বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে ‘বিস্তৃত নিরাপত্তা সম্পর্কের’ অংশ হিসেবে ঢাকায় নবম বার্ষিক দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহাপরিচালক (উত্তর আমেরিকা)খন্দকার মাসুদুল আলম এবং মার্কিন পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাজনৈতিক-সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি মিরা রেজনিক।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ সংলাপ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে হাসিনা-মোদি আলোচনায় তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি উত্থাপিত হবে: পররাষ্ট্র সচিব
নিরাপত্তা সংলাপ হলো একটি বার্ষিক, বেসামরিক নেতৃত্বাধীন আলোচনা যা দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সম্পর্কের সমস্ত উপাদানকে স্পর্শ করে।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা ইন্দো-প্যাসিফিক আঞ্চলিক সমস্যা, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার, সামরিক সহযোগিতা, শান্তিরক্ষা, নিরাপত্তা সহায়তা এবং সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের বিষয়ে আলোচনা করবেন।
দূতাবাস জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব রয়েছে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অনেক স্বার্থ রয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: কূটনীতিকদের সঙ্গে রাখাইন সফরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল স্বাধীন, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে উভয় দেশই অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে।
চলতি বছরের নিরাপত্তা সংলাপটি ঢাকায় ২৩ এবং ২৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সংলাপের ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করে।
দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সংলাপে মার্কিন ও বাংলাদেশি সামরিক বাহিনীর জেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং বেসামরিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
তারা সামরিক শিক্ষা, শান্তিরক্ষা এবং আসন্ন সামরিক মহড়া সহ উভয় সামরিক বাহিনীর মধ্যে সম্পর্কের জন্য নির্দিষ্ট কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে আগামী বছরের দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া অনুশীলন এবং বিনিময়।
নিরাপত্তা সংলাপে কৌশলগত অগ্রাধিকার এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যু, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, বেসামরিক নিরাপত্তা সহযোগিতা, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা, সন্ত্রাস দমন এবং সহিংস চরমপন্থা মোকাবিলাসহ দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব সম্পর্কিত বিস্তৃত বিষয় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিরা রেজনিক