যান
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: এক মাসে ১০ লাখ যান চলাচল, প্রত্যাশার চেয়ে ৫০% বেশি
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচলের সংখ্যা ও টোল আদায় সব প্রত্যাশা ও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। গত ২ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৩০ হাজারেরও বেশি যানবাহন এটি ব্যবহার করছে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আখতার জানান, আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৬২৭টি যানবাহন এই এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করেছে। এ সময়ে টোল আদায় করা হয়েছে ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারকারী গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রাইভেটকার, ট্যাক্সি, স্পোর্টস ইউটিলিটি যানবাহন, মাইক্রোবাস (১৬ আসনের কম) এবং হালকা ট্রাক (৩ টনের কম) যা ক্যাটাগরি-১ এর অন্তর্ভুক্ত। এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে এসব যানবাহনকে ৮০ টাকা টোল দিতে হয়। প্রথম মাসে, এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করা যানবাহনগুলোর মধ্যে ৮ লাখ ৯২ হাজার ২৫০টি এই ক্যাটাগরির ছিল, যা মোট যানবাহনের ৯৯ শতাংশেরও বেশি।
ক্যাটাগরি-২ এর অন্তর্ভুক্ত মাঝারি ধরনের যানবাহনের (৬ চাকা পর্যন্ত) টোল ৩২০ টাকা। এই ক্যাটাগরির ১ হাজার ৪৬৮টি যানবাহন এক্সপ্রেসওয়েটি ব্যবহার করেছে।
ছয়টির বেশি চাকার ট্রাককে ক্যাটাগরি-৩ হিসেবে শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এগুলোর টোল ৪০০ টাকা। প্রথম মাসে এক্সপ্রেসওয়েতে এই ক্যাটাগরির গাড়ি চলেছে মাত্র ৪৯টি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে ৯টি মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন, প্রথমে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
এ ছাড়া ক্যাটাগরি-৪-এ সব ধরনের বাস (১৬ সিট বা তার বেশি) রয়েছে। এই ক্যাটাগরির মোট ৬ হাজার ৮৬০টি গাড়ি ১৬০ টাকা করে টোল দিয়েছে। উদ্বোধনের পর থেকে এই সময়ের মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করা মোট যানবাহনের শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ ছিল এই ক্যাটাগরির যান।
আখতার বলেন, ‘আমরা খুশি কারণ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আমাদের প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বেশি যানবাহন ব্যবহার করছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ সেপ্টেম্বর তার বহরের ২৫টি গাড়ির জন্য ২ হাজার টাকা টোল পরিশোধ করে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। পরের দিন বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যানবাহন চলাচলের জন্য রুট খুলে দেওয়া হয়। এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট যেতে ১০ থেকে ১২ মিনিট সময় লাগে।
আখতার আরও বলেন, ‘যদিও আমরা আশা করেছিলাম যে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০ হাজার যানবাহন এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করবে। এখন সেই সংখ্যা ৩০ হাজারেরও বেশি হয়েছে। এটি প্রত্যাশার চেয়ে ৫০ শতাংশেরও বেশি।’
এক প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালক বলেন, বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত নগরীর বাসিন্দারা রাস্তায় যানবাহন চালিয়ে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। ‘এক্সপ্রেসওয়ে সম্পূর্ণরূপে চালু হলে এবং জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হলে আমরা উল্লেখযোগ্য সুবিধা পাব।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে দুই বাসের সংঘর্ষ, আহত ৬
প্রকল্প পরিচালক আরও জানান, পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি রাজধানীর কাওলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে চলবে।
তবে যাত্রী সংকটের ভয়ে সরকারি-বেসরকারি পরিবহনগুলো এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করছে না। এমনকি মহাখালীর আন্তঃজেলা বাসগুলোও এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে না। কারণ, বাস স্টেশনগুলোর কাছাকাছি র্যাম্পগুলো এখনও চালু হয়নি। ফলে নগরীর অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ কমছে না।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, মহাখালী র্যাম্পের পাশাপাশি এক্সপ্রেসওয়ের অন্যান্য র্যাম্পের নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ হবে।
তিনি আরও বলেন, একবার সেগুলো সম্পন্ন হলে, এক্সপ্রেসওয়েতে বর্তমানের চেয়ে যান চলাচল আরও বাড়বে, এক্সপ্রেসওয়ের নিচে রাস্তায় পরিবহনের চাপ কমবে।
বুয়েটের যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল হক বলেন, এক্সপ্রেসওয়ে আংশিকভাবে চালু হওয়ার পরও রাস্তায় যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের সমস্যা দৃশ্যমানভাবে কমেনি। তিনি বলেন, কমার কোনো সুযোগও নেই।
আরও পড়ুন: এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: প্রথম তিন সপ্তাহে ৫ কোটি টাকার বেশি টোল আদায়
