পিটার হাস
দুর্নীতির প্রকোপ কমলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ আরও বাড়বে: পিটার হাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, তার দেশ দুর্নীতি নির্মূলে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর ফলে বাংলাদেশিরা মর্যাদাকর জীবন উপভোগ করতে এবং আরও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি নাগরিক ও বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতে পারে যে অন্য বাজারের তুলনায় এখানে দুর্নীতি কম, তাহলে এটি আরও বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে এবং দেশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’
মঙ্গলবার সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) এবং সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট এন্টারপ্রাইজের আয়োজনে ঢাকার একটি হোটেলে ‘কল টু অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট করাপশন সামিট;- শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত হাস এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, পৃথিবীর প্রতিটি কোণেই কম-বেশি দুর্নীতি রয়েছে এবং সব দেশের মানুষই জানে এটা কেমন।
হাস বলেন, ‘একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে 'ঘুষ' দিতে হচ্ছে, আপনি যদি পাসপোর্ট অ্যাপয়েন্টমেন্ট চান তবে আপনার অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হবে এমনকি আপনার কেনা জমি রেজিস্ট্রি করার জন্যও কর্মকর্তাকে ঘুষ দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড উল্লেখযোগ্য কমেছে: পিটার হাস
তিনি বলেন, দুর্নীতি একটি পরজীবী, যা একটি সমাজের সম্পদ খায় ও এর শক্তিকে শুষে নেয় এবং এটি ব্যবসা ও সরকারের প্রতিটি স্তরকে ধ্বংস করতে পারে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে, আমার নিজের দেশেও কিছু কুখ্যাত কেলেঙ্কারি ঘটেছে।’
তিনি বলেন, এসব দুর্নীতির বহিঃপ্রকাশ ও অপরাধীদের জবাবদিহিতা করার জন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যন্য দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সমাজ যখন এই ধরনের চেষ্টা চালায়, তখন তারা উন্নতি লাভ করে। আমি নিশ্চিত যে এটি বাংলাদেশেও হতে পারে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করতে আগ্রহী।’
হাস বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অধীনে মার্কিন সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে মূল জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন উদ্যোগগুলোকে সমর্থন করি যা বাংলাদেশি ব্যবসাগুলোকে আন্তর্জাতিক মান ও নিয়ম মেনে চলতে সাহায্য করে এবং যা তাদেরকে বিশ্ব বাজারে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তোলে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘নৈতিক ব্যবসা চর্চা প্রচারের মাধ্যমে আমরা সব আকারের ব্যবসার জন্য আরও বেশি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারি এবং আরও বিদেশি বিনিয়োগকে উত্সাহিত করতে পারি।’
ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) নতুন ব্যবসার জন্য একটি অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু করতে বাংলাদেশের রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, এটি নতুন ব্যবসা নিবন্ধনকে আরও স্বচ্ছ, দ্রুত এবং আরও সাশ্রয়ী করে তুলবে।
ইউএসএআইডি অনুমোদিত অর্থনৈতিক অপারেটর প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গেও কাজ করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নে ‘বিশ্বস্ত অংশীদার’ থাকবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
