হাসপাতাল
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১, হাসপাতালে ৮
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৮ জন।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড মার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬ জন, আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ২ জন রোগী।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৯, মৃত্যু নেই
চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৮১ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ এবং ১৮ দশমিক ২ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ হাজার ২৫৮ জন। এর মধ্যে ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮ দশমিক ৪ শতাংশ নারী।
১ ঘণ্টা আগে
সৌদি যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে দুবাই হাসপাতালে বাবর
ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে যাওয়ার পথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে বাবরের ব্যক্তিগত সহকারী মির্জা হায়দার আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘ছেলে লাবিব ইবনে জামানকে নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় ওমরাহ পালনের জন্য ঢাকা থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দুবাই হয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন বাবর।’
‘এ সময় ঢাকা থেকে মদিনায় যাওয়ার পথে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে বাবর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিমানটি দুবাইতে অবতরণের পর তাকে দ্রুত বিমানবন্দরের কাছের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে ডাক্তাররা চেকআপের পর তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।’
তিনি জানান, ‘বর্তমানে দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ও ডাক্তারদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কারামুক্ত বাবর
এছাড়া বাবরের বড় ছেলে তার সঙ্গে আছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বাবর ওমরাহ পালনে দুবাই থেকে সৌদি আরব যাবেন।
হায়দার বলেন, বাবর ও তার ছেলে লাবিব ইবনে জামান সন্ধ্যা ৬টায় এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে মদিনার উদ্দেশে রওনা হন। এর কয়েক ঘণ্টা আগে বাবরের স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও আলাদা একটি ফ্লাইটে মদিনার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। মদিনায় পৌঁছানোর পর তাদের জানানো হয় যে বাবর দুবাইতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর আগে ১৯ জানুয়ারি বুকে ব্যথা নিয়ে বাবরকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাকে অ্যাডভান্সড করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। ১৭ বছর কারাভোগের পর তিনি ১৬ জানুয়ারি মুক্তি পান।
১ সপ্তাহ আগে
দায়িত্ব নিলেন বিএসএমএমইউ হাসপাতালের নতুন পরিচালক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নতুন পরিচালক (হাসপাতাল) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দীন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করছেন। তিনি সদ্য সাবেক বিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রেজাউর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রেজাউর রহমান ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর নিয়োগ পেয়ে ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বর পরিচালক হিসেবে তার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন।
অন্যদিকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দীন এ বছরের ১৫ জানুয়ারি বিএসএমএমইউর পরিচালক (হাসপাতাল) হিসেবে নিয়োগ পেয়ে আজ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
তিনি এই পদে যোগদানের আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।
আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সি-ব্লকে পরিচালক (হাসপাতাল) মহোদয়ের অফিসে নতুন পরিচালকের দায়িত্বগ্রহণ ও সদ্য সাবেক পরিচালকের বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম, উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, উপউপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার মহোদয়, পরিচালক (হাসপাতাল, অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. হাসনাত আহসান সুমন, উপপরিচালক ডা. মো. আবু নাছের, সহকারী পরিচালক মো. আজিজুর রহমান, উপাচার্যের একান্ত সচিব-২ লুৎফর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক-নার্সসহ বিএসএমএমইউয়ের ১৫ জন বরখাস্ত
২ সপ্তাহ আগে
ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ২৪