এক্সপ্রেসওয়ের ল্যান্ডিং পয়েন্টগুলোর নিকটবর্তী রাস্তাগুলো ব্যস্ততম সময়ে তীব্র যানজটের কবলে পড়ে। তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের জন্য গণপরিবহনের বিকল্পগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি না করা পর্যন্ত সামগ্রিক পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পুরোপুরি চালু হলে প্রকল্পের প্রকৃত প্রভাব অর্থাৎ ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব নির্ধারণ করা যেতে পারে।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) আবু সালেহ মো. রায়হান ইউএনবিকে বলেন, বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত যানবাহন চলাচল কিছুটা হলেও সহজ হয়েছে কারণ বেশিরভাগ ব্যক্তিগত গাড়ি এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করছে।
যুগ্ম কমিশনার আরও বলেন, যদিও ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড এবং তেজগাঁও শিল্প এলাকার লাভ রোডের মতো র্যাম্পের কিছু এক্সিট পয়েন্টে প্রতিবন্ধকতা বিদ্যমান। তবে সংশ্লিষ্ট রাস্তায় কিছু প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার পরে সেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
আরও পড়ুন: জধানীতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গার্ডারের আঘাতে শ্রমিকের মৃত্যু
১ বছর আগে
খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসে মহালছড়ি-গুইমারা সড়কে যান চলাচল বন্ধ
খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার পঙ্খীমুড়া এলাকায় ভূমিধসে রবিবার (২৭ আগস্ট) সকাল থেকে মহালছড়ি-সিন্দুকছড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
গুইমারা উপজেলা চেয়ারম্যান মেমং মারমা জানান, সকালে ভারি বর্ষণে ওই এলাকায় ভূমিধসে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ভূমিধসের কারণে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, থ্রি-হুইলার ও ছোট ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল সড়ক থেকে মাটি সরাতে কাজ করছে, তবে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ভূমিধসে মা-মেয়েসহ নিহত ৩
চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে বাবা ও মেয়ের মৃত্যু, আহত ২
১ বছর আগে
শিমুলিয়ার পরিবর্তে পাটুরিয়া দিয়ে যান চলাচলের অনুরোধ নৌপ্রতিমন্ত্রীর
যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থেকে রক্ষা পেতে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ার পরিবর্তে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া রুট ব্যবহার করে পদ্মা নদী পার হওয়ার অনুরোধ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া (মাওয়া) লঞ্চ ও ফেরিঘাট পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যানবাহন পারাপারের জন্য মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ায় ১০টি এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ২১টি ও আরিচায় চারটি ফেরি রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সকালে শিমুলিয়ায় অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে। চাপের কারণে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে, তবে ঘাটে শৃঙ্খলা আছে।’
খালিদ মাহমুদ আরও বলেন, ‘পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী শিমুলিয়ায় ফেরিতে বড় ধরনের যানবাহন পার করা হচ্ছে না। ছোট গাড়ি পার করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া লঞ্চের টিকিট পাওয়া যাবে না: নৌপ্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিমুলিয়ায় যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থেকে রক্ষা পেতে পাটুরিয়া রুট ব্যবহার করতে পুনরায় অনুরোধ করছি।’
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘ঘাটে মানুষের অতিরিক্ত চাপ থাকলেও শৃঙ্খলা ধরে রাখতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে শিমুলিয়ায় ১০টি ভালোমানের ফেরি রাখা হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেবেন। তখন শিমুলিয়াঘাটে সমস্যা থাকবে না। ঘাটে গাড়ির জন্য ফেরি অপেক্ষা করবে।’
তিনি বলেন, ‘লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার সুযোগ নেই। ঘাটে ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে, তারা বিষয়টি দেখছেন।’
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান শামীম আল রাজী এবং বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা মানুষের সেবায় সচেষ্ট রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: লঞ্চে ধূমপান না করতে সতর্কীকরণ পদক্ষেপ নেয়া হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
দক্ষিণাঞ্চলে আরেক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
জুনে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আবারও বলেছেন, চলতি বছরের জুনে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হবে।
তিনি বলেন, চলতি বছরের জুনে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হবে। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শতভাগ সততার সঙ্গে বাস্তবায়িত হয়েছে।