হাস বলেছেন, প্রক্রিয়াটি আরও স্বচ্ছ হয়েছে এবং বেসরকারি খাত ও সরকারের মধ্যে আস্থার পরিমাণ বাড়িয়েছে।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের কমার্শিয়াল ল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (সিএলডিপি) বাংলাদেশের আইনি ও ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতির জন্য কর্মশালা পরিচালনার জন্য প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপ (পিপিপি) অথরিটি বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে।
সিএলডিপি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সঙ্গেও কাজ করে, যাতে আর্থিক স্বচ্ছতা উন্নত করে পৌর শাসনের উন্নতি হয়।
এই কর্মসূচির অধীনে, সিএলডিপি জানুয়ারিতে মিয়ামিতে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়রসহ একটি প্রতিনিধিদলকে আমন্ত্রণ জানায়।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তকারী ও অ্যাটর্নিদের প্রশিক্ষণ দেয়- কীভাবে অর্থ পাচারের তদন্ত এবং বিচার করতে হয়, কীভাবে ইলেকট্রনিক প্রমাণ ব্যবহার করতে হয় এবং কীভাবে আর্থিক অপরাধের তদন্ত করতে হয়।
হাস বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এবং আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন সমন্বয় কেন্দ্রের মধ্যেও একটি সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের তাদের কাজের জন্য জবাবদিহি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি বিভিন্নভাবে হতে পারে।’
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক ও উন্নত দেশে পরিণত হতে প্রয়োজনীয় সবকিছু আছে বাংলাদেশের: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রদূত বলেন, মার্কিন আইনে যেমন আমেরিকান নাগরিক ও ব্যবসাগুলোকে দুর্নীতির জন্য দায়বদ্ধ থাকে, তেমনি আইন লঙ্ঘন করে দুর্নীতি চর্চাকারী অ-নাগরিকদের জন্যও আইন ও শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার দুর্নীতি কমাতে কী করতে পারে-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুর্নীতি মোকাবিলা করতে এবং শাসন ও ব্যবসায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বৃদ্ধির জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষমতায়ন সম্পর্কে ভাবা যেতে পারে।’
হাস বলেন, একটি উপায় হলো নগদ আর্থিক লেনদেনগুলো অনলাইনে সম্পন্নের ব্যবস্থা করা।
তিনি বলেন, ‘নাগরিকরা ইলেকট্রনিকভাবে বিল, জরিমানা ও কর পরিশোধ করতে পারে।
তিনি বলেন, এই ধরনের প্রক্রিয়ায় জনসাধারণের টাকায় আমলাদের পকেট ভরার সুযোগ কমে যাবে।
হাস দুর্নীতির ঘটনা তদন্ত ও উন্মোচনে একটি সক্রিয় নাগরিক সমাজ এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অনেক সুবিধা রয়েছে, যা সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয় মনে হবে। ‘কিন্তু আমেরিকান ব্যবসায়ী নেতারা আমাকে বলছেন: বহু-জাতীয় সংস্থাগুলোর কাছে বিনিয়োগের অনেক বিকল্প রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, যে দেশে দুর্নীতির মাত্রা সবচেয়ে কম, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কম, আইনের শাসনের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা এবং তাদের ব্যবসার জন্য সর্বোত্তম লজিস্টিক অবকাঠামো আছে, স্বভাবতই এমন কোনও দেশকেই তারা বেছে নিতে চাইবে।
সব কূটনীতিকদের সম্পূর্ণ সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তাদের পূর্ণ নিরাপত্তা দেয়া হবে।
সোমবার তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সরকার সব কূটনীতিকের পূর্ণ সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেবে।’
তিনি বলেন, ‘আপনি কি কখনও শুনেছেন যে বাংলাদেশে কোন কূটনীতিককে হত্যা করা হয়েছে? ভয় পান কেন?’
