গণমাধ্যম, ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারসহ সব মাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধের বিষয়ে জারি করা রুলের নোটিশ তার লন্ডনের ঠিকানায় পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া পত্রিকায় এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।
আজ রবিবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
গণমাধ্যম, ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারসহ সব মাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধের বিষয়ে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু সেই রুলের নোটিশ এখনও তারেক রহমানের কাছে পৌঁছায়নি।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলা বাতিল চেয়ে তারেক রহমানের স্ত্রীর আবেদন: আদেশ ১৩ এপ্রিল
এ অবস্থায় গত ৮ আগস্ট সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামসহ আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা অনলাইনসহ সব গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার রুল শুনানির জন্য দিন ঠিক করতে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
এ সময় হাইকোর্ট জানতে চান, তারেক রহমানকে নোটিশ দেওয়া হয়নি, তাহলে কীভাবে শুনানি হবে। তখন রিটকারি আইনজীবী কামরুল ইসলাম উত্তরে বলেন, উনাকে কোনো ঠিকানায় পাওয়া যায়নি। তবে এর তীব্র বিরোধিতা করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ আগস্ট তারেক রহমানের লন্ডনের ঠিকানা সংশোধন করে নতুন আবেদন করতে বলেন হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী আজ তারেক রহমানের লন্ডনের সংশোধিত ঠিকানা সম্বলিত নতুন আবেদন দায়ের করার পর হাইকোর্ট উপরোক্ত আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
জানা যায়, ২০১৫ সালে আইনের দৃষ্টিতে পলাতক তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার ও প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকা রিট করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি তৎকালীন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছিলেন।
আদেশে আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকায় তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য কিংবা বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ নিষিদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তারেক রহমানের বিদেশে অবস্থানের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানাতে পররাষ্ট্রসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তারেক রহমানের পাসপোর্টের মেয়াদ বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) একটি প্রতিবেদন দিতেও নির্দেশ দেন আদালত।
একই সঙ্গে তার বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। এরপর দীর্ঘদিনেও রুলের শুনানি হয়নি।
সম্প্রতি সমাবেশে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার করে বিএনপি। এরপরই বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রুল শুনানির আবেদন করেন রিটকারী আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকা।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের আহ্বানকে ‘সহিংসতার প্ররোচনা’ বলে দাবি অধিকারকর্মী ও সংখ্যালঘু নেতাদের