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কারো মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৪ জন।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড মার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন, আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ১১ জন রোগী।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ৩৯
চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৮৭ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ১২ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৯১৬ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ১ শতাংশ নারী।
২ সপ্তাহ আগে
চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে ডায়েরিয়া রোগী, হাসপাতালে নেই স্যালাইন সেট-ক্যানোলা
রোটা ভাইরাস ও আবহাওয়াজনিত কারণে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। এরমধ্যে অধিকাংশই শিশু রোগী। চিকিৎসক ও নার্সরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
গত ১ সপ্তাহে সদর হাসপাতালের ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে মোট ২৮৩ জন রোগী। এদের মধ্যে অধিকাংশই হলো শিশু ও বয়স্ক। এছাড়া প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে দুই শতাধিক রোগী।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে অর্থাৎ ৩ ডিসেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ২৮৩ রোগী ভর্তি হয়েছেন। ৯ ডিসেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন ৪৩ জনের অধিক রোগী। এরমধ্যে অধিকাংশই ছিল শিশু।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ডায়রিয়া পরিস্থিতির অবনতি, তাঁবুতে চলছে শিশুদের চিকিৎসা
ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গাইদঘাট গ্রামের রোগীর মা পলি খাতুনের ছেলে ভর্ আছে হাসপাতালে। তিনি বলেন, আমার ৮ মাসের ছেলে তিন দিন আগে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে ভর্তি করাই হাসপাতালে। রোগীর এতো চাপ যে এখানে থাকতেই সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। তারপরেও ছেলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত থাকতে তো হবেই।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার এলাকার নাজমা খাতুনের মেয়ে ভর্তি হাসপাতালে। নাজমা বলেন, গত দুদিন থেকে পাতলা মল আর বমি হচ্ছিল মেয়ের। সকালে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। হাসপাতাল থেকে খাওয়া স্যালাইনসহ যাবতীয় ওষুধ দিলেও স্যালাইন সেট ও ক্যানোলা সাপ্লাই নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরপর বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রকিব সাদী বলেন, হাসপাতালে কলেরা স্যালাইনসহ যাবতীয় ওষুধ সাপ্লাই আছে। তবে স্যালাইন সেট ও ক্যানোলা নেই, সেটা আশা করছি অল্প কিছু দিনের মধ্যে চলে আসবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট শিশু ডা. মাহবুবর রহমান মিলন বলেন, ইদানিং রোটা ভাইরাস ও শীতজনিত কারণে শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর মধ্যে ডায়রিয়া রোগী বেশি। বিশেষ করে শিশু রোগী বেশি রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। এর কোনো মেডিসিন না থাকার কারণে ৪ থেকে ৫ দিন শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত থাকছে। ৫ দিন পর ভাইরাস মারা গেলে সুস্থ হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে কোনো মতেই শিশুদের বাসি খাবার খাওয়ানো যাবে না। যতটা সম্ভব বাইরের খাবার এড়িয়ে চলা ভালো৷ শিশুদের প্রতি বেশি যত্ন নিতে হবে। মোটা কাপড় পরিধান করাতে হবে। রাস্তার ধারের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রতি মানুষের সচেতনতা না বাড়লে ডায়রিয়া মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে যাবে।
এ চিকিৎসক জানান, ১ থেকে ৬ মাসের শিশুদের বুকের দুধ ছাড়া অন্য কিছু খাওয়ানো যাবে না। খিচুড়ি খাওয়ানোর ক্ষেত্রেও সতর্ক হতে হবে। বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে। যতটুকু সম্ভব বাচ্চাদের সতর্ক রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: সাজেকের তিনটি গ্রামে ডায়রিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত শতাধিক
১ মাস আগে
দেরি করে হাসপাতালে আসার কারণেই ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু বাড়ছে: ডা. আবু জাফর
দেশে অন্য সময়ের তুলনায় এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই সময়ে ডেঙ্গু সংক্রমণ অব্যাহত থাকলেও রোগটিকে গুরুত্ব না দেওয়ায় তুলনামূলক মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।’