মোমেন বলেন, বিএনপি-জামায়াতের আমলে বোমা বিস্ফোরণে বাংলাদেশে নিযুক্ত তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী আহত হন।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ছোট্ট একটি ঘটনার কারণে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি হওয়ার কোনো সুযোগ তিনি দেখছেন না। ‘এটি একটি বহুমুখী সম্পর্ক।’
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানের সঙ্গে একটি পূর্বনির্ধারিত বৈঠক ছিল, যা মূলত ফোনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পরে সশরীরে বৈঠক হয়।
মন্ত্রী বলেন, মার্কিন পক্ষ বলেছে যে তারা ১৪ ডিসেম্বরের ঘটনাটি বাংলাদেশ সরকারের ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ে’ এবং সেইসঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে উত্থাপন করেছে।
আরও পড়ুন: আন্তরিকতার অভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মোমেন বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত (পিটার হাস) তার নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটা আতঙ্কিত। আমাদের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
এর আগে, রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন যে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঢাকার শাহীনবাগ এলাকায় গেলে (সেখানে) নিরাপত্তার কোনো অভাব ছিল না।
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন সেটিকে ‘নিরাপত্তা হুমকি’ হিসেবে দেখা যাবে না।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এটিকে নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। এ ঘটনা ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।’
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বলেছে যে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমস্ত অভিযোগকে ‘গুরুতরভাবে’ নেয় এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে।
১৪ ডিসেম্বর ‘মায়ের ডাক’-নামক সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত হাসের বৈঠককে ঘিরে বিভিন্ন নিবন্ধ এবং বিবৃতির আলোকে রবিবার মার্কিন দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, গত কয়েক বছর ধরে ‘মায়ের কান্না’-নামের সংগঠনটি মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি।
একটি ইমেলে গণমাধ্যমকে দেয়া বার্তায় মুখপাত্র আরও বলেন, মানবাধিকার মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির ‘মূল বিষয়’।
মুখপাত্র আরও বলেন, ‘নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে’ ১৪ ডিসেম্বর ‘মায়ের ডাক’ নামক সংগঠনের সঙ্গে তার ‘পূর্বনির্ধারিত’ বৈঠক করছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।‘বিক্ষোভকারীরা সে বৈঠকটি বাধাগ্রস্ত করে। তারা (বিক্ষোভকারীরা) রাষ্ট্রদূত যেখানে ছিলেন সেখানে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। অন্য বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রদূতের গাড়ি ঘেরাও করেছিল।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার: মার্কিন উপ-সহকারী সচিব
শাহীনবাগের ঘটনাকে নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখার সুযোগ নেই: পররাষ্ট্র সচিব
বাংলাদেশে কূটনৈতিক মহলের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ: শাহীনবাগের ঘটনায় খসরু
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বুধবারের ঘটনা মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জড়িয়ে গুমের শিকারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাংলাদেশে কূটনৈতিক মহলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খসরু সরকার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে বিদেশি কূটনীতিকদের ‘দেশের জনগণের মতো’ ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এটি গভীর উদ্বেগের বিষয়। একজন কূটনীতিক একটি বিশেষ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন এবং পরে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থিত একটি গ্রুপ তাদের (আ.লীগের) সহায়তায় অন্য সংগঠনের নামে সেখানে যায়। এটা বেআইনি।’
তিনি বলেন, প্রত্যেকের নিজস্ব কর্মসূচি পালনের স্বাধীনতা রয়েছে। ‘কিন্তু অন্য কর্মসূচিতে যাওয়ার প্রক্রিয়া, সেই কর্মসূচিকে ব্যাহত করা এবং কর্মসূচিকে ভিন্ন দিকে মোড় নেয়া একটি অগণতান্ত্রিক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এটাও এখন দেখা যাচ্ছে যে কূটনীতিকদেরও নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বুধবার নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন ও গুমের পরিবারের একটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ মায়ের ডাক (মায়ের কল) এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলামের শাহীনবাগের বাসায় যান।
