বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) নিয়ে ওয়াশিংটনের উদ্বেগের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ডিএসএ নিয়ে উদ্বেগ স্পষ্ট করেছে যুক্তরাষ্ট্র।’
মঙ্গলবার রাজধানীর ইএমকে সেন্টারে বিশ্ব গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
তিনি রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের (আরএসএফ) সাম্প্রতিক বিশ্ব গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকের উল্লেখ করেন যেখানে আগের বছরের তুলনায় ১০ ধাপ অবনতি হয়ে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২তম।
আরও পড়ুন: ঢাকা-জাকার্তা সম্পর্ক নিয়ে কসমস ডায়ালগের প্রিমিয়ার বুধবার
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের এত কম স্কোর করার একটি কারণ হল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যেটিকে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ‘সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর আইনের একটি।’
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, “আমরা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের খসড়া ‘ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া ও ওভার-দ্য-টপ প্ল্যাটফর্মের জন্য রেগুলেশন’ এবং খসড়া ‘ডেটা সুরক্ষা আইন’ নিয়েও উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, ‘যদিও কোনো খসড়াই চূড়ান্ত হয়নি। আমরা আশঙ্কা করি এতে এমন বিধান রয়েছে যা সাংবাদিক ও নিজেকে প্রকাশ করতে আগ্রহীদের ভয় দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘স্বাধীন সংবাদপত্রকে রক্ষা করা এবং সাংবাদিকদের ভয়, হয়রানি বা সেন্সরশিপ ছাড়াই সত্য অনুসন্ধান ও প্রতিবেদন করার অনুমতি দেয়া আমাদের সকলের কর্তব্য। মুক্ত গণমাধ্যম বৈধ ও মুক্ত গণতন্ত্রের মূল উপাদান।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনের- বা সেই বিষয়ে যে কোনো জায়গায়- বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি এই যে দেশের জনগণের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পরিচালিত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব সরকার বেছে নেয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে জাতিসংঘের পদক্ষেপ চায় ঢাকা
ইউএস জেফারসন মিডিয়া ফেলো ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল মূল বক্তব্য দেন।
দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস ও ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেলও আলোচনায় বক্তব্য দেন।