সোমবার (২ ডিসেম্বর) মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ডেঙ্গুবিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগীদের জটিল পরিস্থিতি তৈরি না হলে সাধারণত তারা হাসপাতালে আসছে না। এতে দেখা যায়, খুব অল্প সময়ে রোগী ঘাবড়ে যাচ্ছে। রোগীদের পেটে ও ফুসফুসে পানি আসছে। এমন একটা সময়ে তারা হাসপাতালে আসছে, যখন আর তাদের জন্য কিছু করা যাচ্ছে না। শুধু দেরি করে হাসপাতালে আসার কারণেই মৃত্যুটা বেশি হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: আন্দোলনের মুখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি পদে যোগ দিতে না পেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে গেছেন ডা. রোবেদ আমিন
ডা. আবু জাফর বলেন, ডেঙ্গুতে বেশি মারা যাচ্ছে ঢাকায়, যাদের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছর। তবে চট্টগ্রামে শিশু ও বৃদ্ধদের মৃত্যুহার তুলনামূলক বেশি। এর কারণ হলো ডেঙ্গু হলে মানুষ গুরুত্ব কম দিচ্ছে,তাই মৃত্যুটা বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ডেঙ্গুর পাশাপাশি দেশে চিকনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। জিকা ও চিকনগুনিয়া নিয়ে অনেক বেশি দুশ্চিন্তার কারণ নেই।’
অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. হালিমুর রশিদ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, ‘জিকা ভাইরাসে আক্রান্তদের ৯০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই কোনো লক্ষণই দেখা দেয় না। এছাড়া এই রোগে মৃত্যুর হার শূন্য। তবে এ বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।’
লাইন ডিরেক্টর ডা. হালিমুর রশিদ জানান, এ বছর চিকনগুনিয়ায় ৬৭ জন এবং জিকা ভাইরাসে ১১ জন আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। ডেঙ্গু শনাক্তকরণের সময় এ তথ্য পাওয়া যায়। চিকনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাস এডিস মশার মাধ্যমেই ছড়ায়।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তাদের অপসারণ দাবি
২ মাস আগে
ঝালকাঠিতে হাসপাতালের ড্রেন থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে রান্না ঘরের সামনে ওয়ার্ডের পাশের ড্রেন থেকে ৭ থেকে ৮ মাস বয়সি এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর দিকে পরিত্যক্ত একটি ড্রেনের মধ্যে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় নবজাতকের লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নার্সদের ধারণা, কে বা কারা ২ থেকে ১ দিন আগে হাসপাতালের রান্না ঘরের সামনে ওয়ার্ডের পাশের ড্রেনে লাশটি ফেলে রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় চরমপন্থি দলের সাবেক নেতাকে গলাকেটে হত্যা
হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামিম আহমেদ বলেন, ঝালকাঠি থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ এসে দুপুরে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) মেহেদী হাসান সানী বলেন, ‘এই শিশুর জন্ম আমাদের এই সদর হাসপাতালে হয়নি। সদর হাসপাতাল অরক্ষিত থাকায় বাহির থেকে কে বা কারা ড্রেনে লাশটি রেখে গেছেন।’
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: তৃতীয় দিনের ধর্মঘটে বেনাপোলে বাস বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
২ মাস আগে
হাসপাতালে অসুস্থ মাকে দেখে বাড়ি ফেরার পথে ছেলের মৃত্যু
মেহেরপুরে হাসপাতালে অসুস্থ মাকে দেখে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আব্দুল হালিম নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
এঘটনায় আহত হয়েছেন তার ছোট বোন পলি খাতুন (২৫)।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আব্দুল হালিম।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ট্রাক্টরের ধাক্কায় সিএনজি যাত্রীর মৃত্যু
নিহত আব্দুল হালিম (৪৫) মেহেরপুর সদর উপজেলার ইসলামনগর গ্রামের শিশিরপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে এবং তিন মেয়ের বাবা।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমানুল্লাহ আল বারী বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেহেরপুরে হাসপাতালে অসুস্থ মাকে দেখে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন হালিম ও তার ছোট বোন পলি। এসময় পশু খাদ্যের বস্তা নিয়ে আরেকটি মোটরসাইকেল তাদের পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় বস্তায় আটকে পড়ে যান হালিম ও পলি।
গুরুতর আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয় স্থানীয়রা।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় হালিমকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখানেই বুধবার সকাল ৮টার দিকে মৃত্যু হয় তার। তার বোন পলি মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাসচাপায় শিশুর মৃত্যু
৩ মাস আগে
কারাগার থেকে হাসপাতালে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে চিকিৎসার জন্য ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় হাসপাতালে আনা হয় তাকে।