তবে সেখানে তিনি অন্য একটি সংগঠনের সদস্যদের দ্বারা আটকা পড়েন এবং মুখোমুখি হন - মায়ের কান্না (মায়ের অশ্রু) - যেটি আরও সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করেছে। আশির দশক পূর্ববর্তী শাসনামল, বিশেষ করে সত্তর দশকের শেষ থেকে শুরুর দিকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাসনামলে গুমের শিকারদের পক্ষে সমর্থন করে।
সাজেদুল ইসলাম সুমন ২০১৩ সালে নিখোঁজ হন বলে জানা গেছে। সানজিদা প্লাজা ডি মায়ো নামে একটি সংগঠনের অনুকরণে মায়ের ডাক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যেটি আর্জেন্টিনার সর্বশেষ সামরিক স্বৈরশাসনের সময় বলপূর্বক নিখোঁজদের জন্য গঠিত হয়েছিল। অনুরূপ সংস্থাগুলো দক্ষিণ আমেরিকার আশেপাশের অন্যান্য দেশে বিদ্যমান যেখানে সত্তর দশক থেকে শুরু হওয়া সামরিক সরকারের অধীনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নিখোঁজ হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খসরু বলেন, সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের মদদে অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে এটাই প্রথম নয়। ‘আমি মনে করি এই ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’
আরও পড়ুন:শুক্রবার রাজধানীতে ‘বিজয় দিবসের’ র্যালি করবে বিএনপি
তিনি উল্লেখ করেন যে একটি ডিনার পার্টিতে যোগ দিতে গিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাটের গাড়িতে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের হামলার শিকার হয়েছিলেন।
খসরু বলেন, ‘বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার পর কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং কেউ শাস্তিও পায়নি। এই ঘটনার পেছনে কারা ছিল এবং সরকারের উদ্দেশ্য তা স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে।’
তিনি বলেন, সরকার চায় এ ধরনের ঘটনা যাতে দেশে একটা ভয়-আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
বিএনপি নেতা বলেন,‘তারা (সরকার) যেভাবে ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের জনগণকে দমন করতে চায়, এখন একইভাবে তারা কূটনীতিকদের জন্য ভিন্ন ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ক্ষমতায় আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছে। সর্বশেষ ঘটনা তা প্রমাণ করেছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, বুধবার মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কর্মসূচিতে যে দলগুলো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল, তারা কয়েক মাস আগেও বিএনপির মানবাধিকার কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের মদদে বিভিন্ন কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার এ ধরনের অপচেষ্টা আওয়ামী লীগের চরিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা তাদের কর্মসূচি পালন করতে পারে, কিন্তু সরকারের সমর্থনে অন্যের কর্মসূচিতে ঝামেলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা বেআইনি।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা বলেন, এ দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো এবং তাদের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে এবং তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে খসরু বলেন, এটি সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি 'মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন' করবে।
আরও পড়ুন: সরকারকে হটিয়ে বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে: বিএনপি
মার্কিন কূটনীতিক সরকারকে কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত করেননি বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য সম্পর্কে খসরু বলেন, ‘এর মানে কি সরকারকে না জানিয়ে কোনো কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারবে না কূটনীতিকরা? সরকার ঘটনা সম্পর্কে অবগত না থাকলে কর্মসূচির দুই দিন আগে কেন পুলিশ এলাকায় (শাহীনবাগ) ঘোরাফেরা করছিল? রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে পুলিশের একটি দলও রয়েছে। তাই সরকার এ বিষয়ে অবগত ছিল।
তিনি বলেন, এটি একটি অজুহাত হতে পারে না যে সরকার মার্কিন কূটনীতিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি কারণ তিনি তার কর্মসূচি সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করেননি। ‘সরকারকে জানালে নিরাপত্তা পাবেন, না হলে নিজের নিরাপত্তা নিজে গ্রহণ করবে। সরকারের এ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেশের নিরাপত্তার চরিত্র ফুটে উঠেছে।
