সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু আগামী জুনের মধ্যে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। এতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলায় পরিবহন ও যোগাযোগ বাড়াতে ব্যাপক সহায়তা করবে।
সেতুটির মূল কাজ ৯৮ শতাংশ শেষ হয়েছে এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯০ দশমিক ৫ শতাংশ বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার রাজধানীতে সেতু বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় সেতু বিভাগের সচিব মো. মঞ্জুর হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এটি শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে প্রকল্পের কাজ চলছে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের তিনটি ধাপের মধ্যে বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত প্রথম ধাপের ৭৮ দশমিক ৫ শতাংশ এবং বনানী মগবাজার অংশের অগ্রগতি ৩১ শতাংশ।
সিনহা হত্যা মামলার রায় নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এতে প্রমাণিত হয়েছে শেখ হাসিনা সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাসী।
আরও পড়ুন: জুনে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
পদ্মা সেতু
পদ্মা সেতু প্রকল্পটি দেশের বৃহত্তম নির্মাণ প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি। যা ২০০৭ সালে ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়সহ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রথম অনুমোদিত হয়েছিল।
২০১৮ সালের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২৮ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয় সহ ৫ জানুয়ারি, ২০১৬-এ প্রকল্পটির দ্বিতীয় সংশোধন একনেকে অনুমোদিত হয়। প্রকল্প প্রস্তাবনা পরিবর্তন না করেই, ২০১৮ সালের জুন মাসে খরচ আবার বাড়িয়ে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা করা হয়।
রেল সংযোগ
গত বছরের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্প’-এর আওতায় ঢাকা ও যশোরের মধ্যে রেল সংযোগের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্পের প্রথম ধাপে পদ্মা বহুমুখী সেতুর মাধ্যমে মাওয়া ও ভাঙ্গা হয়ে জাঞ্জিরা ও শিবচরের মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপন করা হবে।
এটি ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নড়াইল ও যশোরকে সংযুক্ত করবে।
প্রত্যাশা
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জিডিপি এক শতাংশের বেশি বাড়াবে এবং ২১টি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় তিন কোটি মানুষ উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই জেলাগুলোকে উন্নত কানেক্টিভিটির মাধ্যমে গ্রোথ সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। এগুলোকে অর্থনৈতিক করিডোর হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।