পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বন্যপ্রাণী ধরা, শিকার ও পাচার বন্ধ করতে হবে। বাঘ, হাতিসহ সব বন্যপ্রাণীকে রক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, বন ধ্বংস বন্ধ করে বিদ্যমান সব বন রক্ষা করতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় ছোট ছোট উদ্যোগও বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ‘ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াড’- এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নদী-খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের এখনই সময়: পরিবেশ উপদেষ্টা
ভিকারুননিসার প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে তিনি বিভিন্ন স্মৃতিচারণও করেন।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানের একটি প্রাচীন বৃক্ষকে স্মারকবৃক্ষ হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী রক্ষার বার্তা দিচ্ছি। আমরা চাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সবুজ ও সুন্দর বাংলাদেশে বসবাস করুক।
তিনি বলেন, একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। এছাড়া, পলিথিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার না করতে, অযথা হর্ন না বাজাতে এবং দিনের বেলা ফ্যান-লাইট বন্ধ রাখার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম।
অনুষ্ঠানে অলিম্পিয়াডের থিম সংয়ের ভিডিও চিত্র ও গীতিনাট্য প্রদর্শিত হয়। বন্যপ্রাণী হত্যা না করার শপথ গ্রহণ করানো হয়।
জাতীয় পর্বে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে টি-শার্ট, সার্টিফিকেট এবং উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়।
প্রতিটি ক্যাটাগরির সেরা প্রতিযোগীদের জন্য ৫০ হাজার, ৩০ হাজার ও ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়।
এবারের অলিম্পিয়াডে সারা দেশ থেকে অনলাইন ও অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ১ লাখ ৭ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
এরপর কয়েক ধাপে জেলা পর্যায়ে অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয় এবং বিজয়ীদেরকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: অংশীজনের সহযোগিতায় সিসামুক্ত বাংলাদেশ গড়ব: পরিবেশ উপদেষ্টা