এ ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের জনগণের পাশাপাশি বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দেন খসরু।তিনি বলেন, মায়ের কান্নার লোকজন বিএনপির কিছু কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার জন্য আগে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
বিএনপি নেতা আরও বলেছেন, ‘যারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কর্মসূচিতে ঝামেলা সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা নেয়ার কথা। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত এমন কোনো পদক্ষেপ দেখিনি... সরকার নিজেই তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রকাশ করছে যে তারা এর পেছনে রয়েছে।’
তিনি বলেন, মন্ত্রীদের বক্তব্যে এটা স্পষ্ট যে, সরকারের মদদেই এমন ঘটনা ঘটেছে। ‘তারা পরোক্ষভাবে ঘটনাটিকে সমর্থন করছে কারণ এটি তাদের সাহায্য ছাড়া ঘটতে পারে না।’
খসরু বলেন, মার্কিন কূটনীতিকের কর্মসূচিতে যারা ঝামেলা সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
আরও পড়ুন: কারাগারে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে: বিএনপি
জিয়ার আমলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের পরিবার বিচার নিশ্চিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের হস্তক্ষেপ চান
জেনারেল জিয়াউর রহমানের শাসনামলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বিচারের অপেক্ষায় আছেন। তারা অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার জেনারেল জিয়াউর রহমানের শাসনামলে জোরপূর্বক গুমের শিকার পরিবারের সদস্যদের সংগঠন 'মায়ের কান্না' এর ব্যানারে সদস্যরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে স্মারকলিপি দেন।
বুধবার সকালে ঢাকার শাহীনবাগে গুমের শিকার পরিবারের সদস্যদের সংগঠন 'মায়ের ডাক'-এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলামের বাসায় গেলে তারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতি এ আহ্বান জানান।
সানজিদা বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন, যিনি ২০১৩ সালে বলপূর্বক গুমের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
কামরুজ্জামান লেনিনের স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে 'মায়ের কান্না' সংগনের সংগঠকরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের হস্তক্ষেপ কামনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বুদ্ধিজীবী দিবসে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বিতর্কিত করা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
কামরুজ্জামান লেনিনের বাবা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট সাইদুর রহমান, যিনি পরে বিমান বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন এবং জেনারেল জিয়ার শাসনামলে ‘অন্যায্যভাবে’ তাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে আবেদনে, ‘মায়ের কান্না’ আয়োজকরা লিখেছেন: ‘আমরা সুষ্ঠু বিচারের জন্য আপনার কাছে এসেছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, খুনি জিয়ার এই অমানবিক কাজের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র শক্ত অবস্থান নেবে এবং বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে যেতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’
তারা আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি যে মার্কিন সরকার এই বিষয়গুলো অত্যন্ত মানবিকভাবে বিবেচনা করবে, একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠন করে এবং আইনের শাসন ও মানবাধিকার জোরদার করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।’
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্বাধীন গবেষকদের মতে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়া ক্ষমতা গ্রহণের পর তার আদেশে ১০০০ সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। যাদের মধ্যে অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
তারা জানান, জেনারেল জিয়ার শাসনামলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তাদের প্রিয়জনের দেহাবশেষ সম্পর্কে অনেকেই এখনও অবগত নন।
১৯৭৭ সালে ‘জাপানি রেড আর্মি কর্তৃক ঢাকায় একটি জাপানি বিমান ছিনতাই ও অবতরণ’- এর ঘটনার কথা উল্লেখ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে ন্যায়বিচারের জন্য চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘জেনারেল জিয়ার অনুগত বাহিনী’ ঢাকায় একটি অভ্যুত্থানের নামে সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর শত শত অফিসারকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, জিয়া অন্যায়ভাবে প্রায় এক হাজার ১৫৬ জন সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বা ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
