নেদারল্যান্ডস কাজ করতে আগ্রহী। দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।'
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর গুলশানে নগর ভবনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠককালে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
বৈঠকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা, স্যানিটেশন সিস্টেম, রিটেন পন্ড ও খালগুলোর সমন্বিত টেকসই উন্নয়নে সহযোগিতা প্রদানের আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: রমজানে বাজার কঠোর মনিটরিং করবে ডিএনসিসি: মেয়র আতিক
বৈঠকে আলাপকালে রাষ্ট্রদূতকে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'ঢাকা শহরে প্রতিনিয়ত ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ওপেন স্পেস ও জলাধারগুলো প্লটে রুপান্তর করে নির্মাণ হচ্ছে নতুন নতুন ভবন। এই শহরকে বাঁচাতে হলে জলাবদ্ধতা নিরসনে শহরের জলাধারগুলোর সমন্বিত টেকসই উন্নয়নের কোনও বিকল্প নেই। ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সমন্বিত টেকসই উন্নয়নে নেদারল্যান্ডস আমাদেরকে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা করতে পারে। ফলে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
মেয়র বলেন, 'নেদারল্যান্ডসের শহরগুলোতে দেখেছি দৃষ্টিনন্দন খাল। খালগুলোতে নৌযান চলাচল করে। নেদারল্যান্ডসের শহরগুলোর খালের আদলে ঢাকার খালগুলোর উন্নয়ন করতে চাই। জলাবদ্ধতা নিরসনে নেদারল্যান্ডসের কার্যক্রমের মডেল ও অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য সহায়ক হবে।'
এ সময় ডিএনসিসি এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা, স্যানিটেশন সিস্টেম, রিটেন পন্ড ও খালগুলোর সমন্বিত টেকসই উন্নয়নে নেদারল্যান্ডসের কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতার আহ্বান করেন মেয়র আতিক।
বৈঠকে ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুজিবুর রহমান, ঢাকাস্থ নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ফোলকার্ট ডি জ্যাগার ও ইকোনমি অ্যান্ড কমার্শিয়াল বিষয়ক উপদেষ্টা মন্নুজান খানম এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।