ডিজিটাল চেকের মাধ্যমে ব্যাংক জালিয়াতির ক্ষেত্রে ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের শাস্তির বিধান রেখে ‘পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম বিল, ২০২২’ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি উত্থাপন করেন এবং তা সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, ব্যাংক জালিয়াতির জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
ব্যাংক বা কোম্পানি কর্তৃক সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে কোম্পানির মালিক, পরিচালক, প্রধান নির্বাহী, ব্যবস্থাপক, সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তাকে অপসারণের বিধান খসড়া আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমকর্মী বিল সংসদে উত্থাপন
প্রস্তাবিত আইনে বিভিন্ন অপরাধের শাস্তির কথা বলা হলেও মোবাইল ব্যাংকিং সেবার ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়।
বিলে ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফারের বিধানসহ ৪৭টি ধারা রয়েছে। তবে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল কারেন্সি এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
ক্রিপ্টোকারেন্সি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে অনুমোদিত নয়।
ধারা ৪/৫ এ কীভাবে লেনদেন পরিচালিত হবে, অর্থ প্রদান ও পরিচালনা করা হবে এবং কীভাবে পরিষেবা দেয়া হবে তা সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
খসড়াটিতে বোর্ড ব্যবস্থাপনা, বোর্ডের সদস্য হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম বিনিয়োগ, মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা, পরিদর্শনের ব্যবস্থাপনা এবং পরিষেবার নিয়মগুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বিধানের মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক উপায়ে তহবিল স্থানান্তর এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ডিজিটাল তহবিল ইস্যু করা।
আরও পড়ুন: সংসদের ১৭তম অধিবেশনের ৫ সদস্যের প্যানেল অব চেয়ার ঘোষণা