‘মায়ের কান্না’-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্কিন রাষ্ট্রদূত রাজধানীর শাহীনবাগ এলাকার একটি বাড়িতে গিয়েছিলেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকায় বসবাসকারী ভুক্তভোগী পরিবারগুলো উপস্থিত হয়ে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন রাষ্ট্রদূত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে স্মৃতিসৌধে যাননি, অন্য কোথাও গেছেন: কাদের
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘মায়ের ডাক’ -এর সমন্বয়কের বাসা থেকে ফেরার পর নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
বুধবার তিনি জরুরি ভিত্তিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একথা বলেছেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস জরুরি ভিত্তিতে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেন, তিনি এক বাসায় গিয়েছিলেন সেখানে অনেক লোক ছিল, বাসার বাইরেও অনেক লোক ছিল। তারা ওনাকে কিছু একটা বলতে চাচ্ছে। এসময় তার সিকিউরিটির লোকেরা ওনাকে বলেছে আপনি তাড়াতাড়ি এখান থেকে চলে যান। কারণ ওরা আপনার গাড়ি ব্লক করে দেবে। সেই নিরাপত্তা অনিশ্চয়তায় তিনি তাড়াতাড়ি চলে আসেন। এতে তিনি খুবই অসন্তুষ্ট হয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই অবস্থা জেনে তাকে বলেছেন, আপনার নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব আমাদের।
পিটার হাস ও তার লোকদের ওপর কেউ আক্রমণ করেছে কি না পররাষ্ট্রমন্ত্রী তা জানতে চাইলে জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেছেন, না হামলা হয়নি। তবে গাড়িতে হয়তো দাগ লেগেছে। তাও সেটি নিশ্চিত নয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে আবারও আশ্বস্থ করে বলেন, আমরা আপনাকে ও আপনার লোকদের নিরাপত্তা দেবো। আপনি অধিকতর নিরাপত্তা চাইলে আমরা দিবো। তবে আপনি ওখানে গেছেন এই খবরটা কে প্রচার করলেন? আমি তো জানি না। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাননি। আমরা কিছুই জানি না। আপনি যাবেন আপনি এই তথ্য উল্লেখ করলো কে? ওইটার উত্তর তিনি দিতে পারেননি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে আরও বলেছেন যে আপনি ওখানে গেছেন এটা কেমন করে প্রচার হলো। আপনি এটা বের করেন। আপনার লোকেই তো প্রকাশ করতে পারে। তিনি একটু দুশ্চিন্তায় আছেন বলেও জানান মন্ত্রী।
মোমেন বলেন, আমাদের দেশের মিডিয়াকে আটকাতে পারবেন না, তারা খুব সোচ্চার। আপনারা যদিও বলেন বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতা নেই। আমাদের মিডিয়া খুব সোচ্চার। যখনি যা হয় তারা এইটার পিছনে লেগে থাকে।
নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে মন্ত্রী বলেন, আপনি যদি চান আমি তাদের ১০ ফুট বা ১৫ ফুট দূরে রাখতে পারি। কিন্তু আমি তাদের কোথাও বাধা দিতে পারবো না। আর ওখানে লোকজন গেছে সে লোকজনকেও বাধা দিতে পারবো না। আপনার নিরাপত্তার জন্য আমরা তাদের দূরে রাখবো। আপনি জানেন এটি বাকস্বাধীনতার দেশ। তারা তাদের বক্তব্য দিবে, কর্মসূচি করবে আমি তাদের গ্রেপ্তার করতে পারবো না। আর যদি আপনি বা আপনার লোকের ওপর কোনো আক্রমণ হয়ে থাকে, জনগণের জানমাল ধ্বংস করে থাকে আমি তাকে গ্রেপ্তার করতে পারবো। এছাড়া আমি তাদের কিছু করতে পারবো না। তবে আপনার নিরাপত্তা আমরা দিবো।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিডিয়াতে অনেক বানানো বানোয়াট তথ্য বিভিন্ন মিডিয়াতে আসে, ইউটিউবে আসে, আর বিদেশিরাও ওইসব দেখে ওখান থেকে রিপোর্ট করে ফেলে।
আরও পড়ুন: আত্মস্বীকৃত খুনিদের যেন কোন দেশ আশ্রয় না দেয় সে জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব তোলা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এটি লজ্জার বিষয় যে জাতিসংঘের মতো একটা সংস্থা, যাদেরকে আমরা অত্যন্ত বিশ্বাস করি, তারাও আমাদের একটা খবর দিলো যে বাংলাদেশ থেকে ৭৬ জন লোক নিখোঁজ হয়ে গেছে। ওই ৭৬ জনের নামের তালিকা দেখে ১০জনকে পাওয়া যায়। তারা বেশ শান্তিতে আছে। আর ইন্ডিয়ানরা বললো তাদের দেশের দুই নাগরিক আমাদের লিস্টে ঢুকতে দেখেছে। ওরা খারাপ কাজ করেছিল তারা এখন দেশে আছে।
‘যারা অপকর্ম করে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাতিসংঘের মতো একটি সম্ভ্রান্ত সংস্থা আমাদের প্রশ্ন করে, তখন আমার দুঃখ লাগে এই জন্য যে জাতিসংঘকে পয়সা আমরা দেই, তারা যাচাই বাছাই না করেই কেমন করে এরকম অভিযোগ করে। যারা এ ধরনের কাজটা করেছে ওদের চাকরি চলে যাওয়া উচিৎ। কারণ অনেকে অনেক কিছু বলবে। তাদের দায়দায়িত্ব তারা তথ্যটা যাচাই বাছাই করে আমাদের কাছে পেশ করবে। আমাদের যদি কোনো অসুবিধা থাকে, আমরা তা গ্রহণ করবো। সংশোধনমূলক কিছু বললে আমরা সেটা চেষ্টা করবো।
গুমের বিষয়ে তিনি বলেন, দুনিয়ার সব দেশে কিছু লোক গুম হয়, কিছু লোক হারিয়ে যায়, তার চেয়ে বাংলাদেশ ভালো, আমেরিকায় তো অনেক বেশি লোক গুম হয়।
