আটক রোহিঙ্গারা হলেন- মুশফেকা (১৯), নুর বেগম।
এছাড়া আটক অন্যান্য ব্যক্তিরা হলেন- শান্তনা (১৩), বাবুল মিয়া (৪০) ও তার স্ত্রী কাকলী (৩৫), জাহাঙ্গীর আলম (৫২), মানিক (৪৫), রানা বিশ্বাস (৩৪), হুমায়ুন কবির (৪৩), আল-মামুন (৩৫), মাহফুজুর রহমান মাসুদ (৪০), ফারুক মিয়া (২৫), গৌরাঙ্গ সরকার (২৫)। তারা দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।
র্যাব ১০ এর ঢাকার যাত্রাবাড়ীর ধলসুর ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. কাইয়ুমুজ্জজামান খান স্বাক্ষরিত র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব ১০ এর উপ অধিনায়ক মেজর মো. আশরাফুল হকের নেতৃত্বে কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় পাগলা হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রথমে মুশফেকা, নুর বেগম ও শান্তনাকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানী ও তার আশেপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে অন্যান্যদের আটক করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট, মোবাইল, নগদ টাকা ও চেকবই উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আটক ব্যক্তিরা একটি সংঘবদ্ধ মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত। এ চক্রটি রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের রোহিঙ্গাসহ বাংলাদেশি নাগরিকদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে বের করে এনে মালয়েশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাচার করে আসছিল।