তিনি বলেন, ‘ডিএনসিসি ডিজিটাল গরুর হাট আছে, সেখান থেকেও পশু কিনতে পারেন। আমি অনুরোধ করব ডিজিটাল হাট থেকে পশু কোরবানি দিন।’
বৃহস্পতিবার পূর্বাচল ব্রিজ সংলগ্ন মস্তুল ডুমনী বাজারমুখী রাস্তার উভয় পাশের খালি জায়গায় স্থাপিত অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র পশুর হাট ঘুরে দেখেন এবং গবাদি পশুর ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সাথে মতবিনিময় করেন। তিনি সবাইকে করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, ‘এ বছর মহামারির মধ্যেই পশু কোরবানি দিতে হচ্ছে। মহামারি মোকাবিলা করেই পশু কোরবানি দিতে হবে। এটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। আমরা দেখতে পাচ্ছি, বারবার বলা সত্ত্বেও দু-একজন শিশুদের নিয়ে এসেছেন। উনারা যদি নিজেদের সুরক্ষার বিষয়টি না বোঝেন, বোঝানো দুরহ ব্যাপার। এখানে পশু বিক্রেতারা আমাকে বলছেন- আমরা গরু বিক্রয় করব না, যদি ক্রেতারা মাস্ক না পরে থাকেন। আমি তাদের ধন্যবাদ দিয়েছি, এটাই হওয়া উচিত।’
ডিএনসিসির হাট মনিটরিং কমিটি বিভিন্ন হাট নিয়মিত পরিদর্শন করছে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘প্রতিটি হাটে ম্যাজিস্ট্রেট আছে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি। আপনারা মেহেরবানি করে নিজেদের সুরক্ষা নিজেরা বজায় রাখবেন। তাহলেই মহামারির চ্যালেঞ্জকে আমরা মোকাবিলা করতে পারব।’
হাটে কোনো প্রকার চাঁদাবাজি, মাস্তানি বরদাশত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন মেয়র।
আতিকুল ইসলাম জানান, অনলাইনে পশু কোরবানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বসিলায় পশু স্বাস্থ্যসম্মতভাবে হালাল উপায়ে কোরবানি দিয়ে মাংস প্রস্তুত করে বাসায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়াও ২৫৬ স্থানে কোরবানি দেয়ার ব্যবস্থা থাকছে।
‘আপনারা মেহেরবানি করে পশু কোরবানি দেয়ার পরে বর্জ্য নির্দিষ্ট ব্যাগে রেখে দিন। ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা তা সংগ্রহ করে নেবেন,’ যোগ করেন মেয়র।
ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন, মফিজুর রহমান ও শরিফুর রহমানসহ কোরবানির পশুর হাট মনিটরিং কমিটির সব সদস্য এ সময় উপস্থিত ছিলেন।