সেখানে তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে মেডিসিন বিভাগের কেবিনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নানের জামিন নামঞ্জুর
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার সাখাওয়াত হোসেন রুবেল জানান, শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীকে চেকআপের জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি করেন। তার নিরাপত্তায় জেল পুলিশের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী জানান, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীর বুকে ব্যথা রয়েছে। এছাড়া তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মেডিসিন বিভাগের কেবিনে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠনের আবেদন করা হয়েছে।এমএ মান্নানকে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাকে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। এর পর থেকে তিনি সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে ছিলেন। সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে থাকা অবস্থায় গত ৫ অক্টোবর শনিবার সকালে তিনি অসুস্থবোধ করলে তাকে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে সিলেট কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাৎ মামলা: মেজর মান্নানসহ ৭ জনের জামিন বাতিল বিষয়ে হাইকোর্টের রুল
৪ মাস আগে
ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, চাপ সৃষ্টি হচ্ছে ভঙ্গুর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর
এ বছরও দেশজুড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। একই সঙ্গে হাসপাতালগুলো সুযোগ-সুবিধার অপ্রতুলতার কারণে ক্রমবর্ধমান রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
এরই মধ্যে হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর চাপ বেড়েছে। অক্টোবরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩১ জনে, আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৩৪ জন।
দুই মাস আগে সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা নিয়ে সতর্ক করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। অক্টোবরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকায় মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত কয়েক মাসের তুলনায় এখন প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা।এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর ৫৫ শতাংশই ঢাকার বাইরের।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হসপিটাল, ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর চাপ সামলাতে সাধারণ ওয়ার্ডের বাইরেও আলাদা করে সিঁড়ির কাছে রোগীদের জন্য বেডের ব্যবস্থা করতে হয়েছে।এসব হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত বড়দের ও শিশুদের জন্য আলাদা ফ্লোরে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এসব হসপিটালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক মাসের তুলনায় এ মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। গত মাসের তুলনায় এ মাসে ক্রমাগত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চলতি বছর আগস্ট মাসে হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৮০০’র বেশি রোগী। আর এ মাসে এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজারের বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন। এখনও মাস শেষ হতে বাকি আরও ৭ দিন।
চিকিৎসকরা বলেন, বেশিরভাগ রোগী ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহ রূপ শক সিনড্রোম অবস্থা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তাদের ব্লাড প্রেশার কমে যাচ্ছে, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কিছুটা অচল হয়ে আসছে, বমি হচ্ছে, শরীরে পানি চলে আসছে, কিছুটা ল্যাথার্জিক- এমন অবস্থা নিয়ে আসছে।
আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ড. মুশতাক আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, প্রথমত রোগীর সংখ্যা বাড়লে আনুপাতিক হারে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে। দ্বিতীয়ত গত বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে যেসব কারণে, সেগুলো কিন্তু দূর হয়নি।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে আরও ১৯৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
তিনি আরও বলেন, আমাদের যে চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে, সেটা বিকেন্দ্রীকরণ হয়নি। এছাড়া যেসব রোগীকে শনাক্ত করা হচ্ছে কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ রোগী নয়, তাদের মাঠপর্যায়ে হাসপাতালে রাখার কথা, আবার যারা জটিল রোগী তাদেরও একসঙ্গে রাখা হচ্ছে, ফলে তারা যথার্থ চিকিৎসা পাচ্ছে না। সব এক জায়গায় হওয়ার কারণে ব্যবস্থাপনা করা যাচ্ছে না। যতই ডাক্তার দেন, স্যালাইন দেন, ফ্লোরে রোগী রেখে কী সমাধান করা যায়? কাজেই চিকিৎসা ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণ করা খুব দরকার।
