ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৩৩ শতাংশ এখন করোনা রোগী বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি রোধে সরকার কর্তৃক আরোপিত নতুন বিধিনিষেধের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে যেমনটা সারা বিশ্বে হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রায় ১০ হাজার ৯০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং সংক্রমণের হার একদিনের ব্যবধানে ১০ থেকে ১৫ পরে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
সরকার কর্তৃক জারি করা ১১ দফা নির্দেশনার পরেও লোকেরা স্বাস্থ্যবিধি পালন না করায় সংক্রমণ বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা চলতে থাকলে হাসপাতালগুলোতে কোনো বেড খালি থাকবে না।
মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি আমরা স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি লক্ষ্য করেছি। তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাখতে দুই সপ্তাহের জন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
দুই সপ্তাহ পর দেশের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আবার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, হাসপাতালগুলোর পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে কারণ বর্তমানে দুই হাজারেরও বেশি লোক সারা দেশে করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে এবং তাদের মধ্যে এক হাজার ঢাকা শহরের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
আরও পড়ুন: সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত প্রধান বিচারপতি, বিএসএমএমইউতে ভর্তি
তিনি বলেন, করোনা বিস্তার রোধে আরও কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে যেমন কোনো রাজনৈতিক, সামাজিক বা ধর্মীয় কর্মসূচিতে ১০০ জনের বেশি লোকের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যারা এই ধরনের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তাদের করোনা ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট এবং আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা ৫০ শতাংশ কর্মচারী কর্মকর্তা নিয়ে অফিসগুলো পরিচালনার কথা ভাবছি এবং শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
মন্ত্রী মালেক স্বাস্থ্যবিধি পালন নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে কঠোরভাবে মনিটরিংয়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বাণিজ্য মেলা, স্টেডিয়ামে খেলা এবং একুশে বইমেলা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এসব জায়গায় ১০০ জনের বেশি জমায়েত হবে না বলা কঠিন তবে করোনা ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট এবং আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ফলাফলের নির্দেশনা প্রযোজ্য থাকবে।
জাহিদ মালক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত দেশে করোনা ভ্যাকসিনের ১৫ কোটি ১০ লাখ ডোজ দেয়া হয়েছে। আমাদের কাছে এখনও আরও ৯ কোটি ভ্যাকসিনের মজুদ রয়েছে।’