সোমবার সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাসলিমা আখতার ও সাধারণ সম্পাদক অপরাজিতা দেব যৌথ বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে সংগঠনের তারা প্রশ্ন রেখে বলেন, ক্যান্টনমেন্টের পাশে কুর্মিটোলার মত একটি ব্যস্ত এলাকায় সন্ধ্যায় সময় এ ধরনের ঘটনা কিভাবে ঘটতে পারে?
এসব ঘটনার জন্য রাষ্ট্র ও প্রশাসনের নাগরিক নিরাপত্তার প্রতি চরম অবহেলা এবং অব্যবস্থাপনাকে দায়ি করার পাশাপাশি বিবৃতিতে নারীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন তারা।
সারাদেশে অব্যাহতভাবে নারী-শিশু ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটে চলেছে উল্লেখ করে নারী সংহতি বলছে, ‘একটা দেশে নারী-শিশুর নিরাপত্তার পরিস্থিতি দেখে ওই দেশের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি অনুধাবন করা যায়।’
নারী সংহতির নেতারা দেশে নারী-শিশুসহ সকল নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপের দাবি জানান।
একইসঙ্গে ঘরে-বাইরে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, পাড়া-মহল্লায়, কর্মস্থলে-ক্রীড়াঙ্গণে সর্বত্র ধর্ষণ, যৌন সহিংসতা, গণপিটুনিসহ যে কোন ধরনের সহিংতা প্রতিরোধে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নারী সংহতি।
উল্লেখ্য, আইন ও শালিস কেন্দ্রের তথ্যমতে, ২০১৯ সালে সারা দেশে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১ হাজার ৪১৩ জন। ২০১৮ সালে যা ছিল ৭১৩। এক বছরেই ধর্ষণের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।