লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মোশাররফ হোসেন নামে এক তহসিলদারকে কুপিয়ে হত্যার ২৫ বছর পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রামগতি চর সেকান্দর গ্রামের আবদুল গোফরানের ছেলে মো. ইদ্রিস ওরফে কালা ও এবাদ উল্যার ছেলে মো. চৌধুরী বকত।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে উপজাতি তরুণীকে ধর্ষণ, মুদি দোকানিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এছাড়া মামলার আরও সাত আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে রামগতির চর সেকান্দর গ্রামের বাসিন্দা মৃত দ্বারা বক্স মাঝির দুই ছেলে আবদুল গোফরান ও মোশাররফ হোসেন তহসিলদারের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়।
এর সূত্র ধরে ১৯৯৮ সালের ১৭ জুলাই সকালের দিকে আবদুল গোফরান ও তার ছেলে মো. ইদ্রিস ওরফে কালাসহ তার অন্য ছেলেরা মিলে মোশাররফ তহসিলদারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে জেলা শহরের আধুনিক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ওইদিন মোশাররফ তহসিলদারের ছেলে আবুল হাসান চৌধুরী ওরফে রাশেদুল আলম বাদী হয়ে ১২ জনের নামে রামগতি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামি করা হয়-মোশাররফ তহসিলদারের ভাই আবদুল গোফরান ও তার পাঁচ ছেলে মো. ইদ্রিস ওরফে কালা, মো. ইউনুস মিয়া, মো. ইসমাইল, খুরশিদ আলম ও মো. রাশেদ এবং তাদের আত্মীয় মো. চৌধুরী বকত, নুরুল আমিন, মমিন উল্যা, মো. ইস্রাফিল, আবদুল করিম ও জসিম উদ্দিন। এরা সবাই রামগতির চর সেকান্দর গ্রামের বাসিন্দা।
১৯৯৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন সে সময়ের রামগতি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সালাহ উদ্দিন আল মাহমুদ।
এতে মামলার ১ নম্বর আসামি মো. ইদ্রিস ওরফে কালাকে প্রধান অভিযুক্ত করে ছয়জনের নামে অভিযোগপত্র দেন তিনি।
জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ শুনানি শেষ সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত দুই আসামির সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় এবং প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় শিশু হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনের যাবজ্জীবন