এতিম,শারীরিক প্রতিবন্ধী ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ এবং ক্যান্সার রোগীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
শনিবার রাজধানীর গুলিস্তান ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ক্ষমতাসীন দলের সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি।
তিনি আরও বলেন, বিদেশি ঋণ ছাড়াই পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশ কখনোই ঋণ খেলাপি হয়নি, অথচ বিগত সরকারের আমলে দেশ একাধিকবার খেলাপি ঋণের পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো বাংলাদেশেও নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনা সমুন্নত রাখুন: ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে এবং সরকার শুধু নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে।
আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি যোগ দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন কাদের।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চম্পা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানমসহ অন্যান্য বক্তারা।
পরে নেতারা এতিম, প্রতিবন্ধী ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন এবং ক্যান্সার রোগীদের স্বজনদের আর্থিক সহায়তা দেন।
আরও পড়ুন: দেশ নয়, বিএনপিই খারাপ সময় পার করছে: ওবায়দুল কাদের
ক্ষমতায় থাকতে কাউকে খুশি করার দরকার নেই: কাদের
২ বছর আগে
জুনের মধ্যে যান চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু উন্মুক্ত হবে: সেতুমন্ত্রী
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু আগামী জুনের মধ্যে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। এতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলায় পরিবহন ও যোগাযোগ বাড়াতে ব্যাপক সহায়তা করবে।
সেতুটির মূল কাজ ৯৮ শতাংশ শেষ হয়েছে এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯০ দশমিক ৫ শতাংশ বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার রাজধানীতে সেতু বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় সেতু বিভাগের সচিব মো. মঞ্জুর হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এটি শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে প্রকল্পের কাজ চলছে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের তিনটি ধাপের মধ্যে বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত প্রথম ধাপের ৭৮ দশমিক ৫ শতাংশ এবং বনানী মগবাজার অংশের অগ্রগতি ৩১ শতাংশ।
সিনহা হত্যা মামলার রায় নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এতে প্রমাণিত হয়েছে শেখ হাসিনা সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাসী।
আরও পড়ুন: জুনে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
পদ্মা সেতু
পদ্মা সেতু প্রকল্পটি দেশের বৃহত্তম নির্মাণ প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি। যা ২০০৭ সালে ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়সহ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রথম অনুমোদিত হয়েছিল।
২০১৮ সালের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২৮ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয় সহ ৫ জানুয়ারি, ২০১৬-এ প্রকল্পটির দ্বিতীয় সংশোধন একনেকে অনুমোদিত হয়। প্রকল্প প্রস্তাবনা পরিবর্তন না করেই, ২০১৮ সালের জুন মাসে খরচ আবার বাড়িয়ে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা করা হয়।
রেল সংযোগ
গত বছরের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্প’-এর আওতায় ঢাকা ও যশোরের মধ্যে রেল সংযোগের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্পের প্রথম ধাপে পদ্মা বহুমুখী সেতুর মাধ্যমে মাওয়া ও ভাঙ্গা হয়ে জাঞ্জিরা ও শিবচরের মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপন করা হবে।
এটি ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নড়াইল ও যশোরকে সংযুক্ত করবে।
প্রত্যাশা
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জিডিপি এক শতাংশের বেশি বাড়াবে এবং ২১টি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় তিন কোটি মানুষ উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই জেলাগুলোকে উন্নত কানেক্টিভিটির মাধ্যমে গ্রোথ সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। এগুলোকে অর্থনৈতিক করিডোর হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: স্বপ্নের পদ্মা সেতু পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী
পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে জুনে: ওবায়দুল কাদের
২ বছর আগে
পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন করলে কঠোর ব্যবস্থা
চলমান সাধারণ ছুটিতে যেসব পণ্যবাহী যানবাহন যাত্রী পরিবহন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৪ বছর আগে
সড়কে চলা যান জীবাণুমুক্ত রাখতে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি মহানগর ও জেলা-উপজেলা নিরাপদ রাখতে সড়ক ও মহাসড়কগুলোর প্রবেশপথে ও যানবাহনে জীবাণুনাশক ছিটানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
৪ বছর আগে