মোমেন বলেন, আমেরিকার তথ্যানুযায়ী প্রতিবছর কোনো আইনি প্রক্রিয়া না মেনেই আমেরিকান পুলিশ এক হাজার লোককে মেরে ফেলে। কত লোক মলে যায়, স্কুলে যায়, তাদের মেরে ফেলে। আমরা চাই না আমাদের দেশে একটা লোকও মারা যাক। বিনা বিচারে লোক মারা যাক। দুর্ঘটনা হলে আমরা তার বিচার করি। এবং যদি আমাদের সিকিউরিটির কেউ মারে অবশ্যই তার দায়ভার নিতে বাধ্য হবে। কোনো উপায় নেই। আমাদের দেশের মানুষ খুব সাবধান। ইউটিউবে অকামা বক্তব্য দিলে কেউ বিশ্বাস করবে না। দিন শেষে ওরাই হবে ক্ষতিগ্রস্ত। আর মিথ্যাবাদী হিসেবে পরিচিত হবে।
আরও পড়ুন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে ডিক্যাব সদস্যদের সংবর্ধনা
অযাচিত মন্তব্য করে বন্ধুত্ব নষ্ট করবেন না: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতি কাদের
বাংলাদেশের নির্বাচন ও আইনের শাসন নিয়ে অযাচিত মন্তব্য করে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব নষ্ট না করতে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার সকালে ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের প্রথম প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো বিষয়ে অযাচিত মন্তব্য বা হস্তক্ষেপ করবেন না। নির্বাচনী জালিয়াতি শুধু বাংলাদেশে নয়, যুক্তরাষ্ট্রেও হয়।
যুক্তরাষ্ট্রেও একটি দল আছে, যারা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাস শুটিংয়ের ঘটনা সাধারণ। প্রতিদিনই গুলিতে দুই,তিন বা পাঁচজন নিহত হচ্ছে। আর আপনি বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলছেন।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় ভয়ভীতি প্রদর্শন ও রাজনৈতিক সহিংসতায় উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা কারও হুকুম শুনবেন না। তিনি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পান না। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা ১৯৭১ ও ১৯৭৫ সালে তাদের ভূমিকা দেখেছি। এতসব ঘটনা সত্ত্বেও আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাই।’
তিনি আরও বলেন যে এ ধরনের মন্তব্য করে কারও কোনো লাভ হবে না। এগুলো সুসম্পর্কের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে চায় বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার মার্কিন দূতাবাস ঢাকায় ভয়ভীতি ও রাজনৈতিক সহিংসতার প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং আইনের শাসনকে সম্মান করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক বার্তায় রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ‘আমরা ঢাকায় ভয়ভীতি ও রাজনৈতিক সহিংসতার খবরে উদ্বিগ্ন এবং আইনের শাসনকে সম্মান করার জন্য এবং সহিংসতা, হয়রানি ও ভয় দেখানো থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাই।’
তিনি বলেন যে তারা সরকারি কর্তৃপক্ষকে সহিংসতার এই প্রতিবেদনগুলো তদন্ত করতে এবং মত প্রকাশের মৌলিক স্বাধীনতা, সংগঠন ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে রক্ষা করতে উৎসাহিত করে।
আরও পড়ুন: ‘কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়, আমরা চাই সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব’: বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক উক্তি জাতিসংঘের রেজ্যুলেশনে অন্তর্ভুক্ত
শরণার্থী, অভিবাসন সমস্যা আলোচনায় বাংলাদেশ সফরে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী সচিব নয়েস
র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড উল্লেখযোগ্য কমেছে: পিটার হাস
গত ডিসেম্বরে র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, ‘এটি একটি ভালো লক্ষণ।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ এবং জার্মান থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ফ্রেডরিখ এবার্ট স্টিফটাং আয়োজিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ ও সাবেক কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞায় থেকে যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য মানানসই নয়: বিএনপি
হাস বলেন, র্যাব এবং এর সাত সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য তাদের শাস্তি দেয়া নয় বরং আচরণ পরিবর্তন করে তাদের জবাবদিহি করা।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, সহিংসতা থাকলে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের ওপর জোর দেন এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য, শ্রম অধিকার, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক রাজনীতি এবং ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলসহ বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