তিনি জানান, অনেক ক্ষেত্রেই রোগীকে উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিক চিকিৎসা না দিয়ে জেলা কিংবা বিভাগীয় হাসপাতালে রেফার করা হয়। এতে মধ্যবর্তী সময়ে অনেক রোগী প্লাটিলেট কমে গিয়ে মুমূর্ষু হয়ে যায়। অন্তিম অবস্থায় চিকিৎসা পাওয়া এসব রোগীকে সুস্থ করা কঠিন হয়ে পড়ে বলে জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার ইউএনবিকে বলেন, ডেঙ্গু রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সই চিকিৎসা দিতে পারে। অথচ তা না করে জেলা হাসপাতালে ট্রান্সফার করে বা বিভাগীয় হাসপাতালে ট্রান্সফার করে দেয়।এতে যে সময় লাগে তাতে রোগীর প্লাজমালি কেইস হয়ে যায়, প্লাটিলেট কাউন্ট কমে গিয়ে এই রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নিতে হবে:
অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, কীভাবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সেটি সবাই জানে। কিন্তু প্রতিবারই আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছি। প্রতিবারই বলছি আমরা কাজ করছি, এটা করছি, সেটা করছি। কিন্তু নাগরিকরা ফলাফল পাচ্ছে না। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় বিজ্ঞান ভিত্তিকভাবে সমন্বিত মশক ব্যবস্থাপনার প্রয়োগ ঘটাতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারের যেসব প্রতিষ্ঠান বা যারা এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছে তাদের চাকরি নয় বরং সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।
হটস্পট ম্যানেজমেন্টের আওতায় যেসব বাড়িতে ডেঙ্গু রোগী আছে সেখানে ২০০ মিটারের মধ্যে ক্রাশ কর্মসূচি করতে হবে। উড়ন্ত এডিস মশা ও লার্ভা ধ্বংস করতে হবে। ফলে ওই বাড়িতে বা আশেপাশের বাড়িতে কেউ আক্রান্ত হবে না।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ড. মহ. শের আলী ইউএনবিকে বলেন, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনে 'মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সমন্বিত উপায়ে ও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন' নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সারাদেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। মৃত্যু হারও বেড়েছে। যদিওবা এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে আমরা যথাযথ গুরুত্ব সহকারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘যেসব এলাকায় ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেশি সেসব এলাকায় গতকাল রবিবার থেকে আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সমন্বিতভাবে বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেছে। এর মাধ্যমে আমরা ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কমিয়ে আনতে সক্ষম হব।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান ইউএনবিকে বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি এডিসের লার্ভা জন্মাতে পারে এমন উৎসগুলো পরিচ্ছন্ন করার মাধ্যমে ধ্বংস করতে হবে৷ স্বাস্থ বিভাগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও প্রকৌশল বিভাগ সম্মিলিতভাবে কাজ করলে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত তদারকি টিম প্রতিটি অঞ্চলে পরিচালিত কার্যক্রম সঠিকভাবে তদারকি করছে। শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য নাগরিকদের সম্পৃক্ত করতে হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে।'
নগরবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আমাদের কর্মীরা বাসাবাড়ির আশপাশ পরিষ্কার করে এবং ওষুধ ছিটায়। কিন্তু বাসাবাড়ির ভেতরে আমাদের কর্মীদের পক্ষে কাজ করা সম্ভব হয় না। তাই নিজেদের বাসাবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ফ্রিজ, এসি, ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।'
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে একযোগে ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশা নিধন কর্মসূচি শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এই বিশেষ কর্মসূচি ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিচালনা করা হবে।
সপ্তাহব্যাপী পরিচালিত বিশেষ মশা নিধন কর্মসূচিতে প্রতিটি ওয়ার্ডকে বিভিন্ন সাব ব্লকে ভাগ করে প্রতিটি ব্লকের সব বাড়ি পরিদর্শনের মাধ্যমে এডিস মশার প্রজনন স্থল চিহ্নিত করে কীটনাশক প্রয়োগ এবং ধ্বংস করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজন রোগীও যেন মারা না যায়: উপদেষ্টা হাসান আরিফ
৪ মাস আগে