রপ্তানিমুখী শিল্পে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শ্রম অধিকারের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের এখনও উদ্বেগ রয়েছে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পেছনে ১০০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প: আইজিপি
সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়াই আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আমরা আগামী ৫০ বছরের সম্পর্কের মঞ্চ তৈরি করেছি: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
আমরা আগামী ৫০ বছরের সম্পর্কের (বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র) মঞ্চ তৈরি করেছি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
রাষ্ট্রদূত হাসের উদ্ধৃতি দিয়ে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, ‘আমরা আমাদের দেশের আগামী ৫০ বছরের সম্পর্কের মঞ্চ তৈরি করেছি।’
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বৈঠকের পর তিনি একথা বলেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানান, দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রসমূহে সম্পর্ক গভীর করার পাশাপাশি তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে ‘তাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য উন্মুখ’।
তিনি বলেন, ‘আমি অর্থনীতি, উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে (দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের) সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে উচ্ছ্বসিত।’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তারা গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের সাফল্য এবং দুই দেশের শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: করোনা ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
রাষ্ট্রদূত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব এবং এই অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ‘আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সহায়তা ও কোভিড-১৯ সহ বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি।’
তিনি বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতি, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতৃত্ব রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে উদারতা ও বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অসাধারণ অবদানের কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত হাস পুনরায় বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থী ও দেশীয় সম্প্রদায়ের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেছেন, ‘আমাদের বৈঠকের সময় আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি; আমি মনে করি যেভাবে আমরা কোভিড-১৯ সংকটকে মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করেছি, সেটা আমাদের যৌথ অর্জনগুলোর মধ্যে একটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশের বেশিকে টিকা দেয়ার উদ্যোগের প্রশংসা করি।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রায় ৮৮ মিলিয়ন কোভিড-১৯ টিকার ডোজ অনুদান দিয়েছে। এবং কোভিড-১৯ সম্পর্কিত উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তায় ১৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অবদান রেখেছে এবং সারা দেশে এই সহায়তা বিতরণের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের আহ্বান জাতিসংঘ হাইকমিশনারের
সীমান্তে উত্তেজনা এড়াতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব
বাংলাদেশের মতো দ্রুত এগিয়ে যেতে প্রস্তুত: হাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সুযোগের সদ্ব্যবহার এবং যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ‘বাংলাদেশ যেভাবে অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আমরা ঠিক ততটা দ্রুত এগিয়ে যেতে প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: আমরা শুধু চাই জনগণের অবাধ অংশগ্রহণে নির্বাচন হোক: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
আমরা শুধু চাই জনগণের অবাধ অংশগ্রহণে নির্বাচন হোক: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে জনগণের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখার প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কে জিতবে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো চিন্তা করে না। আমরা শুধু এমন একটি নির্বাচন চাই যেখানে বাংলাদেশের জনগণ তাদের নেতা নির্বাচন করতে পারে।’
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গতবারের চেয়ে ভালো নির্বাচন প্রত্যাশা করে জাপান
তিনি বলেন, একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশন ও সমগ্র বাংলাদেশি সমাজের কাজ এবং এটি কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের কাজ নয়।